অর্থনীতি
চ্যালেঞ্জে সরকারের ডিম-মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে পণ্য দুটি উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
ফেনীসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১২টি জেলার বন্যায় খামার ও পশুখাদ্য নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এবং ফিড ও মুরগির বাচ্চার চড়া মূল্যের কারণেই পণ্য দুটির দামে অস্থিরতা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গত ১৫ আগস্ট প্রতিটি ডিমের দাম ১১.৮৭ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা বিক্রেতা ও সুপারশপগুলোতে প্রতিটি ডিম সর্বোচ্চ ১৪.১৬ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে ডিম ও মুরগির উৎপাদনকারীদের দুই অংশের দুই ধরনের যুক্তি দিচ্ছে।
প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, এই দাম বেঁধে দেওয়ায় খামারিদের লোকসান হচ্ছে, কারণ ফিড ও মুরগির বাচ্চার চড়া মূল্যের কারণে প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে কর্পোরেট শ্রেণির উৎপাদনকারীরা বলছেন, বন্যায় অনেক খামারের মুরগি মরে যাওয়ার কারণে ডিম ও মুরগির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না। তবে ‘ফিডের দাম ঠিক আছে’ বলে উল্লেখ করেন তারা।
অবশ্য বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ সরকারি কয়েকটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, ফিডের দাম নিয়ে আরও পর্যালোচনা করার জায়গা রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, পশুসম্পদ খাতে বন্যায় ৪৩৫.৩২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যেখানে খামারের অবকাঠামো, মুরগি ও মুরগির খাবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন খামারের ২৫.৩৮ লাখের বেশি মুরগি মারা গেছে। তবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে বন্যায় আক্রান্ত হওয়া মুরগির সংখ্যা ৪৬.৫১ লাখের বেশি।
উৎপাদনকারীরা বলছেন, এই লাখ লাখ মুরগি মারা যাওয়া এবং উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ডিম ও মাংসের সরবরাহ চেইনে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সরবরাহ কমেছে। তবে দেশে উৎপাদন এখনও চাহিদার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘বন্যার কারণে যদি ২০-২৫ লাখ ডিমের উৎপাদন কমও হয়, তাতেও সমস্যা নেই। কারণ, প্রতিদিন ৪ কোটি পিস চাহিদার বিপরীতে দেশে এর আগে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিমের উৎপাদন ছিল।’
কর্পোরেট উৎপাদনকারীদের সমালোচনা করে সুমন বলেন, তারা প্রান্তিক খামারিদের কাছে এক বস্তা (৫০ কেজি) ফিড বিক্রি করে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়; কিন্তু নিজেদের চুক্তিবব্দধ খামারির কাছে বিক্রি করে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। একইভাবে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে মুরগির বাচ্চা। এ কারণে সরকার দাম বেঁধে দিয়ে কর্পোরেট উৎপাদনকারীদের বাড়তি লাভ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
এদিকে কাজী ফার্মসের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, ‘মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে। বন্যার কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারদর বেড়েছে। ২০২৩ সালে বন্যার পরেও ডিমের দাম বেড়েছিল। তাই এ বছরও বন্যার পরে একই প্রভাব দেখা স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, কাজী ফার্মস এখনও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া পাইকারি দরে ডিম বিক্রি করছে এবং সরকার-ঘোষিত মূল্যের চেয়ে কম দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে।
কর্পোরেট খামারিদের সংবাদ মাধ্যমে প্রাকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সরকারিভাবে ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতির কথা বলা হলেও এটা আসলে ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ খামারি আক্রান্ত হয়েছেম এ বন্যায়। আর আক্রান্ত খামারের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।
এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে পোল্ট্রি খাতের সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি সভা হয়। ওই সভার কার্যবিবরনী থেকে জানা গেছে, সভাটি করা হয়েছিল বন্যার কারণে ডিম, মুরগি ও ফিডের বাজার, উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে, সে বিষয়ে সবার মতামত নেওয়ার জন্য।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ডিম উৎপাদনে ঘাটতি নেই, তবে বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। তিনি অবশ্য এ সময় প্রতিদিন ৬.৩০ কোটি পিস ডিমের উৎপাদনের সম্ভাব্য বাস্তবতাবিবর্জিত তথ্যও উপস্থাপন করেন।
তবে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, খামারি থেকে ভোক্তা পর্যায়েই ডিমের দামে ৩-৪ টাকার পর্থ্যক্য হয়। এই ইস্যুতে সবাই মিলে কাজ করলে ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে।
ঢাকার বিভিন্ন আড়তের ডিমের পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃহৎ কর্পোরেট গ্রুপগুলো ডিলারদের চাহিদার চেয়ে কম পরিমাণে ডিম সরবরাহ করে। এ কারণে বাজারে ডিমের দাম বাড়ে।
একইসঙ্গে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিড ও মুরগির বাচ্চার বাড়তি দামের বিষয়ে অভিযোগ তুললে কাজী ফার্মস লিমিটেডের পরিচালক জাহিন হাসান বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে ফিডের দাম বেড়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ডিমের মূল্য কমানো এবং স্থিতিশীল রাখতে ফিডের মূল্য বিবেচনায় আনার অনার অনুরোধ জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তলব করেন।
চট্টগ্রামের মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. গোলাম সরওয়ার চৌধুরী ও অন্য ব্যবসায়ী গ্রুপ জাল-জালিয়াতি করে ওই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়। দুদক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। ১৭ কর্মকর্তার বিষয়ে ও অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য চেয়ে উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত স্বাক্ষরিত চিঠি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ওইসব কর্মকর্তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসের ঋণ পরিদর্শন বা মনিটরিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভূমিকার যৌক্তিকতা সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গত ১১ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওইসব কর্মকর্তাদেরকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিলো। তারা ওইদিন হাজির না হওয়ায় তাদেরেক দুদকে হাজির হয়ে ঋণ-সংক্রান্ত পরিদর্শন রেকর্ডপত্র ও লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ওই ১৭ কর্মকর্তা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের উপপরিচালক মে. জুবাইর যেসেন, উপপরিচালক খোরশেদুল আলম, রুবেল চৌধুরী, দেবাশীষ বিশ্বাস, মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবলু, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, কোল হোসেন, সৈয়দ মু আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক ছলিমা বেগম, শংকর কান্তি ঘোষ, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও মো. সোয়াইব চৌধুরী।
বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকা অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুর রউফ, উপপরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ, পরিদর্শন দলের নেতা ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুর হোসেন খান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খেজুরের আমদানিতে কমলো শুল্ক, থাকছে না অগ্রিম কর
রমজানে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ও সমুদয় অগ্রিম কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন ওই সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য খেজুর আমদানির ওপর বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৩ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে অর্থাৎ মোট করভার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে ১৭ নভেম্বর খেজুর আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুর আমদানিতে আগাম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ, আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি বাতিল এবং আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করে ট্যারিফ কমিশন।
এনবিআর মনে করে, খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-কর হ্রাস করার ফলে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় প্রায় ৬০ টাকা হতে ১০০ টাকা হ্রাস পেতে পারে। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর হ্রাসের ফলে খেজুরের আমদানি বৃদ্ধি পাবে, বাজারে খেজুরের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং খেজুরের বিক্রয় মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (২২ নভেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুস-ড্রিংকস রপ্তানিতে মিলবে নগদ প্রণোদনা
কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তার জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে দেশে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ফ্রুটবার, ড্রিংকস জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। বর্তমানে এ খাতের রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয় সরকার।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কৃষিপণ্য (শাক-সবজি ও ফলমূল) এবং প্রক্রিয়াজাত (অ্যাগ্রো প্রসেসিং) কৃষিপণ্য রপ্তানিতে রপ্তানি প্রণোদনা নগদ সহায়তা প্রদান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে জারি করা এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে ফল ও সবজি থেকে উৎপাদিত সব ধরনের পেস্ট, ফ্রুটবার, টিনজাত সামগ্রী, ডিহাইড্রেটেড সামগ্রী, জুস, ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। এর সঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করা বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সহযোগী বা ভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস এবং ড্রিংক্স ইত্যাদি রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাবে।
কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত আগের জারি করা অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ডলার
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ ছয় কোটি ১০ লাখ বেড়ে এক হাজার ৮৪৯ কোটি কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়াল। বর্তমানে বিভিন্ন তহবিলসহ গঠিত মোট রিজার্ভ দুই হাজার ৪২৭ কোটি ডলার।
আগের সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের বিল পরিশোধের পর নভেম্বরের মাঝামাঝি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর সদস্যদেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
আকুর বিল পরিশোধ ছাড়াও রিজার্ভ থেকে দৈনন্দিন ভিত্তিতে বিদেশি ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। সরকারের জরুরি আমদানি ব্যয় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিও করতে হয়।
অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, প্রবাসী আয়ের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে জমা হয়।
কাফি