জাতীয়
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পদ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ এমপির চিঠি

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তা বাংলাদেশকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। একই সাথে এ বিষয়ে তদন্ত এবং সম্পদ জব্দ করতে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই পার্লামেন্ট সদস্য।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগারকে দেওয়া এক চিঠিতে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন আপসানা বেগম। চিঠিতে তিনি বলেছেন, সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও নানা ধরনের আর্থিক অপরাধের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
ফেসবুক ভেরিফায়েড নিজের আইডিতে আপসানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেখানে যে চিঠির কপি তিনি আপলোড করেছেন, তাতে দেখা যায়, আপসানা বেগম বলেছেন, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তার মালিকানা বাংলাদেশের। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে লড়াই–সংগ্রাম করছে, তাতে সহায়তা করতে এই সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের অবনমন এবং কর্মক্ষেত্রের অধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে, এমন প্রমাণও আছে। তিনি আরও বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করে ফিরিয়ে দেওয়া শুধু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্যতা প্রাপ্তি ও তাদের ভবিষ্যৎ অধিকার সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখার জন্যও জরুরি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ১৫ কোটি পাউন্ড মূল্যের যে ২৮০টি সম্পত্তি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানধীন প্রতিষ্ঠানের নামে আছে বলে ভূমি কার্যালয়ের নথি থেকে জানা গেছে, তার মধ্যে ৭৪টি সম্পদ আপসানা বেগমের নিজের আসন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে অবস্থিত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। আপনার উৎপাদন কারখানা এখানে তৈরি করুন। এখানে তৈরি করুন যেখানে খুশি বিক্রি করুন, যেকোনও দেশে। আমাদের এখানে লোকবল আছে, এখানে কাজ করার জন্য অন্য দেশ থেকে লোক আনার প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায় তার সম্মানে আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের একদিকে নেপাল, আরেকদিকে ভুটান, আমাদের সীমান্তের খুব কাছেই। আমাদের উত্তরে ভারতের সাতটি রাজ্য। আঞ্চলিক অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করে অন্তর্ভুক্ত হলে দারুণ একটা কাজ হতে পারে। এটি তাদের করতেই হবে- কারণ আর কোন উপায় নেই। নেপাল-ভুটান কারও সমুদ্র নেই, ভারতের সেভেন সিসটারও সমুদ্র পায় না। সবাই মিলে একসঙ্গে করলে সমুদ্রের ব্যবহার করা যায়। এর ফলে এখানে একটা হাব তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশ কারখানা তৈরিতে যত সহায়তা প্রয়োজন আমরা করবো মন্তব্য করে বলেন, আমরা বাংলাদেশে এই ধরনের অর্থনীতি তৈরি করতে চাই। যেখানে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সম্প্রতি আমরা বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করেছি, তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। আমি যেখানেই যাই, সবাইকে স্বাগত জানাই, ইতিবাচক সাড়াও মিলে। তাই আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই, আপনারা আসুন, দেখে যান লাখ লাখ তরুণের উদ্যম, সৃজনশীলতা।
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে চিনেন, তারা জানেন কতটা ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। ১৮ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বয়স ২৭ বছর। অনেক বড় একটা তরুণ জনগোষ্ঠী, যাদের প্রযুক্তি, জ্ঞান, শিক্ষা সবকিছুরই প্রাপ্যতা আছে। আমি শুধু তরুণ ছেলেদের কথা বলছি না, আন্দোলনে তরুণ মেয়েরা নেতৃত্বও দিয়েছে। রাস্তায় কীভাবে এদেশের মেয়েরা প্রতিবাদ করেছে- সেটা একটা দেখার মতো দৃশ্য ছিল। এ জন্য তারা এটাকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ বলে থাকে, যেটা আমাদের তৈরি করতে হবে, অতীতে যা কিছু হয়েছে তা বাদ দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, (বিগত সরকারের আমলে) দেশের অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, গত ৮ মাস ধরে ঠিক করার চেষ্টা চলছে। এটাই আমাদের কাজ। আমরা বিভিন্ন খাতে সংস্কার কমিশন করে দিয়েছি, তারা সুপারিশ করবে। এখন আমরা সেগুলো বাস্তবায়নের পর্যায়ে আছি। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই নির্বাচন হবে।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাইয়ে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ শুরু করলো। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালালো, হত্যা করলো। এটা ছিল ক্ষোভের সাম্প্রতিক অংশ। এর আগেও অনেক ক্ষোভ ছিল, ১৬ বছর ধরে ভুয়া নির্বাচন, মানুষ গুম হয়ে যেত নিয়মিত, সারা দেশে টর্চার সেল করা হয়েছিল, ব্যাংক থেকে অর্থ চুরি করেছিল, পুরো ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছিল, মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি- এগুলোই চলছিল বিগত ১৬ বছর ধরে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররা প্রতিবাদে নেমে আসলো, বললো- ‘যথেষ্ট হয়েছে’। কয়েক হাজার তরুণ নিহত হয়। ছাত্ররা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের মুখে যাত্রা শুরু করে। মানুষের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। সারাদেশ থেকে মানুষ চলে আসছিল, বেশ ভয়ানক দৃশ্য ছিল সেটা। দেশ ত্যাগ করার জন্য তাকে তার বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। সেই থেকেই বাংলাদেশ তার শাসন মুক্ত হলো। আমি দেশের বাইরে ছিলাম, এই কারণেই আমাকে দায়িত্ব নিতে হলো। অন্তর্বর্তী সরকার এভাবেই গঠন হলো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ড. ইউনূসের সঙ্গে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

কাতার সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাউদ বিন শেরিদা আল কাবি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় আয়োজিত আর্থনা সম্মেলনের সাইডলাইনে তাদের এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাৎকালে কাতার থেকে আরও অধিক পরিমাণে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা চারদিনের সফরে গতকাল সোমবার কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার আর্থনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া সাইডলাইনে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পারভেজ হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম হৃদয় মিয়াজি (২৩)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে গত রোববার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই।
গতকাল সোমবার এই তিনজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা এখন পুলিশি রিমান্ডে।
পুলিশ ও মামলার এজাহারের তথ্যমতে, পারভেজ প্রাইমএশিয়ার গলিতে সিঙ্গাড়া খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। ওই সময় সেখানে দুজন ছাত্রী ছিলেন। ওই ছাত্রীদের দেখে পারভেজ ‘হাসাহাসি’ করেছেন বলে দাবি করে অভিযুক্ত ছাত্রীরা তাদের বন্ধুদের ফোন করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসাও করে দেয়।
কিন্তু মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফারী হাজারীপাড়া এলাকার কিছু ছেলেকে ডেকে নিয়ে আসেন এবং পারভেজের ওপর হামলা চালান। এসময় পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে দৌড়ে আসার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে-পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে কয়েকজন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বাকিরা বহিরাগত।
মামলার আসামিরা হলেন- মেহরাজ ইসলাম (২০), আবুজর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে এজাহারে সোবহান নিয়াজ তুষারের পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে। হৃদয় মিয়াজির পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একই ইউনিটের যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু

দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।
যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফেরত আনা প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার বলেন, আমরা এখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি। যেটাকে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) বলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বিদেশি অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশের অ্যাম্বাসিতে যাবে। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দুদক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, এর আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। তাকে যেসব চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে- তা তার বাংলাদেশি ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে। তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছি না। মামলা যখন হয়ে গেলো, তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেড অ্যালার্ট নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি এখনো কমিশনে আলোচিত হয়নি।
এটি কবে আলোচিত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তী কমিশন সভায়। এ সপ্তাহে যদি না হয়, আগামী সপ্তাহে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন। চুক্তি হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনাসদস্য নেবে কাতার

বাংলাদেশ থেকে কাতার ৭২৫ সৈনিক নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ সৈনিকদের কাতারে পাঠানো যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কুয়েতের দোহায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার মিলিটারি সেক্রেটারির বরাত দিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর। কুয়েতে চাকরিকালে একজন সৈনিক প্রতি মাসে আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা বেতন পান।
তিনি বলেন, উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় থেকে বাংলাদেশের সৈনিকরা কুয়েতে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি তিন বছর পরপর নতুন সৈনিকরা কুয়েতে দায়িত্ব পালন করতে যোগদান করেন।
বাংলাদেশ সরকার আরও বেশি সংখ্যক সৈনিক পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।