জাতীয়
সরকারি গাড়ি বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যবহারে কড়া নিষেধাজ্ঞা
সরকারি কাজে বরাদ্দকৃত গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মের বাইরে গিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চিঠির বিষয়টি জানা গেছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিধিবহির্ভূত সরকারি গাড়ি ব্যবহার করায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার অনমনীয়।
চিঠিতে উল্লেখ আছে, এই মর্মে সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের বেশ কিছু কর্মচারী প্রচলিত বিধি ও প্রাধিকার বহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রণালয় বিভাগ থেকে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, ব্যাংক-বীমা কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে অধিযাচন করে গাড়ি আনা হচ্ছে। এ ছাড়াও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২০ এর আওতায় গড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করছেন। নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এরূপ অনিয়মের বিষয়টি বারিত করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এরূপ প্রবণতার ফলে একদিকে যেমন জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে, তেমনি অন্যদিকে নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে সমাজে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সরকারের দায়িত্ব ও সচেতনতা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। সরকার এ ধরনের বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে।
এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর, সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বারিত করার জন্য চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘে আজ বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে আজ বাংলায় ভাষণ দেবেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে তিনি এ ভাষণ দেবেন।
ভাষণে কী প্রেক্ষাপটে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ও রাষ্ট্র সংস্কারে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন তা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক-আঞ্চলিক বিষয়গুলোও তার ভাষণে উঠে আসবে।
একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববাসীর সহায়তা, বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের রূপরেখাও তিনি বিশ্ববাসীকে জানাবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেটিরও বর্ণনা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের এবার বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সরকার দেশে কারও কণ্ঠরোধ করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেখা করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তার কর্মকাণ্ডের যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। সরকার দেশে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় মানবাধিকার কর্মকর্তারা স্বৈরশাসকের সময় সম্পাদিত প্রায় তিন হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার ও নির্বিঘ্নে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং শেখ হাসিনার স্বৈর-শাসনামলে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটক কেন্দ্রের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো যে, এটি এক নতুন বাংলাদেশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্কুলে এবারও লটারিতে ভর্তি
মাধ্যমিক স্কুলে এ বছরও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া বহাল থাকছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘ভর্তি নীতিমালা সংশোধন’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি অবহিত করা হবে শিক্ষা উপদেষ্টাকে। তিনি সম্মতি দিলে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
সভায় অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানান, লটারি, নাকি পরীক্ষার মাধ্যমে স্কুলে ভর্তি করা হবে– সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবারও লটারি পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন অধিকাংশ সদস্য। ফলে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে গত কয়েক বছর ধরে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আসছে সরকার। এবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। তাদের সেই দাবি পর্যালোচনা করে ভর্তি নীতিমালা সংশোধনে বৃহস্পতিবার সভা ডাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের নিয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের তরুণ নেতাদের সমন্বয়ে নতুন একটি উদ্যোগ চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল বুধবার এ দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের জনকূটনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি লি স্যাটারফিল্ড এবং দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ‘ইয়ং সাউথ এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসএএলআই)’ নামের এ উদ্যোগ চালু করেন।
প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার তরুণদের একত্র করবে। অর্থনৈতিক সুবিধা, পরিবেশগত পুনর্জাগরণ, নাগরিক অংশগ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা অভিন্ন ইস্যুতে কাজ করবে এ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ এশিয়ায় ৪২০ মিলিয়নের (৪২ কোটি) বেশি তরুণের বসবাস। ওয়াইএসএএলআই এই তরুণদের নেটওয়ার্ক–সুবিধা, নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ, পেশাগত বিনিময় ও একাডেমিক ফেলোশিপের সুযোগ দেবে; যাতে নিজেদের দেশের ভেতরে ও এ অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতে তাঁরা তাঁদের প্রচেষ্টায় সহায়তা পান।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের জনকূটনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি লি স্যাটারফিল্ড এবং দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ‘ইয়ং সাউথ এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসএএলআই)’ নামের এ উদ্যোগ চালু করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আরও ৬ দিন রিমান্ডে
রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা হৃদয় আহম্মেদ (১৬) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আবার ৬ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে একই মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর দিলীপ কুমার আগরওয়ালার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে।
আজ দিলীপ কুমারকে ডিবি পুলিশ এ মামলায় হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে চান। তবে আসামিপক্ষ এর বিরোধিতা করে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ছয় দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয় কিশোর হৃদয় আহম্মেদ। তখন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় হৃদয়।
৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে দিলীপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়।
এমআই