অর্থনীতি
ব্যাংকসহ তিন খাতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি
দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি সংস্কারে বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংক ও আইএফসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি খাতের সংস্কারে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। একই আশ্বাস দিয়েছে আইএফসিও। তবে কী পরিমাণ সহায়ত আসতে পারে এ বিষয়ে আগামী অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সম্মেলনে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, ব্যাংকিং খাত, ভ্যাটসহ রাজস্ব কাঠামো, অর্থ পাচার রোধ ও আর্থিক খাতের সংস্কারে আইএমএফের কাছে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। একই সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার কাছেও।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮ দিনে রেমিট্যান্স ছাড়ালো দুই বিলিয়ন ডলার
চলতি মাসের চার সপ্তাহেই দুই বিলিয়ন ডলার (২১১ কোটি ডলার) ছাড়িয়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে গড়ে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা। যদিও আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার, যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস মিলছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার বিষয়ক (এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ডের ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। অন্য সমবায়গুলো শুধু কমিটি কারা করবে এ নিয়ে মারামারি, মামলা করে। সমবায় ব্যাংক দাঁড়াতে পারছে না কারণ সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মন-মানসিকতার অভাব রয়েছে। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়, কী উন্নয়ন হলো সেটির দিকে তাদের লক্ষ্য নেই।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসি চেয়ারম্যান ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলম গোষ্ঠীর সব সম্পদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
এস আলম গোষ্ঠী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছে ও বিদেশে কত টাকা পাচার করেছে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপ, গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল এবং এসব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইলিশের দাম ৭০০ টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ
বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে সরকারের বিভিন্ন দফতরে এ নোটিশ পাঠান তিনি।
জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেকোন দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশি ঋণ সংগ্রহে ড. ইউনূসের মুন্সিয়ানা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের অর্থনীতি সংস্কার কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন এনেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী থেকে এখন পর্যন্ত হাজার কোটি ডলারের বেশি ঋণের আশ্বাস পেয়েছেন। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রথম সফরেই মিলেছে প্রায় পৌনে সাত বিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশ্বাস। এতে দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ সংস্কারে ৩৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে নতুন ঋণ ২০০ কোটি ডলার আর বাকি ১৫০ কোটি ডলার আসবে চলমান প্রকল্প এগিয়ে নিতে। এছাড়া চলমান ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির বাইরে বাংলাদেশকে আরও ৩০০ কোটি ডলার দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশকে দিচ্ছে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা।
পাশাপাশি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি খাতে সংস্কারে সংস্থাটি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ নাগাদ মিলতে পারে আরও ৫০ কোটি ডলার। আগামী তিন বছরে বাংলাদেশকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে দেবে ১০০ কোটি ইউরো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের বাজেট সহায়তা ও পলিসি বেইজড ঋণ দেশের রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্পে ব্যবহারেরও বাধ্যবাধকতা থাকে না। এছাড়া সরকারের বৈদেশিক সূত্র থেকে ঋণ নেয়া দেশের বেসরকারি খাতের জন্য ভালো বলেই মনে করেন ব্যবসায়ীরা। তবে, পরিশোধের চাপ সামলাতে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়াতে ঋণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের তাগিদ তাদের।
এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, বৈদেশিক ঋণ নেয়াটা আমাদের দেশের বেসরকারি খাতের জন্য ভালো। তাহলে দেশীয় ব্যাংক খাতের ওপর চাপটা পড়ে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঋণ পরিশোধ করতে গেলে রফতানির যে গ্রোথ দরকার, সেটার জন্য আমরা ইনভেস্টমেন্ট করতে পারছি কিনা বিষয়টিও দেখতে হবে।
এমআই