জাতীয়
তরুণ নাগরিকদের পেছনে বিনিয়োগ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান

দেশের তরুণদের ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব নেতাদেরকে একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গঠনে নিজ দেশের তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনায় বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বাংলাদেশ গত জুলাই ও আগস্টে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে, তার জন্য আমি জাতিসংঘের এই সংসদে দাঁড়িয়ে আছি।”
‘জনগণের শক্তি’ বিশেষ করে যুবসমাজ বাংলাদেশিদের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসন থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করেছে।
মানবিক মর্যাদা, স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক চেতনার নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের কৃতিত্বও দেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, “এই রূপান্তর চ্যালেঞ্জমুক্ত নয়, তবে জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজের সহনশীলতা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের দৃঢ় সংকল্প আরও ন্যায়সঙ্গত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে।”
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন এবং শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য তার দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের জনগণ অসাধারণ সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতা ও তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। আজকের তরুণরা ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার ও সাম্যের জন্য সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি তার ভাষণে এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যেখানে তরুণরা উন্নতি করতে পারে, উদ্ভাবন করতে পারে এবং নেতৃত্ব দিতে পারে।
বৈশ্বিক পর্যায়ে অধ্যাপক ইউনূস তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের তরুণরাই দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষম্যের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেন্দ্রীভূত।
তিনি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্ব তৈরি করতে তাদের তরুণ নাগরিকদের সম্ভাবনায় বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে তরুণদের সক্রিয়তার ঐতিহ্য এবং এর ভবিষ্যৎ গতিপথ তুলে ধরে তার বক্তব্য শেষ করেন।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শিক্ষা কীভাবে আজকের যুবকদের কর্ম ও আকাঙ্ক্ষায় প্রতিধ্বনিত হয় তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিশ্ব হয়তো দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তবে আমাদের যুবসমাজ যে মূল্যবোধকে সমর্থন করছে, তা চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের তরুণরা দেখিয়েছে যে, স্বাধীনতা, মর্যাদা ও মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা শুধু উচ্চাকাঙ্খা হয়েই থাকতে পারে না- এটি পদ-ভেদাভেদ নির্বিশেষে সবার প্রাপ্য।”
বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বেশ ব্যস্ত অবস্থান ও ধারাবাহিক বৈঠক শেষে শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নিউইয়র্ক সময় রাত সাড়ে ৯টায় জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এবং শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে (ঢাকা সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে জানান, এখানে চারদিন অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রায় ৪০টি বড় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ২৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্তত ১২ জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সবার জন্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘নতুন বাংলাদেশ’র সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণে এই আহ্বান জানানো হয়।
‘এটি একটি যুগান্তকারী বক্তব্য ছিল’ উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ভাষণে বাংলাদেশের সমস্যা ছাড়াও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয় উঠে এসেছে।

জাতীয়
ঢাকা উত্তরের ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: প্রশাসক

ঈদুল আজহার প্রথম দিন সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসক এজাজ বলেন, কোনো ওয়ার্ডেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা পড়ে নেই। প্রধান সড়কগুলোর পাশে সব ময়লা আমরা পরিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা সাত হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করেছি। যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ। আগামী তিন দিন আমাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলবে।
জাতীয়
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) তিনজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে চার জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট চার হাজার ৪৮৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৩ জন মারা গেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৭৫ জন।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে শনিবার (৭ জুন) দুপুরে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে তারা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়াও দুপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (৭ জুন) দুপুরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সারা দেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, কোরবানির ত্যাগ ও পারস্পরিক সহানুভূতির এক মহৎ বার্তা নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা।
জাতীয়
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে।’
শনিবার (৭ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের নিজ গ্রামের তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পরপর তিন বার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট শেষ হওয়া খুবই জরুরি।
জামায়াত আমির বলেন, ঈদুল আজহা ত্যাগ, আত্মনিয়োগ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এ মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক– অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এসময় সিলেট মহানগরী আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।