সারাদেশ
ভারতীয় ঢলে রংপুরে বন্যা, পানিবন্দি হাজারো মানুষ
ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বেড়েছে। এতে রংপুরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রাস্তাঘাট ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকায়। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোও ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া ভাঙন-আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।
পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার আশপাশে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ, গজঘণ্টা, আলমবিদির, নোহালী, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, মধুপুর, হারাগাছ, ঢুসমারা, শহীদবাগের গান্নার চর, পীরগাছা উপজেলার ছাওলা, পাওটানার প্রায় ৫০টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এ নিয়ে অষ্টম বারের মত বন্যার কবলে পড়ল তিস্তাপাড়ের মানুষ।
গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ানের চরের বাসিন্দা দুলাল ইসলাম (৩৫) নামে এক কৃষক বলেন, আজ ভোর থেকে বাড়িঘরে নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় চরের অনেক পরিবার তাদের মালপত্র সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে যাচ্ছে।
গজঘন্ট ইউনিয়নের ছালাপাক চরের কৃষক জয়নাল হোসেন বলেন, গ্রামটি তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে হওয়ায় পানি বাড়লেই বন্যায় আক্রান্ত হতে হয়। সকালেই গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। ঘরের ভেতরে এখন তিস্তার পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দুপুরের দিকে পানি সামান্য কমলেও সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি আবারও বাড়বে। তাই চরাঞ্চলবাসীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাই এখন যে যার স্থানে দায়িত্ব, সেই স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ২০ শতাংশ ছাড়
বান্দরবানে ঝিমিয়ে পড়া পর্যটনশিল্পকে চাঙা করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের ভাড়া ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ভাড়া কমানোর ঘোষণা দেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ শতাংশ ছাড় কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি নাসিরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নেজাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবহননেতারা বলেন, করোনাভাইরাসের অতিমারিসহ নানা পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ বছর ধরে জেলায় পর্যটকশূন্যতা বিরাজ করছে। জেলার অধিকাংশ মানুষ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন খাতের মালিক ও শ্রমিকেরা। জেলায় পর্যটক পরিবহনে এক হাজারের মতো মানুষ নিয়োজিত; যাঁরা জিপ, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারী। পর্যটক না থাকায় তাঁরা কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কিছু সমস্যা থাকলেও অন্য এলাকাগুলোতে এখন পর্যটক ভ্রমণে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। পর্যটকেরা যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন। বিষয়টি অনেকেই জানেন না। তাই পর্যটকদের উৎসাহিত করতে পরিবহনভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি
টানা ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। এদিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোও ঝুঁকিতে পড়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৭ মিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার দুপুর থেকে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়। ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বামতীরের জেলা লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও চরবাসী জানায়, ভারতের সিকিমে উৎপত্তিস্থল থেকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। নদীর বাংলাদেশ অংশের উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা পানি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ফারাক্কা গেট খুলে বাংলাদেশ অংশে ছেড়ে দেওয়া হয়। একইভাবে শুষ্ক মৌসুমে গেট বন্ধ করে বাংলাদেশকে মরুভূমি করে তিস্তার পানি একক ব্যবহার করছে ভারত সরকার।
উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বর্ষাকাল শুরু হলেই তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয় পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে। টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি
উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। ফলে রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওইসব অঞ্চলের। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে নদীপাড়ের মানুষ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে একই সময়ে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ এই পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ১ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ী, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর এবং গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের জুলহাস মিয়া বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি এবং বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে আছি।
বাইশপুকুর গ্রামের সলেমান আলী বলেন, পানিবন্দি হয়ে বৃদ্ধ, শিশু ও নারীদের নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি দিনের বেলায় রাস্তার উঁচু স্থানে রাখলেও রাতে কষ্ট বাড়ে। নির্ঘুম রাত কাটছে সবার।
এদিকে বন্যা-পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (≥৮৯ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন হ্রাস পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তী দুই দিনে তিস্তা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।
এদিকে ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর ১ লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বৃষ্টিতে বাড়ছে তিস্তার পানি, বন্যার শঙ্কা
টানা দুদিন বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের কারণে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫১.৮৩ সেন্টিমিটার, যা সকাল ৬টায় ছিল ৫১.৭৬ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমা ৫২.১৫ সেন্টিমিটার।
বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর অঞ্চলে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি করছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও সংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী দুই দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীর পানি সতর্ক-সীমায় প্রবাহিত হতে পারে, যার ফলে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে পরবর্তী চার দিনে তা বৃদ্ধি পেতে পারে।
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার সব নদী এবং বিলের পানির স্তর বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, বসতবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, এবং আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে, তাই পানি চাপ সামলাতে ৪৪টি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয় ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তদের হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
সেই অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য ৩ সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্জয় ও তার স্ত্রীর নামে একক বা যৌথ নামে অথবা তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চেজ ট্রেডিং লিমিটেড ও চেজ পাওয়ার লিমিটেড কোনো ধরনের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআর, মেয়াদি আমানত, লকার, সঞ্চয়পত্র, ঋণ হিসাব, ডিপিএস (চলমান, বন্ধ ও সুপ্ত অবস্থায়) বা অন্য কোনো প্রকার হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সে সবের পূর্ণাঙ্গ লেনদেনের বিবরণীসহ দাখিল করা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্যাদি ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এমআই