সারাদেশ
কক্সবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অভিযানে গিয়ে ডাকাতদের হামলায় এক সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার অন্তর্গত ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থলে যায়। পরে রাত ৪টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৭-৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হয় এবং এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন টাঙ্গাইল জেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী এই তরুণ সেনা কর্মকর্তা পাবনা ক্যাডেট কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনান্তে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সাথে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে গত ০৮ জুন ২০২২ তারিখে আর্মি সার্ভিস কোরে (এএসসি) কমিশন লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল হতে ৩ জন ডাকাতকে আটকসহ ০১টি দেশিয় তৈরি বন্দুক, ০৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, ডাকাত সন্দেহে আরও ০৩ জনকে আটক করা হয়।
দেশমাতৃকার সেবায় এই তরুণ সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে এবং সেই সাথে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
পঞ্চগড়ের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮ ও ৯ নং সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আনোয়ার তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের দেবনগড় এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে গরু আনতে যান। শুক্রবার ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে দেশটির ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এতে রফিকুলের মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ারের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
এদিকে গুলির শব্দ পেয়ে এবং চোরাকারবারিদের প্রতিহত করতে আট রাউন্ড গুলি ফাঁকা গুলি করেন পঞ্চগড়ের ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাও।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, সীমান্তের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পরে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সাতক্ষীরার বিসিক শিল্প নগরীতে কারখানায় আগুন
সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় বিসিক শিল্প নগরীতে একটি প্লাইউড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বিনেরপোতা বিসিক শিল্প নগরীর মধ্যে রনি প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইনসপেক্টর নূরুল ইসলাম জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুনের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ ১২ লাখ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও ধানবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস ও ট্রাকের ড্রাইভারসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও দশ মাইল মহাসড়কের যদুর মোড় এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দশ মাইল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ শুক্রবার আনুমানিক সকালে সাড়ে ৮টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার যদুর মোড়ে ধানবোঝাই ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে বাস ও ট্রাকের ড্রাইভার এবং দুইজন বাসযাত্রী নিহত হন। এ সময় বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে।
নিহতদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ১০ কোটি টাকার সিগারেটের চালান আটক
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কনটেইনার আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে ৭৪০ কার্টনে ৭৪ লাখ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দেড় কোটি, এর বিপরীতে রাজস্বে পরিমাণ ৯ কোটি।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে চালানটি আটক করে কাস্টমস হাউসের এইআইআর টিম।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, গৃহস্থালি পণ্যের ঘোষণায় চালানটি থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীর ইপিজেড খিয়াটি ল্যাদার ইনোভেশন বিডি লিমিটেড এটি আমদানি করে। রোববার চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির তথ্য পেয়ে এটি আটকে দেয় কাস্টমস হাউসের এআইআর টিম। এরপর এটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে সিগারেট জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া সিগারেটগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে তৈরি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. রাজিব হোসেন বলেন, চালানটির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ মিথ্যা ঘোষণায় চালানটি আমদানি করে প্রায় ৯ কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। চালানটি আমদানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর টিম মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ৫০ লাখ শলাকা সিগারেট এবং ৫ সেপ্টেম্বর ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ আটক করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার নামলো ১০ ডিগ্রির ঘরে
হেমন্তের শেষ মুহূর্তে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা পারদ নামল ১০ ডিগ্রির ঘরে। এ তাপমাত্রায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়।
সূর্য আলো ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। শীত উপেক্ষা করেই দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে।
এদিকে দুদিন ধরে আকাশ পরিষ্কার থাকায় মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে পৃথিবীর তৃতীয় ও হিমালয়ের দ্বিতীয় পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ভোরে ভিড় সমাগম হয়েছে শতশত পর্যটকের। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সঙ্গে শীত উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
স্থানীয় সাহেব আলী, মিরালি ও জাবের আলী বলেন, পৌষ মাস না পরতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়তে থাকে।
সিহাব, সুমন, সোহেল ও তানজিমসহ কয়েকজন পর্যটক বলেন, দারুণ সময় উপভোগ করছি আমরা। একদিকে বরফের পাহাড়, একই সঙ্গে শীত দুটোই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারি কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, শনিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।