Connect with us

পুঁজিবাজার

সিএমএসএফে তিন বছরে ৩২৭ বৈঠক, ব্যয় ৩ কোটি টাকা

Published

on

নারী বিনিয়োগকারী

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আস্থার সঞ্চার করতে ২০২১ সালে চালু করা হয় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। উদ্দেশ্য ছিল– বাজারের যেকোনো অস্থিতিশীল অবস্থাতে শেয়ার কেনাবেচা করে তারল্য নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা।

অন্যান্য দেশের একই ধরনের তহবিলের মতো বাজারকে স্থিতিশীল করার মতো কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি সিএমএসএফ। বরং এর পর্ষদ (বোর্ড) এবং অন্যান্য এক ডজন কমিটির সদস্যদের পুঁজিবাজারে বাস্তব আর্থিক হস্তক্ষেপের পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে সভা করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় দেখা গেছে।

বিদ্যমান তথ্যের রেকর্ড অনুযায়ী, তিন বছরে ৩২৩টি বৈঠক করেছেন তারা, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি এক বছরে ১০০টির বেশি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসবে সম্মানীর হারও কম না যেখানে প্রতি বৈঠক বাবদ কমিটির সদস্যদের জনপ্রতি সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা।

একের পর এক সভা আর সেখানে উপস্থিতির সম্মানী আদায়ের পাশাপাশি সিএমএসএফের পরিচালনা পর্ষদ ১ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দুটি গাড়ি (কার) কিনেছে; আবার অফিস সংস্কারের জন্য ব্যয় করেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

কিন্তু ফান্ডের আকার ও লক্ষ্যগুলো যত বড় সে তুলনায় ফলাফল তেমন কিছুই আসেনি। চলতি বছরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত এই ফান্ডের আকার বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকায়। যেখান থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান- ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ- আইসিবিকে ২২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া, ৫০ কোটি টাকা দিয়ে একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড চালু করা ছাড়া বাজার স্থিতিশীলতায় সিএমএসএফ’র ভূমিকা নেই।

আইসিবি সেই টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। তবে বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে তার প্রভাব ছিল ন্যূনতম।

২০২১ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি এই ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিগুলোর কাছে জমা অবন্টিত লভ্যাংশ, বোনাস ও আইপিও সাবস্ক্রিপশনের অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং তার থেকেও বেশিকিছু করার উদ্দেশ্য থেকে।

ফান্ড গঠনের অন্যতম ম্যান্ডেট ছিল- নগদ টাকার ১০ শতাংশ টাকা এফডিআর, ৪০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ (শেয়ার কেনাবেচা) ও ৫০ শতাংশ ফান্ড বাজারের অংশীজনদের (রিফাইন্যান্সিং মার্জিন) ঋণ হিসাবে দিতে হবে। এরপর বাকি ১০ শতাংশ স্থায়ী আমানত, সরকারি সঞ্চয়পত্র ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে সংরক্ষণ করতে হবে। ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকার মধ্যে নগদ লভ্যাংশ প্রায় ৬৩২ কোটি টাকা আর স্টক ডিভিডেন্ট প্রায় ৯১৩ কোটি টাকা।

১১ সদস্যের বোর্ডের বাইরে ফান্ডটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় এক ডজনের বেশি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির কোনোটির সদস্য ৪ জন, আবার কোনোটির সদস্য ১০ জনের বেশি।

সিএমএসএফ এর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে ৬৩ বোর্ড মিটিং হয়েছে, আর অন্যান্য কমিটির সভা হয়েছে ২৬০টি। অর্থাৎ, প্রায় প্রতিদিনই করা হয়েছে কোন না কোন মিটিং, যেখান থেকে বছরে কোটি টাকা সম্মানী নিয়েছেন সিএমএসএফ এর বোর্ড সদস্য ও অন্যান্য কমিটির সদস্যরা।

উল্লেখ্য, এসব সভায় কেবল বোর্ড সদস্যরাই নয়, বোর্ড সদস্যের বাইরেও চেয়্যারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারাও প্রতি মিটিংয়ে ৮ হাজার করে সম্মানী পেয়েছেন।

মিটিং বাবদ ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমএসএফ এর চিফ অব অপারেশন- মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, “কমিশন কর্তৃক গঠিত বোর্ড যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই করা হয়েছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি শূন্য থেকে শুরু হয়েছে, তাই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর প্রয়োজন হয়েছে, যা আর বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে কখনোই দরকার হবে না।”

সিএমএসএফ পর্যালোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার

সিএমএসএফকে পর্যালোচনা, এর প্রয়োজনীয়তা যাচাই ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার রূপরেখা প্রণয়নের জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রোববার বিএসইসির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কমিটির সভাপতিত্ব করবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা শাখার একজন অতিরিক্ত সচিব এবং সদস্য হিসেবে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধিরা। ১০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

“এই তহবিলের প্রয়োজন আছে কি না, তা কমিটি সুপারিশ করবে। যদি প্রয়োজন থাকে, তবে এটি যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবহারের কৌশল প্রস্তাব করবে”- নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসি কর্মকর্তা বলেছেন।

তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ খান এই তহবিলের পক্ষে নন। তিনি গত সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টার কাছে তার অবস্থান জানিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সেই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে, ২২ আগস্ট পূর্ববর্তী বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও বিএসইসি নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেনি।

ফান্ডের যৌক্তিকতা, ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

কোম্পানিগুলো্র ব্যাংকে পড়ে থাকা অবিতরণকৃত বা অবন্টিত লভ্যাংশ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় সিএমএসএফ, যার ৪০ শতাংশ নগদ অর্থে সরাসরি শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে। কিন্তু, তিন বছর অতিবাহিত হলেও ফান্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আইনগত সমস্যার সমাধান হয়নি, এই অবস্থায় নতুন কমিশন এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় এর অস্তিত্বই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক হি্সেবে ফান্ডের উদ্যোক্তা হওয়া শিবলী কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, “রেগুলেটরের কাজ বাজার নিয়ন্ত্রণ, সুশাসন ও আইন প্রণয়ন করা। কিন্তু কমিশন তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ না করে– ফান্ড গঠন করে তারল্যের যোগান দিতে চেয়েছে, শেয়ার কেনাবেচা করবে সেই সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা রেগুলেটরের কাজ হতে পারে না।”

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই ফান্ড গঠন ও পরিচালনার আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কমিশনের তত্ত্বাবধানের গঠিত ফান্ডটি গঠন ও পরিচালনার আইনি জটিলতা এখনো শেষ হয়নি। পরিচালনার দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, সে বিষয়েও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

যদিও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের চাপে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ব্যাংকে পড়ে থাকা অবিতরণকৃত বা অবন্টিত লভ্যাংশ এই ফান্ডে জমা দিয়েছে।

বিএসইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারকে সমর্থন করার জন্য এই ধরনের তহবিল তৈরির উদ্দেশ্য সঠিক ছিল না।

তিনি বলেন, ‘এই ফান্ড গঠন করে আপনি কখনোই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে পারবেন না। কৃত্রিমভাবে একটা ফান্ড গঠনের মাধ্যমে কিছুদিন হয়তো বাজারকে সমর্থন দেওয়া যায়, কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হয় না।”

তিনি আরো বলেন, ফান্ডের অর্থ ব্যবস্থাপনার যে ম্যান্ডেট সে অনুযায়ী পরিচালিত হতে না পারলেও বিপুল ব্যয়ের ঘটনা ঘটেছে, যা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। যেহেতু কমিশনের দ্বারা এই ফান্ড গঠিত হয়েছে, তাই এবিষয়ে তাদেরকেই সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই এই স্থিতিস্থাপক ফান্ড গঠনের বিষয়টি বিতর্কিত ছিল। অবন্টিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের টাকা, যেগুলো সংগ্রহের পরে এই ফান্ডের তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, “অর্থ সংগ্রহের পরে ফান্ড যদি ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত না হয়, সেক্ষেত্রে কমিশন বিষয়টির তদন্ত করতে পারে। যেহেতু এখানে জনগণের অর্থ রয়েছে, তাই ফান্ডকে অবশ্যই ম্যান্ডেট মেনে চলতে হবে।”

একই ধরনের ফান্ড অন্যান্য দেশে যেভাবে কাজ করে

বিভিন্ন দেশে আর্থিক সংকট এবং পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এরকম ফান্ডগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যেমন ১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতা কেলেঙ্কারির ফলে শেয়ার বাজার বিপর্যয়ের পর– ভারতীয় পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়। আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা- এসইবিআই বা সেবি ইনভেস্টরস প্রটেকশন অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ডের ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই তহবিল প্রতারিত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে এবং বাজার সচেতনতা তৈরি ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শিক্ষার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়। বাজারে খুচরা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে আবারো উৎসাহিত করে এই উদ্যোগ, এবং বাজারকে স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রাখে।

২০০৮ সালের আর্থিক সংকটকালে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনার অধীন এক্সচেঞ্জ স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে (ইএসএফ) বাজারে তারল্য বা নগদ অর্থ জোগান দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদান এবং পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ইএসএফকে ব্যবহার করা হয়েছিল, যদিও এর প্রাথমিক কাজ ছিল বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় বাজারকে স্থিতিশীল করা।

২০১৫ সালে একটি বড় ধসের কবলে পড়ে চীনের পুঁজিবাজার, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যেখানে শেয়ারদরের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়। ব্রোকারেজ সংস্থাগুলো বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ না দিতে পারলে– সেজন্য সিকিউরিটিজ ইনভেস্টরস প্রটেকস্বয়ং ফান্ড (এসআইপিএফ) রয়েছে চীনে, এই ফান্ডকেই তখন শেয়ার কিনে বাজারের ধস ঠেকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এসআইপিএফ প্রধান প্রধান কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনে বাজারে হস্তক্ষেপ করে, যা শেয়ারদরকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার

নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএমের সেমিনার

Published

on

নারী বিনিয়োগকারী

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এ নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (১৯ এপ্রিল ২০২৫) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘Accelerating Women’s Financial Independence: Investing in the Capital Market’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়ে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্সটিটিউটের নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন।

ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিশেষ অতিথি ও প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা খাতুন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের প্রভাষক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য ফাইমা আক্তার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারজানা লালারুখ বলেন, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জায়গা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনারেদকে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে যে এটি একদিনের বিনিয়োগ ক্ষেত্র নয়। আপনাকে প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে আপনি যাকে পুঁজি দিয়েছেন উনি দীর্ঘমেয়াদের জন্য পুঁজি নিয়েছেন। তাকেও মুনাফা করতে সময় দিতে হবে, আপনারও মুনাফা গ্রহণের সময় আসতে হবে। তাহলেই আপনি লাভবান হবেন।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই আজকে ক্ষতি হলো, আমার অবস্থা খারাপ, তাই আমি মার্কেট থেকে চলে যাই। এই ধরনের সিদ্ধান্ত যেমন নেয়া যাবে না, তেমনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে খুব তাড়াতাড়ি বড়লোক হয়ে যাব সেটাও কিন্তু চিন্তা করা যাবে না। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বড়লোক হওয়ার যায়গা না। একটি শেয়ার কিনে মূলত আপনি একটি কোম্পানির মালিক। সুতরাং আপনাকে ওই কোম্পানিকে ধারণ করতে হবে। লাভ-লোকসান দুটোই মেনে নিতে হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজবে কান না দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে নাজমুছ সালেহীন বলেন, বিআইসিএম নারী বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে এবং পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে অব্যহতভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। উক্ত প্রশিক্ষণ থেকে জ্ঞান আহরণ করে নারী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজেরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নারীদের এধরনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্যানেল আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য এস. এম. কালবীন ছালিমার সঞ্চালনায় এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা খাতুন এবং বিআইসিএম এর সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ফয়সাল আহমেদ খান।

অতিথিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণকারী নারী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন। এ সময় মাজেদা খাতুন বলেন, পুঁজিবাজরে বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্যের বৈচিত্রতা আনতে হবে। এতে নারী বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হবেন। ফলে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে।

সেমিনারে নারী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিআইসিএমের সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

Published

on

নারী বিনিয়োগকারী

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যে অফার মূল্যের নিচে নেমেছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। লেনদেন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩৯ শতাংশ। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তালিকাভুক্তির আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের কারসাজির অভিযোগ রয়েছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নানান নাটকিয়তার পরে কোম্পানিটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্ত করার পায়তারা করে প্রথম ধাপে ব্যর্থ হলেও ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় কোম্পানিটি ২৪ টাকা দরে প্রথম শেয়ার লেনদেন শুরু করে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শেয়ার দর নেমে এসেছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা যা শতকরা হিসেবে ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট কোম্পানিটির মালিকপক্ষ ২৪ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করলেও বর্তমানে মালিকপক্ষ চাইলেই ৬ টাকা কমে শেয়ার কিনতে পারে। এছাড়াও সরকারি ব্যাংকগুলোকে ৬৫টাকা দরে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ধরিয়ে দেয় কোম্পানিটি। সে হিসেবে সরকারি ব্যাংকগুলো শেয়ার প্রতি লোকসানে রয়েছে ৪৮ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি ব্যাংকগুলো এতো উচ্চ মূল্যে কেন এবং কার স্বার্থে দুর্বল কোম্পানিটির প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা উচিৎ।

কারসাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ অর্থসংবাদকে বলেন, আমি বাহিরে আছি। এ বিষয়ে আগামীকাল কথা বলব।

এর আগে, রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকসহ পাঁচ ব্যাংকের ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগে বেস্ট হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ও এনসিসি ব্যাংক পিএলসি থেকে মোট ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করেছে। তার মধ্যে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকিং বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া, কোম্পানিটি ২০২০ সালে আইন লঙ্ঘন করে সরকারি কোম্পানির তকমা দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। সে সময় প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করে। ব্যাংকগুলো প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৬৫ টাকায় ক্রয় করে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের শেয়ারের কারণে সরকারি কোম্পানি হিসাবে ফাঁকফোকর দিয়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে। কিন্তু গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির কারণে সেই উদ্যোগে ব্যর্থ হয় কোম্পানিটি।

সূত্র জানায়, আগেরবার সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলো বেস্ট হোল্ডিংস কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট প্লেসমেন্টে কোম্পানিটির শেয়ার কিনেছেন বা মালিকানায় শরিক হয়েছেন শতাধিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটিতে ওই সব ব্যক্তি ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের বিনিয়োগ আটকে আছে। তাই কোম্পানিটিকে দ্রুত বাজারে এনে ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ফেরত দিতে পুনরায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজটি যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে জন্য আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলোয় ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়েছিলো ৩৫ টাকা। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, আট-অফ মূল্য থেকে ৩০ শতাংশ কম দামে তথা ২৪ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হয়। এই কোম্পানিটির বাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেড। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, বুক বিল্ডিং পদ্ধিতিতে কাট অফ প্রাইস বেশি রাখার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন উপায় শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো। যা বেস্ট হোল্ডিংসের ক্ষেত্রেও অনৈতিক উপায়ে ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শান্তা ইক্যুইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রুবায়েত-ই-ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থসংবাদকে জানান, হাসপাতালে আছি, পরে কথা বলব। ফলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অস্থিরতা কাটেনি। বাজারে এক দিন উত্থান হলে দুই দিন পতন হয়। এ ছাড়া এতগুলো কোম্পানিটির শেয়ারদর অফার মূল্যের নিচে থাকার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিগত সরকারের আমলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নানা সংস্কারে হাত দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। এতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা আয় (ইপিএস) হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল। হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই, ২৪-ডিসেম্বর, ২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ৭৭ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৩ টাকা ৩৬ পয়সা।

অর্থসংবাদ/কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

Published

on

নারী বিনিয়োগকারী

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে।

এর আগের সপ্তাহের (৬ থেকে ১০ এপ্রিল) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৭৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমেছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স

Published

on

নারী বিনিয়োগকারী

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০ দশমিক ০০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর কমেছে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪ দশমিক ৯০ টাকা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩২ দশমিক ৯০ টাকা।

তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, এস আলমের ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, সাইনপুকুর সিরামিকসের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ, এস এস স্টীলের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ দর কমেছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

Published

on

নারী বিনিয়োগকারী

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুযায়ী, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩১.৬০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৭.৭০ টাকা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রেইনউইন যজ্ঞেশরের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৭৩০.৫০ টাকা।

তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাহজিবাজার পাওয়ারের ১৩.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১১.৭৬ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮.৭০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৭২ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিকের ৭.৫৩ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৬.৮৩ শতাংশ এবং এনআরবি ব্যাংকের ৬.৩৫ শতাংশ দর বেড়েছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার4 hours ago

নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএমের সেমিনার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এ নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ...

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার6 hours ago

অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যে অফার মূল্যের নিচে নেমেছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের শেয়ার। লেনদেন শুরু...

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার11 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৫৪...

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার12 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরপতনের শীর্ষে...

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার12 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি...

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার13 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ...

নারী বিনিয়োগকারী নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার1 day ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার4 hours ago

নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএমের সেমিনার

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার6 hours ago

অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়6 hours ago

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

নারী বিনিয়োগকারী
অন্যান্য6 hours ago

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলেন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা

নারী বিনিয়োগকারী
সারাদেশ8 hours ago

এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

নারী বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 hours ago

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

নারী বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 hours ago

নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়9 hours ago

ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার4 hours ago

নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএমের সেমিনার

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার6 hours ago

অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়6 hours ago

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

নারী বিনিয়োগকারী
অন্যান্য6 hours ago

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলেন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা

নারী বিনিয়োগকারী
সারাদেশ8 hours ago

এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

নারী বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 hours ago

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

নারী বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 hours ago

নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়9 hours ago

ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার4 hours ago

নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএমের সেমিনার

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

নারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার6 hours ago

অফার মূল্যের নিচে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ারদর, ক্ষতির মুখে বিনিয়োগকারীরা

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়6 hours ago

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

নারী বিনিয়োগকারী
অন্যান্য6 hours ago

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলেন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা

নারী বিনিয়োগকারী
সারাদেশ8 hours ago

এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

নারী বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 hours ago

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: ফখরুল

নারী বিনিয়োগকারী
রাজনীতি9 hours ago

নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হতে হবে: এনসিপি

নারী বিনিয়োগকারী
জাতীয়9 hours ago

ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা