পুঁজিবাজার
২৭ কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাচ্ছে আগামীকাল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৭ কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিগুলোকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগারি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল ব্যাংক, বিডি থাই, সেন্ট্রাল ফার্মা, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ন্যাশনাল টিউবস, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, জিএসপি ফাইন্যান্স, আনলিমা ইয়ার্ন, এটলাস বাংলাদেশ, বে লিজিং, লিবরা ইনফিউশন, লুব-রেফ বিডি, এসকে ট্রিমস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিএফএস থ্রেডস ডাইং, এনার্জিপ্যাক, ফরচুন সুজ, প্যাসিফিক ড্যানিমস, খুলনা প্রিন্টিং, এডভেন্ট ফার্মা, দেশ গার্মেন্টস, বিচ হ্যাচারি, ইন্দোবাংলা ফার্মা, ফার কেমিক্যাল এবং অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন।
ক্যাটাগরি পরিবর্তন হওয়া এই কোম্পানিকে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকদের কোন প্রকার ঋণ সুবিধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে ডিএসই।
জানা গেছে, বেশকিছু সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় এসব কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর আগে গত ২০ মে যেকোনো কোম্পানির শেয়ার জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা জারি করে।নির্দেশনায় বেশ কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়, তার যেকোনো একটি শর্ত লংঘন করলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে বলেও জানানো হয়।
বিএসইসির ঐ নির্দেশনায় বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানি শেষ লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ থেকে বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে পরপর দুই বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।
পাশাপাশি আইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কোনো রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোনো আইনি প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ উপ- বিচারের বিষয় বা জোরপূর্বক ঘটনা ঘটলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছর সময় পর্যন্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংস্কার বা বিএমআরই (ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন এবং সম্প্রসারণ) এর জন্য এই ধরনের কোনো সময় ব্যাতীত ন্যূনতম ছয় মাস ধরে একটানা উৎপাদনে না থাকলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শেয়ার কারসাজি নিয়ে যা বললেন সাকিব
সাকিব আল হাসান যেন বিতর্কের আরেক নাম। ক্যারিয়ারের খুব কম সময়ই বিতর্ক আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে চলতে পেরেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাকিবকে আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয়। এছাড়া শেয়ার কারসাজির কারণে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এবার নিজের নামের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব আল হাসান।
শেয়ারবাজার কারসাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার লাইফে আমি নিজে থেকে কোনো ট্রেড করিনি। কেউ যদি এটা বলে আমি ট্রেডিংয়ে কথা বলেছি, আমাকে প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এই সবগুলোয় এখন যেকেউ যার যার মতো করতেই পারে। তবে বিষয়গুলো যদি একটু সুন্দরভাবে করতো, আমার জন্য হয়ত ভালো হতো। আমার জন্য মেন্টালি সহজ হতো।’
নিজের ওপর আনা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘মিথ্যে অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না খুব একটা ভালো দিক বহন করে আমাদের দেশের জন্য বা বাইরের জন্য। কারণ বাইরের মানুষগুলো যখন কথা বলবে তখন আমার মনে হয় না জিনিসগুলো অ্যাপ্রোপিয়েট হবে। আমার লাইফে যখন আমি কোনো ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার ভুল করা বা যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেসবও কতটা যথার্থ, তা (চিন্তা করা) আমার জন্য দুঃখজনক।’
হত্যা মামলা নিয়েও কথা বলেছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘একটা কেইস (হত্যা মামলা) হয়েছে, সবারই রাইটস (অধিকার) আছে। বাট আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরণের কেইস ছিল। আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সো এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাকিব ছিলেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। তবে আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৫ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮১টি শেয়ার ৮১ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ব্লকে সবচেয়ে বেশি ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২ কোটি ৫৩ লাখ ৭৯ হাজার ও তৃতীয় স্থানে বেক্সিমকোর ১ কোটি ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক সালমা হক ৭৫ লাখ শেয়ার হস্তান্তর করবেন। এই উদ্যোক্তা পরিচালক তার মেয়ে সারা হকের কাছে উল্লেখিত শেয়ার হস্তান্তর করবেন।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে গিয়ে তিনি এই লেনদেন সম্পন্ন করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত সময়ের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দিলেন নুমায়ের আলম
নুমায়ের আলমকে পরিচালক হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে বিএটি বাংলাদেশ। দুই দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এ পর্ষদে যোগ দিচ্ছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই নিয়োগ আগামী ০১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বর্নাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে (ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া) বিপণন ও বিক্রয় (মার্কেটিং ও সেলস) বিষয়ে ৬ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৪ সালে টেরিটরি অফিসার হিসেবে বিএটি বাংলাদেশের সাথে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি; এরপর বিভিন্ন কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) ভূমিকায় নিজের নেতৃত্ব, নিষ্ঠা ও যেকোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতার মধ্য দিয়ে তিনি এগিয়ে যান। ভিয়েতনামে বিএটি ইস্ট এশিয়া অঞ্চলে হেড অব ট্রেড মার্কেটিং ও পরে হেড অব ব্র্যান্ডস হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে, তিনি বাংলাদেশে এরিয়া ম্যানেজার, এন্টারপ্রাইজ প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও হেড অব স্ট্র্যাটেজি, প্ল্যানিং অ্যান্ড ইনসাইটস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নুমায়ের আলম ২০২২ সালে দেশে ফিরে আবার বিএটি বাংলাদেশের হেড অব কমার্শিয়াল হিসেবে লিডারশিপ টিমে যোগদান করেন। ট্রেড মার্কেটিংয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডসের মর্যাদাপূর্ণ ‘সেলস ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি অর্জন করেন।
বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নুমায়ের আলম বলেন, বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দান করে নতুন চ্যালেঞ্জগুলো নিতে প্রস্তুত; এবং বাণিজ্যিক খাতে আমার দক্ষতা প্রকাশ করতে পারবো বলে উচ্ছ্বসিত। বাণিজ্যিক খাতে আমার অভিজ্ঞতা বিএটি বাংলাদেশের সফলতায় অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি।
নুমায়ের আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সেন্ট জোসেফ হাইস্কুল ও নটরডেম কলেজের অ্যালামনাই।