অর্থনীতি
আরও ১৬ পণ্যের বিএসটিআই সনদ বাধ্যতামূলক হচ্ছে
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (স্পোর্টস ড্রিংকস), প্রিন্টেড সিল্ক শাড়ি, ডিস ওয়াসার্স, ওয়াশিং মেশিন, কিচেন মেশিনস, কিচেন হুডস, বেড ম্যাট্রেসসহ আরো ১৬টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আজ রবিবার তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১৬টি নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে বিএসটিআইর বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২৯৯ টি। এ ১৬টি পণ্যের গেজেট করা হলে বাধ্যতামূলক মান সনদের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১৫টি।
আরো যেসব পণ্য বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভূক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো- স্টেভিয়ল গ্লাইকোসাইডস, কাস্টার্ড পাউডার, ইভাপোরেটেড স্কিম মিল্ক অ্যান্ড ভেজিটেবল ফ্যাট, ইভাপোরেটেড মিল্কস, অ্যালুমিনিয়াম এলয় ফয়েল, উড প্লাস্টিক রিসাইকেল কম্পোজিটস, হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক কুকিং অ্যাপ্লায়েন্স এবং জেল ইন্ক বল পেন অ্যান্ড রিফিলস।
শিল্প উপদেষ্টা ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আদিলুর রহমান খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিএসটিআই কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য-সচিব এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইন, কৃষি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ এটোমিক এনার্জি কমিশন, বিসিএসআইআর, ইপিবি এবং এফবিসিসিআই, বিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব এস এম ফেরদৌস আলম সভা পরিচালনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮ দিনে রেমিট্যান্স ছাড়ালো দুই বিলিয়ন ডলার
চলতি মাসের চার সপ্তাহেই দুই বিলিয়ন ডলার (২১১ কোটি ডলার) ছাড়িয়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে গড়ে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা। যদিও আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার, যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস মিলছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার বিষয়ক (এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ডের ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। অন্য সমবায়গুলো শুধু কমিটি কারা করবে এ নিয়ে মারামারি, মামলা করে। সমবায় ব্যাংক দাঁড়াতে পারছে না কারণ সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মন-মানসিকতার অভাব রয়েছে। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়, কী উন্নয়ন হলো সেটির দিকে তাদের লক্ষ্য নেই।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসি চেয়ারম্যান ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলম গোষ্ঠীর সব সম্পদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
এস আলম গোষ্ঠী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছে ও বিদেশে কত টাকা পাচার করেছে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপ, গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল এবং এসব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকসহ তিন খাতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি
দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি সংস্কারে বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি খাতের সংস্কারে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। একই আশ্বাস দিয়েছে আইএফসিও। তবে কী পরিমাণ সহায়ত আসতে পারে এ বিষয়ে আগামী অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, ব্যাংকিং খাত, ভ্যাটসহ রাজস্ব কাঠামো, অর্থ পাচার রোধ ও আর্থিক খাতের সংস্কারে আইএমএফের কাছে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। একই সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার কাছেও।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইলিশের দাম ৭০০ টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ
বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে সরকারের বিভিন্ন দফতরে এ নোটিশ পাঠান তিনি।
জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেকোন দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এমআই