ব্যাংক
এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাব তলব
সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি (কুমিল্লা-৮) আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাতিজা ফজলুল করিম তমাল এবং শফিউদ্দিনের ভাই সোহেল আহমেদের নামের ব্যাংক হিসাবের সব ধরনের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। সোহেল আহমেদও এসবিএসি ব্যাংকের পরিচালক।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট তলব করা হয়েছে। বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ফাইন্যান্স কোম্পানিতে নিয়োগের বয়সসীমা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
ব্যাংকের মতো দেশের নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে চাকরিতে প্রবেশে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা ৩২ বছর নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এখন থেকে সরকারি চাকরির মতো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও চাকরিতে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত যোগদান করা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা দিয়েছে।
এনবিএফআইগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো এই নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সরাসরি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১৮ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, বিধিমালা, প্রবিধান মালা, আদেশ, নির্দেশ বা আইনগত দলিলে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থায় চাকরির যে সকল পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ রয়েছে, সর্বত্র তা বয়সসীমা ৩২ বছরে প্রতিস্থাপিত হবে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগসমূহ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বা ক্ষেত্রমতো প্রবিধান মালা বহাল থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
গ্রাহক থাকা পর্যন্ত আজ ব্যাংক শাখা খোলা রাখার নির্দেশ
পবিত্র হজ পালনের টাকা জমা নিতে গ্রাহক থাকা পর্যন্ত আজ ব্যাংক শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৪ ডিসেম্বরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের হজের নিবন্ধনের অর্থ জমাদানের সুবিধার্থে হজের অর্থ গ্রহণকারী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার অফিস সময়ের পরও যতক্ষণ অর্থ জমাদানকারী থাকেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো।
ব্যাংকের শাখা সাধারণত বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে এ সময়ের পরও হজ পালনে ইচ্ছুক কেউ টাকা জমা দিতে উপস্থিত থাকলে তাঁদের জন্য শাখা খোলা রাখা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
পদত্যাগ করিনি, বৃহস্পতিবার ব্যাংকে যাব: ইসলামী ব্যাংকের এমডি
এমডি পদ থেকে সরে যাওয়ার গুঞ্জনের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে বাসা থেকে অফিস করছি। পদত্যাগ করিনি। আজকেও বাসা থেকে অফিসিয়াল কিছু কাজ করেছি। আগামী বৃহস্পতিবার সশরীরে অফিস করব।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর মুহাম্মদ মনিরুল মওলা অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে খবর বেরিয়েছে। এরপর থেকেই তিনি অফিসে আসেননি। তখন থেকেই গুঞ্জন শোনা যায় যে, এমডি পদ থেকে সরে গেছেন মনিরুল মওলা।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন এমডি হিসেবে নিয়োগ পান মনিরুল। সেই সময়কালেই ব্যাংকটি বড় আকারে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এস আলমকে অনৈতিকভাবে ঋণ পাইয়ে দিতে মনিরুল সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর জেরে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা মনিরুলকে আর এমডি পদে দায়িত্ব পালন করতে দিতে রাজি নন এবং এর জন্যই ১৯ ডিসেম্বর মনিরুলকে ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও এমডি মনিরুল মওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ আছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, উনি মামলার আসামি। সঙ্গত কারণেই উনার পদে থাকার বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে, আমরা জানি, উনি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন উনি যদি অস্বীকার করেন, তাহলে কিছু করার নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে ওয়াহিদুল ইসলামের যোগদান
রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি এ পদে যোগদান করেন।
চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামকে রূপালী ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রূপালী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সোনালী ব্যাংকে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২৬ বছরের চাকরি জীবনে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন এডি, নন-এডি ও কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য ঋণ ও আন্তর্জাতিক বিভাগ, ট্রেজারি, নিরীক্ষা ও পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেন। তিনি দেশে বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এক কন্যা সন্তানের জনক। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মাসুমাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সরে যেতে বাধ্য হলেন ইসলামী ব্যাংকের এমডি মনিরুল মওলা
অবশেষে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য হলেন মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। কর্মকর্তাদের বাধার মুখে তিনি গত ১৯ ডিসেম্বর অফিস ছাড়তে বাধ্য হন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তবে এ নিয়ে মনিরুল মওলার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।
চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ এস আলমের ঋণ জালিয়াতির সহায়তাকারী হিসেবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা মুহাম্মদ মনিরুল মওলার বিরুদ্ধে নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তোপের মুখে তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। পরে আবারও আগের দায়িত্বে (এমডি) থেকে অফিস শুরু করেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ঋণে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকে মামলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এখন অনুপস্থিত আছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে আমরা শুনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারিনি।