অর্থনীতি
বুধবার থেকে দেশের সব গার্মেন্টস খোলা
পোশাক শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ কারণে আগামীকাল বুধবার থেকে সব গার্মেন্টস খোলা। তিইন শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সম্প্রতি দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শ্রমিক এবং মালিক পক্ষের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য বুধবার থেকে সব শ্রমিককে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘মালিক-শ্রমিক কোনো পক্ষ ১৮টি দাবি মেনে নেওয়া বা বাস্তবায়নের বিষয়ে আপত্তি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৮টি দাবি নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন পোশাক খাতের শ্রমিকরা। এর মধ্যে রয়েছে মজুরি বৃদ্ধি, বছর শেষে ১০ শতাংশ হারে ‘ইনক্রিমেন্ট’ চালু।
সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।
এ অসন্তোষ নিরসনে ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিক-মালিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বিগত সরকারের আমলে শ্রমিকদের দাবিকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। ধীরে ধীরে সব ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে।
শ্রমিকদের দেওয়া ১৮ দাবি হলো:
মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনপূর্বক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। যেসব কারখানায় ২০২৩ সালে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে।
কোনো শ্রমিকের চাকরি ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে/চাকরিচ্যুত হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ প্রদান করতে হবে। এর সাথে সাংঘর্ষিক শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্যান্য ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে। সব প্রকার বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
হাজিরা বোনাস (২২৫ টাকা), টিফিন বিল (৫০ টাকা), নাইট বিল (১০০ টাকা) সব কারখানায় সমান হারে বাড়াতে হবে। সব কারখানায় প্রভিডেন্ড ফান্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বেতনের বিপরীতে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ন্যূনতম ১০ শতাংশ করতে হবে।
শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বিজিএমইএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করা যাবে না। বায়োমেট্রিক তালিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। (বায়োমেট্রিক হলো আঙুলের ছাপ দিয়ে কারখানায় প্রবেশাধিকার। আঙুলের ছাপ গ্রহণ না করলে কারখানায় প্রবেশ করতে পারেন না কর্মীরা।)
সব প্রকার হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কলকারখানায় বৈষম্যবিহীন নিয়োগ প্রদান করতে হবে (নারী-পুরুষ সমান হারে নিয়োগ)। জুলাই বিপ্লবে ‘শহীদ’ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
রানা প্লাজা এবং তাজরীনস ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে। অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন বা চার মাস নির্ধারণ করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলএনজি সরবরাহে সাত প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ বাড়লো
পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা সাতটি প্রতিষ্ঠানের এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহে মেয়াদ বৃদ্ধিসহ ১৬টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা এবং এলএসপি সফটওয়্যার ব্যবহারের মেয়াদ ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, এমএসপিএ সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলএসপি সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ‘পিপিআর-২০০৮’-এর বিধি-৮৫ অনুযায়ী স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্র অনুসরণে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
চুক্তি সই করা এসব প্রতিষ্ঠানে মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেষ হয় এবং ৬টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। নতুন ২৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমএসপিএ সই প্রক্রিয়াধীন, যা তালিকাভুক্ত হতে আনুমানিক আরও ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন।
এ অবস্থায় দেশের বিদ্যুৎ, শিল্প ও সার কারখানায় গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য আন্তর্জাতিক ক্রয়ে এমএসপিএ সই করা বিদ্যমান ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ও এলএসপি সফটওয়্যার ব্যবহারের মেয়াদ ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের জন্য আরও এক কার্গো লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। আন্তর্জাতিক কোটেশনে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কোরিয়ার পসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এই এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এককের দাম ১৪.৬৯০০ মা.ডলার হিসেবে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬৯২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে স্পট মার্কেট থেকে ৫৯ কার্গো এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে গত ৪ নভেম্বর তারিখে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে।
আগামী ২০২৫ সালের ১৬-১৭ জানুয়ারি ২০২৫ সময়ে ১ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব প্রেরণ করেছে। গত ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে কোটেশন আহ্বান করে এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী ২৩ প্রতিষ্ঠানকে এলএসপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোটেশন দাখিলের জন্য ই-মেইলে চিঠি পাঠানো হয়।
দর প্রস্তাবকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে দাখিলকৃত ৩টি কোটেশন দরপত্র ও প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করে সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নিকট দাখিল করে। ৩টি কোটেশনের মধ্যে ৩টি কোটেশনই রেসপন্সিভ হয়।
এর মধ্যে কোরিয়ার পসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ১৪.৬৯০০ মা.ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। অন্য ২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরায়েট এনার্জি ১৪.৮৪০০ মা.ডলার উল্লেখ করে ২য় এবং সিঙ্গাপুরের পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল ১৪.৮৬০০ ডলার উল্লেখ করে ৩য় দরদাতা হয়।
রেসপন্সিভ ৩টি প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা সব বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১ম সর্বনিম্ন প্রস্তাবিত একক দর ১৪.৬৯০০ মা. ডলার/এমএমবিটিইউ যা কোরিয়ার পসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন দাখিল করেছে। উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহতব্য এলএনজির পরিমাণ ৩২,০০,০০০ এমএমবিটিইউ। স্বাক্ষরিত এমএসপিএ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫% কম-বেশি বিবেচনায় সরবরাহতব্য এলএনজির পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ হতে পারে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪,৬৯০০ মা.ডলার হিসেবে ৩৩,৬০,০০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ৪৯,৩৫৮,৪০০,০০ মা.ডলার (ভ্যাট এবং এআইটি ব্যতীত)।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর মুদ্রা বিনিময় হার ১ মার্কিন ডলার ১২০.০০ টাকা হিসাবে এ অর্থের পরিমাণ ৫৯২ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার টাকা (ভ্যাট এবং এআইটি ব্যতীত)। এলএনজি আমদানিতে ১৫% ভ্যাট এবং ২% এআইটি প্রযোজ্য বিবেচনায় সর্বমোট ১৭% ভ্যাট এবং এআইটি এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ১০০ কোটি ৬৯ লাখ ১১ হাজার ৩৬০টাকা। অর্থাৎ ৩৩,৯০,০০০ এমএমবিটিইট এলএনজি আমদানিতে প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ হবে সর্বমোট (৫৯২,৩০,০৮,০০০,০০+১০০,৬২,১১,১৯,৩৬০.০০)= ৬৯২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার, ব্যয় ৬৩৪ কোটি টাকা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য রাশিয়া, সৌদি আরব, মরক্কো এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৩৪ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ১৪তম লটের ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে ১০ম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার প্রোডিন্টরগ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন- বিএডিসির মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৬ষ্ঠ লটের ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এ সার আনবে। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৪৮৯ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কো ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায় ১০ম (ঐচ্ছিক-১ম) লটের ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এ সার আনবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৫৬ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫৮৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাপক দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা এবং ব্যাপক দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির বলেন, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, কিছু লোকের হাতে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা এবং ব্যাপক দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-নাগরিক বিদ্রোহের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই নতুন যাত্রায় আইসিএমএবি’র সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব মো. আবদুর রহমান খান, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবর আলী এবং আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট ও বিল্ডকন কনসালটেন্সি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া আইসিএমএবির সদস্য, শিক্ষাবিদ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আর্থিক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবাসন মেলায় ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং দিলেই বিশেষ ছাড়
রাজধানীতে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলা। মেলার তৃতীয় দিনে সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা টানতে কোম্পানিগুলো নিয়ে এসেছে নানা ছাড় ও ভ্রমণের সুযোগ। আবাসন মেলায় বুকিং দিলেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও দিচ্ছে বিভিন্ন রকমের অফার।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এবারের মেলা ঘুরে দেখা যায়, আবাসন মেলা উপলক্ষে ফ্ল্যাট বুকিং দিলেই ৫ লাখ টাকা ছাড় দিচ্ছে আরমা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি উপহারও রয়েছে তাদের স্টলে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা তুলনামূলকভাবে কম লাভে ফ্ল্যাট বিক্রি করি।
মেলায় ৫ লাখ টাকা ছাড়সহ ভ্রমণ প্যাকেজ নিয়ে এসেছে ইশাহাক ডেভেলপারস লিমিটেড। পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় যে কোনো একদিন তাদের কোম্পানির প্রজেক্টে বুকিং দিলেই মিলবে পাঁচ লাখ টাকা ছাড়। একইসঙ্গে তারা রেখেছেন ঢাকা টু থাইল্যান্ড ও ঢাকা টু কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রকৌশলী ফরহাত আফজা লুবনা বলেন, আমরা ক্রেতার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বিভিন্ন সাইজের ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ রেখেছি। আমরা লাভের চেয়ে বিক্রিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। এ কারণে ক্রেতার সুবিধার কথা মাথায় রেখে এসব অফার এনেছি। শুধু মেলা উপলক্ষেই এসব সুবিধা থাকবে বলে জানান তিনি।
ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেডের টিম লিডার নাজমুল হুদা নাহিদ বলেন, আমরা ক্রেতাদের জন্য বেশ কিছু নতুন প্রজেক্ট নিয়ে এসেছি। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, লালমাটিয়াসহ ৫২ টি প্রকল্পে আমাদের বিক্রয়যোগ্য ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে বেশ কিছু সেমি কন্ডোমোনিয়াম ও সকল নাগরিক সুবিধাসহ প্রকল্প রয়েছে। তিনি জানান, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তের জন্য ফ্ল্যাট প্রস্তুত করে ক্রিডেন্স হাউজিং লিমিটেড।
মেলায় দেশের সবচেয়ে বড় ভবন নিয়ে এসেছে ট্রপিক্যাল হোম লিমিটেড। রাজধানীর মালিবাগে ৪৬ কাঠা জমির উপর ৫১ তলা ভবন তৈরি করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ভবনের ৬ তলা হবে বেজমেন্ট এবং পুরোটাই কার পার্কিং। এটি সম্পূর্ণ বানিজ্যিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, টঙ্গী, বনশ্রী, মতিঝিল, ফকিরাপুল, আফতাবনগর, মাটিকাটা, বসুন্ধরা ও মিরপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশেন আবাসিক প্রকল্প করছে ট্রপিক্যাল হোমস। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার রাকিব হোসেন বলেন, মেলায় দারুন সাড়া পাচ্ছি আমরা। মেলায় ছাড় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
মেলায় অংশ নিয়েছে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান এর প্রতিষ্ঠান জাপান গার্ডেন সিটি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, মেলায় ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। আজ ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা সমাগম বেশ ভালো বলেও জানান তিনি।
মেলায় ছোট এবং মাঝারি সাইজের ফ্ল্যাটের ১১টি চলমান প্রকল্প নিয়ে এসেছে এমএইচএম প্রপার্টিজ লিমিটেড। মিরপুর, কল্যাণপুর, আফতাবনগর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন সাইজ ও নানা ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে তাদের। মেলা উপলক্ষে ১০ শতাংশ ছাড় ও স্পট বুকিংয়ে এসিসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারও দিচ্ছে তারা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বিআইসিসিতে রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ড. সিদ্দিকুর রহমান। পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন খাতের এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
রিহ্যাব ফেয়ারে ২২০ টি স্টল রয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে ৫টি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১০ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৫ বার প্রবেশের সুযোগ পাবেন।