পুঁজিবাজার
সিএমএসএফে তিন বছরে ৩২৭ বৈঠক, ব্যয় ৩ কোটি টাকা

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আস্থার সঞ্চার করতে ২০২১ সালে চালু করা হয় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। উদ্দেশ্য ছিল– বাজারের যেকোনো অস্থিতিশীল অবস্থাতে শেয়ার কেনাবেচা করে তারল্য নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা।
অন্যান্য দেশের একই ধরনের তহবিলের মতো বাজারকে স্থিতিশীল করার মতো কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি সিএমএসএফ। বরং এর পর্ষদ (বোর্ড) এবং অন্যান্য এক ডজন কমিটির সদস্যদের পুঁজিবাজারে বাস্তব আর্থিক হস্তক্ষেপের পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে সভা করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় দেখা গেছে।
বিদ্যমান তথ্যের রেকর্ড অনুযায়ী, তিন বছরে ৩২৩টি বৈঠক করেছেন তারা, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি এক বছরে ১০০টির বেশি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসবে সম্মানীর হারও কম না যেখানে প্রতি বৈঠক বাবদ কমিটির সদস্যদের জনপ্রতি সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা।
একের পর এক সভা আর সেখানে উপস্থিতির সম্মানী আদায়ের পাশাপাশি সিএমএসএফের পরিচালনা পর্ষদ ১ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দুটি গাড়ি (কার) কিনেছে; আবার অফিস সংস্কারের জন্য ব্যয় করেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
কিন্তু ফান্ডের আকার ও লক্ষ্যগুলো যত বড় সে তুলনায় ফলাফল তেমন কিছুই আসেনি। চলতি বছরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত এই ফান্ডের আকার বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকায়। যেখান থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান- ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ- আইসিবিকে ২২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া, ৫০ কোটি টাকা দিয়ে একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড চালু করা ছাড়া বাজার স্থিতিশীলতায় সিএমএসএফ’র ভূমিকা নেই।
আইসিবি সেই টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। তবে বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে তার প্রভাব ছিল ন্যূনতম।
২০২১ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি এই ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিগুলোর কাছে জমা অবন্টিত লভ্যাংশ, বোনাস ও আইপিও সাবস্ক্রিপশনের অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং তার থেকেও বেশিকিছু করার উদ্দেশ্য থেকে।
ফান্ড গঠনের অন্যতম ম্যান্ডেট ছিল- নগদ টাকার ১০ শতাংশ টাকা এফডিআর, ৪০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ (শেয়ার কেনাবেচা) ও ৫০ শতাংশ ফান্ড বাজারের অংশীজনদের (রিফাইন্যান্সিং মার্জিন) ঋণ হিসাবে দিতে হবে। এরপর বাকি ১০ শতাংশ স্থায়ী আমানত, সরকারি সঞ্চয়পত্র ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে সংরক্ষণ করতে হবে। ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকার মধ্যে নগদ লভ্যাংশ প্রায় ৬৩২ কোটি টাকা আর স্টক ডিভিডেন্ট প্রায় ৯১৩ কোটি টাকা।
১১ সদস্যের বোর্ডের বাইরে ফান্ডটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় এক ডজনের বেশি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির কোনোটির সদস্য ৪ জন, আবার কোনোটির সদস্য ১০ জনের বেশি।
সিএমএসএফ এর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে ৬৩ বোর্ড মিটিং হয়েছে, আর অন্যান্য কমিটির সভা হয়েছে ২৬০টি। অর্থাৎ, প্রায় প্রতিদিনই করা হয়েছে কোন না কোন মিটিং, যেখান থেকে বছরে কোটি টাকা সম্মানী নিয়েছেন সিএমএসএফ এর বোর্ড সদস্য ও অন্যান্য কমিটির সদস্যরা।
উল্লেখ্য, এসব সভায় কেবল বোর্ড সদস্যরাই নয়, বোর্ড সদস্যের বাইরেও চেয়্যারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারাও প্রতি মিটিংয়ে ৮ হাজার করে সম্মানী পেয়েছেন।
মিটিং বাবদ ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমএসএফ এর চিফ অব অপারেশন- মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, “কমিশন কর্তৃক গঠিত বোর্ড যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই করা হয়েছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি শূন্য থেকে শুরু হয়েছে, তাই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর প্রয়োজন হয়েছে, যা আর বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে কখনোই দরকার হবে না।”
সিএমএসএফ পর্যালোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার
সিএমএসএফকে পর্যালোচনা, এর প্রয়োজনীয়তা যাচাই ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার রূপরেখা প্রণয়নের জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল রোববার বিএসইসির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কমিটির সভাপতিত্ব করবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা শাখার একজন অতিরিক্ত সচিব এবং সদস্য হিসেবে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধিরা। ১০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
“এই তহবিলের প্রয়োজন আছে কি না, তা কমিটি সুপারিশ করবে। যদি প্রয়োজন থাকে, তবে এটি যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবহারের কৌশল প্রস্তাব করবে”- নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসি কর্মকর্তা বলেছেন।
তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ খান এই তহবিলের পক্ষে নন। তিনি গত সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টার কাছে তার অবস্থান জানিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সেই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে, ২২ আগস্ট পূর্ববর্তী বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও বিএসইসি নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেনি।
ফান্ডের যৌক্তিকতা, ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ
কোম্পানিগুলো্র ব্যাংকে পড়ে থাকা অবিতরণকৃত বা অবন্টিত লভ্যাংশ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় সিএমএসএফ, যার ৪০ শতাংশ নগদ অর্থে সরাসরি শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে। কিন্তু, তিন বছর অতিবাহিত হলেও ফান্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আইনগত সমস্যার সমাধান হয়নি, এই অবস্থায় নতুন কমিশন এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় এর অস্তিত্বই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক হি্সেবে ফান্ডের উদ্যোক্তা হওয়া শিবলী কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, “রেগুলেটরের কাজ বাজার নিয়ন্ত্রণ, সুশাসন ও আইন প্রণয়ন করা। কিন্তু কমিশন তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ না করে– ফান্ড গঠন করে তারল্যের যোগান দিতে চেয়েছে, শেয়ার কেনাবেচা করবে সেই সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা রেগুলেটরের কাজ হতে পারে না।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই ফান্ড গঠন ও পরিচালনার আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কমিশনের তত্ত্বাবধানের গঠিত ফান্ডটি গঠন ও পরিচালনার আইনি জটিলতা এখনো শেষ হয়নি। পরিচালনার দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, সে বিষয়েও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
যদিও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের চাপে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ব্যাংকে পড়ে থাকা অবিতরণকৃত বা অবন্টিত লভ্যাংশ এই ফান্ডে জমা দিয়েছে।
বিএসইসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারকে সমর্থন করার জন্য এই ধরনের তহবিল তৈরির উদ্দেশ্য সঠিক ছিল না।
তিনি বলেন, ‘এই ফান্ড গঠন করে আপনি কখনোই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে পারবেন না। কৃত্রিমভাবে একটা ফান্ড গঠনের মাধ্যমে কিছুদিন হয়তো বাজারকে সমর্থন দেওয়া যায়, কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হয় না।”
তিনি আরো বলেন, ফান্ডের অর্থ ব্যবস্থাপনার যে ম্যান্ডেট সে অনুযায়ী পরিচালিত হতে না পারলেও বিপুল ব্যয়ের ঘটনা ঘটেছে, যা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। যেহেতু কমিশনের দ্বারা এই ফান্ড গঠিত হয়েছে, তাই এবিষয়ে তাদেরকেই সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই এই স্থিতিস্থাপক ফান্ড গঠনের বিষয়টি বিতর্কিত ছিল। অবন্টিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের টাকা, যেগুলো সংগ্রহের পরে এই ফান্ডের তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, “অর্থ সংগ্রহের পরে ফান্ড যদি ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত না হয়, সেক্ষেত্রে কমিশন বিষয়টির তদন্ত করতে পারে। যেহেতু এখানে জনগণের অর্থ রয়েছে, তাই ফান্ডকে অবশ্যই ম্যান্ডেট মেনে চলতে হবে।”
একই ধরনের ফান্ড অন্যান্য দেশে যেভাবে কাজ করে
বিভিন্ন দেশে আর্থিক সংকট এবং পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এরকম ফান্ডগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যেমন ১৯৯২ সালে হর্ষদ মেহতা কেলেঙ্কারির ফলে শেয়ার বাজার বিপর্যয়ের পর– ভারতীয় পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়। আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা- এসইবিআই বা সেবি ইনভেস্টরস প্রটেকশন অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ডের ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই তহবিল প্রতারিত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে এবং বাজার সচেতনতা তৈরি ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শিক্ষার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়। বাজারে খুচরা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে আবারো উৎসাহিত করে এই উদ্যোগ, এবং বাজারকে স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রাখে।
২০০৮ সালের আর্থিক সংকটকালে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনার অধীন এক্সচেঞ্জ স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে (ইএসএফ) বাজারে তারল্য বা নগদ অর্থ জোগান দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদান এবং পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ইএসএফকে ব্যবহার করা হয়েছিল, যদিও এর প্রাথমিক কাজ ছিল বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় বাজারকে স্থিতিশীল করা।
২০১৫ সালে একটি বড় ধসের কবলে পড়ে চীনের পুঁজিবাজার, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যেখানে শেয়ারদরের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়। ব্রোকারেজ সংস্থাগুলো বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ না দিতে পারলে– সেজন্য সিকিউরিটিজ ইনভেস্টরস প্রটেকস্বয়ং ফান্ড (এসআইপিএফ) রয়েছে চীনে, এই ফান্ডকেই তখন শেয়ার কিনে বাজারের ধস ঠেকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এসআইপিএফ প্রধান প্রধান কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনে বাজারে হস্তক্ষেপ করে, যা শেয়ারদরকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
এমআই

পুঁজিবাজার
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের খাতের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ০৭ জুলাই, বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একই সভায়, গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনীরিক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
পুঁজিবাজার
পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি দুটি হলো- বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক পিএলসি।
বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
বে-লিজিংয়ের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘বিবি+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৪’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
মিডল্যান্ড ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
উত্তরা ব্যাংক
উত্তরা ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অবৈধ শেয়ার ইস্যু, তদন্তে বিএসইসির কমিটি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের অবৈধ শেয়ার ইস্যু করার বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক রেজাউন নূর মেহেদী।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়। বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে। কী উদ্দেশ্যে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে এত বড় অংকের শেয়ার ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. মনির হোসেন অর্থসংবাদকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে, যেকারণে এই মুহূর্তে কোনো মতামত দিতে পারছি না। তবে কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসে আসেন।
এবিষয়টি জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বোর্ড ড্যাফোডিল পরিবারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার বিপরীতে শেয়ারে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ৪.৬৭ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেয় ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ, যা বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে করার কথা ছিল। তবে, এর আগে কোম্পানিকে এ বিষয়ে এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোম্পানি তা করেনি। ফলে, অবৈধভাবে শেয়ার ইস্যু করার হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারহোল্ডাররা।
বিএসইসির তদন্তের আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দিয়েছে যে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করেছে। তাই, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি।
এমতাবস্থায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান সম্পন্ন করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৫৪ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.২৪ টাকা।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৬ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২টি। ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৪১.৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৪.১১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.১০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪.৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে। এ কোম্পানির স্বল্প মেয়াদি ঋণ আছে ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৮২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত সোমবার (৩০ জুন) কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকায়।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ড্যাফোডিল পরিবারের একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি আইটি সলিউশন, কম্পিউটার অ্যাসেম্বলিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ব্যবসা করে।
এসএম
পুঁজিবাজার
কমিটি পুনর্গঠন করবে বিসিএমআইএ, আগ্রহীদের তথ্য পাঠানোর আহ্বান

পুঁজিবাজারের সার্বিক কল্যাণ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিএমআইএ।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিসিএমআইএ’র সভাপতি এস. এম. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিএমআইএ সকলের ভালোবাসা, সহযোগিতা, সমর্থন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতোপূর্বে অনেক গুলো সভা, সেমিনার ও বিক্ষোভ মিছিল সহ নানান কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এমতবস্থায় সর্বমহলের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে, সেই সাথে সংগঠনের কাজের পরিধি ও দায়বদ্ধতা বেড়েছে। সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে বিসিএমআইএ’র কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা সততা, মেধা, সময়, শ্রম ও মার্কেটের অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে সাদরে সম্মানের সাথে গ্রহণ করবে বিসিএমআইএ। নতুন কমিটিতে যুক্ত হতে চান এমন আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা আগামী ১০ জুলাইর মধ্যে নাম, বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পুঁজিবাজারের সাথে কত বছর যাবৎ জড়িত?, শিক্ষাগত যোগ্যতা- পূরণ করে বিসিএমআইএ অফিসে অথবা ইমেইল bcmia2024@gmail.com অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ০১৫৩৩৫৩৮৬০৭ পাঠাতে হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস করতে যৌথ কমিটির সভায় আলোচনা

পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ০১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনে কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. এজাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকাল ১১ টায় সভাটি আরম্ভ হয়। সভায় বিশেষত অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিতকরণের বিষয়ে সভায় গঠনমূলক আলোচনা হয়।
সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দ- বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ডিএমডি) মো. ইস্তেকমাল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (গবেষণা) মো. আব্দুল ওয়াহাব, বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরিদ আহমেদ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইকবাল হোসেইন এবং কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্মপরিচালক মো. রেজাউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ‘দেশের বৃহৎ কোম্পানিসমূহ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারে বন্ড বা শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহ করে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কার্যপরিধি নির্ধারণ করে পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির কাজের পদ্ধতি প্রণয়ন এবং পরবর্তী করণীয় সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত সভায় আলোচনা হয়েছে। বিশেষত অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিতকরণের বিষয়ে সভায় গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে উক্ত যৌথ কমিটি গঠিত হয়েছে।
সরকার ও দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রকসংস্থাদ্বয়ের সমন্বয়ের গঠিত উক্ত কমিটির কার্যক্রম, উদ্যোগ ও পদক্ষেপ আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিএসইসি আশা করে।
এসএম