জাতীয়
কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই আমাদের ভবিষ্যতের নাগরিক এই কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৪’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের সব কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানাই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা মিলে দেশে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাগিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা কতগুলো সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে, সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে, কেউ তার লিঙ্গ-ধর্ম-বর্ণ-ভাষার কারণে নিগৃহীত ও বঞ্চিত হবে না।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই আমাদের ভবিষ্যতের নাগরিক এই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; তাদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে, তাদের বিকাশের সব সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। কন্যাশিশুদের চোখে দেখতে হবে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।
তিনি জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বিএনপির ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসিত: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বিএনপির ভূমিকা দেশের মানুষ অবগত। তাদের ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশংসনীয়।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, বারবার আমরা দেখছি- এদেশে গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এ দেশে। সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সংগ্রাম করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আরো আছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে।
কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক হয়।
এরপর সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে চায় ঐকমত্য কমিশন। পরে মতামত তুলে ধরে ৩৪টি দল, যাদের সঙ্গে এখন আলাদা করে বৈঠক করছে কমিশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মে থেকে সারাদেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা

আগামী ১ মে থেকে সারাদেশে ডিম ও উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজান ও ঈদ মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান দিয়ে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছেন। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা লোকসানে, এক মাসে লোকসান হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
এছাড়া দৈনিক ৪ কোটি ডিমের মধ্যে প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করেন ৩ কোটি ডিম। প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসানে, দুই মাসে ডিমে লোকসান হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। মোট দুই মাসে ডিম ও মুরগির খাতে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
কিন্তু এমন অবস্থায় সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নীরবতায় কিছু করপোরেট কোম্পানি পুরো পোল্ট্রি শিল্প দখলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা শুধু ফিড, বাচ্চা ও ওষুধ নয়-ডিম ও মুরগির বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক খামারিদের ঠেলে দিচ্ছে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ এর দাসত্বে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের আগে ২৮–৩০ টাকায় উৎপাদিত বাচ্চা কর্পোরেট কোম্পানিগুলো ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি করে। এখন সেই বাচ্চাই ৩০–৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ১৬০–১৭০ টাকা, অথচ কর্পোরেটরা বাজারে বিক্রি করছে ১২০–১২৫ টাকায়। ফলে লোকসানে খামারিরা। আবার ডিমের উৎপাদন খরচ ১০–১০ দশমিক ৫০ টাকা, অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮–৮ দশমিক ৫০ টাকায়। বাজার মূলত কর্পোরেটের হাতে। তারা দাম নির্ধারণ করে। আর খামারিদের বাধ্য করা হয় মানতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। এসব দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও নির্ধারণ কমিটি গঠন।
২. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন
৩. পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি গঠন
৪. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ
৫. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড
৬. কোম্পানিকে কেবল কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা
৭. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও কোম্পানির খামার নিষিদ্ধ করা
৮. কেজি ভিত্তিক ডিম ও মুরগি বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন
৯. ডিম-মুরগির রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি
১০. পূর্ণাঙ্গ ‘পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র সচিব-আইজিপিকে নোটিশ

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা মহড়ায় ধর্মীয় অবস্থানকে ‘অপরাধী’ হিসেবে উপস্থাপন করায় স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দৈনিক আল-ইহসান পত্রিকার প্রতিবেদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, আরটিভির ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে পুলিশ মহড়ায় কিছু ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যারা উচ্চস্বরে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ এবং ‘পহেলা বৈশাখ ইসলামবিদ্বেষী কাজ’। এরপর পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং ধরপাকড়ের দৃশ্য প্রদর্শন করে।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ — এই বক্তব্যকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপন করা এবং সেই কারণে তাদের ‘গুলির যোগ্য’ হিসেবে চিত্রিত করা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন।
এছাড়া, নোটিশে উল্লেখ করা হয় যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর নওরোজ ও মেহরেগান নামক প্রাক-ইসলামী উৎসব বাতিল করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নির্ধারণ করেছিলেন। এই সুন্নাহ অনুসরণ করে বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এটি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অংশ, যা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৪১ অনুচ্ছেদে নিশ্চিতকৃত মৌলিক অধিকার।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের মহড়ায় প্রদর্শিত এই আচরণ বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ২৯৫(ক)-এর আওতায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।
আইনি নোটিশে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, মহড়ার পরিকল্পনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু

ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সাড়ে সকাল ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।
বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, বিমান যোগাযোগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দেনা পাওনা নিয়েও আলোচনা উঠতে পারে।
বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরসূচিও চূড়ান্ত হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিকেল সাড় ৫ টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিং করবেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তারপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যোগ দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।
২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর এই বৈঠক আর হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক আবার শুরু হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট শতাধিক তরুণ-যুবক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন। ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ নামে ভাস্কর্যটিসহ অন্য ভাস্কর্যগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ গতকাল বুধবার বলেন, এবার বড় পরিসরে মুজিবনগর দিবস পালন করা হচ্ছে না। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যগুলো আবার নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।