ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সীরাত ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লালন শাহ আবাসিক হলে রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে সীরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালন শাহ হলের টিভি রুমে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে লালন শাহ হল আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এসময় লালন শাহ হলের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলির সঞ্চালনায় দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ছ. ম তরিকুল ইসলাম, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ মুজাহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১৫ বছরে একটি সরকার তার শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে ফ্যাসিস্ট কায়দায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে কব্জা করে নিয়েছিলো। সেই জায়গা থেকে আমরা ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ধার্মিকতা বজায় থাকুক, এরকম আরও সুন্দর সুন্দর আয়োজন হোক। আমাদের সুন্দর এই ক্যাম্পাসে সুস্থ সংস্কৃতির ধারা আবারও ফিরে আসুক।
এসময় অধ্যাপক ড. আ. ছ. ম তরিকুল ইসলাম বলেন, গুণী, মনিষী, বিদ্বান, পন্ডিত, ধর্মযাজক আরও অনেক বিশিষ্টজন এসেছেন। তাদের জন্ম, মৃত্যু, আদর্শ সহ অনেককিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়। আজকে যে আমরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে আলোচনায় এসেছি। মুহাম্মদ সা. কে? কেউ মনে করেন তিনি একজন ধর্মযাজক ছিলেন। শুধু কি একটা যুদ্ধের ময়দানে সেনাপতি বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন? নিশ্চয়ই না। সার্বিক বিবেচনায় মুহাম্মদ সাঃ এর সকল কিছুকেই একত্রিত করলে যে একটি বিশেষ চিত্র দেখা যায় সেটিই ছিলো মুহাম্মদ সাঃ এর বাস্তব রূপ।
এসময় লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, আমরা মুসলিম শ্রেনী প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে নৈতিকতা গ্রহণ করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শে বলীয়ান হয়ে চলি তাহলে এদেশে আর কোনোদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করতে হবেনা। প্রত্যেককে তার নিজের জায়গা থেকে শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পরিবেশনা করে ব্যাতিক্রম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জোট এবং সেখানে শিক্ষানীয় ও সচেতনতামুলক গান ও অভিনয় পরিবেশন করে।
এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ১২ থেকে ১৬তম গ্রেডে ৫ পদে ১৬৪ কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদন ২০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে—চলবে ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
১. পদের নাম: সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার
পদসংখ্যা: ২৪টি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৬টি
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১১৫টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৪টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম : ভাণ্ডার রক্ষক
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
প্রার্থীর বয়স: ১৮-৩২ বছর (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে)
আবেদন ফি—
টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে সার্ভিস চার্জসহ আবেদন ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ১৬৮ টাকা, ২ থেকে ৫ নম্বর পদের জন্য ১১২ টাকা এবং সব পদের ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের ৫৬ টাকা ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু ভোটে ঢাবিতে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাবি ক্যাম্পাসে দুই হাজার ৯৬ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, আজ এখানে ডিএমপির এক হাজার ৭৭১ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আগামীকাল দুই হাজার ৯৬ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও থাকবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রেগুলার ফোর্স ছাড়াও পুলিশের বিশেষায়িত টিম, সোয়াত ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এখানে রয়েছে। এছাড়া, সাদা পোশাকে ডিবি সদস্যরা টহলে রয়েছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ টহল ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।
ডাকসুতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানান শেখ সাজ্জাত আলী। পাশাপাশি, সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন করা যাবে না বলে তিনি জানান।
এছাড়া, কোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে আইন হাতে তুলে না নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ

৪৫তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ের সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬৪ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
পিএসসি জানিয়েছে, প্রার্থীদের নির্ধারিত অনলাইন ফরম বিপিএসসি ফরম-১ পরীক্ষার দিন বোর্ডে জমা দিতে হবে। এই ফরম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ফরমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব সনদ ও ডকুমেন্টের দুটি সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং মূল সনদ পরীক্ষার বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী ফরম ও কাগজপত্র জমা না দিলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার আগে অনলাইনে বিপিএসসি ফরম-৩ পূরণ করে জমা দিতে হবে। অনলাইনে জমা দেওয়া ফরমের দুটি কপি মৌখিক পরীক্ষার দিনে বোর্ডে জমা দিতে হবে।
কমিশন জানায়, কোনো প্রার্থীর নামে ডাকযোগে সাক্ষাৎকারপত্র পাঠানো হবে না। পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার পর প্রার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সাক্ষাৎকারপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সাক্ষাৎকারপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে।
পিএসসি আরও জানিয়েছে, গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কোনো প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হবে না। তবে প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তনের সর্বময় ক্ষমতা কমিশন সংরক্ষণ করে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ত্রুটিপূর্ণ বাস উদ্বোধন, ১ মাসে নতুন সংযোজনের আশ্বাস

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্ত হয়েছে নতুন চারটি ভাড়াকৃত ডাবল ডেকার বাস। পাবনা বাস ডিপো থেকে ভাড়া করা হয়েছে এসব বাস। তবে এসব বাস ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে ১ মাসের মধ্যে নতুন সংযোজন হবে বলে আশ্বাস দেন পরিবহন প্রশাসক ও বিআরটিসি পাবনা ডিপোর ডিজিএম মনিরুজ্জামান বাবু।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় এসব বাস উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মনজুরুল হক, পরিবহণ প্রশাসন অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ, পাবনা বাস ডিপোর ডেপুটি জেনারের ম্যানেজার (ডিজিএম) মনিরুজ্জামান বাবু সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে সবাই বাসে চড়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
জানা গেছে, এই বাসগুলো ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলেছিলেন। যার ফলে দুর্ঘটনা-সহ বিভিন্ন কারণে বাসগুলোতে ত্রুটি রয়েছে।
জানা গেছে, পরিবহন পুলে মোট বাস রয়েছে ৫৬টি। নতুন ডাবল ডেকার চারটি ভাড়া বাস যুক্ত হয়ে এই সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০টি। তার মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ৮টি এসি বাসসহ নিজস্ব বাস ২৪টি এবং ভাড়াকৃত ৩৬টি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ৬টি বাস। বাকি নিজস্ব বাসগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নিজস্ব ডাবল ডেকার বাস আছে একটি এবং সর্বশেষ সংযোজনসহ ভাড়াকৃত ডাবল ডেকারের সংখ্যা ১৩টি। বাকিসবই ভাড়া বাসে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, উদ্বোধন হওয়া বাসগুলোর বডির যেখানে সেখানে ভাঙ্গা, সামনের গ্লাস ও একাধিক জানালায় জোড়া-তালি দেওয়া। তাছাড়াও বাসগুলোতে ছোটবড় অনেক ত্রুটি রয়েছে। চালকরা জানিয়েছে, বাসগুলো ঢাকায় চলাচল করার কারণে এমন হয়েছে। তবে ইঞ্জিন ঠিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভাড়া করা ত্রুটিপূর্ণ বাস উদ্বোধন করতে দেখিনি। আমরা আশা করেছিলাম নতুন বাস, পরে শুনলাম ভাড়া করা পুরোনো বাস উদ্বোধন করেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজমিন বলেন, শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ কমানোর জন্যে যদি তারা বাস আনে তাহলে নতুন বাস কেন আনলো না। ফিটনেসহীন গাড়ী শিক্ষার্থীদের আরো দূর্ভোগ বাঁড়াবে। কেননা বর্তমান যে ডাবল ডেকার সহ অন্যান্য বাস যে গুলো আছে যেগুলো মাঝরাস্তায় হুটহাট বন্ধ হয়ে যায়, অটো ইঞ্জিনে আগুন লাগে, এগুলোর কারণ যদি খুজতে যাই অনেক গুলো আসবে তার মাঝে প্রধান হলো ফিটনেসহীন লক্কর-ঝক্কর গাড়ি। একে রাস্তা খারাপ তার উপর এমন পুরাতন গাড়ি শিক্ষার্থীর জীবনের কতটুকু নিরাপত্তা দিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের, শিক্ষকদের কোন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বরাদ্দ হয় না কিন্তু শিক্ষার্থীর জন্যে কেন বারবার পুরাতন গাড়িগুলো বরাদ্দ হয়। প্রতিবছর বাজেট হয় এবং শিক্ষার্থীরা পরিবহন ফি জমা প্রদান করে কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্যে ভালো পরিবহনের ব্যবস্থা হয় না।
এবিষয়ে পাবনা ডিপোর ডিজিএম মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, উপাচার্যের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে বিআরটিসির চারটি বাস দিতে পেরেছি। ২০১৯ সালের পর বিআরটিসিতে কোনো দ্বিতল বাস আসেনি। বিআরটিসির প্রত্যেক বাসের লাইফটাইম হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ বছর। সেই হিসেবে আজকে সংযুক্ত বাসগুলো ২০১৯ সালের তৈরি হলেও এখনো চলাচলের উপযুক্ত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বাসগুলোর আরও সংস্কার করা হবে যেন বোঝা না যায় বাসগুলো পুরাতন। চালকদের ট্রেনিং, বাসের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা, ফ্যান লাইট এবং ডেকোরেশনের জন্য এক মাস সময় নিয়েছি এবং আশাকরি এই সময়ের মধ্যে বাসগুলো রিফর্ম করতে পারবো।’
ইবির পরিবহণ প্রশাসন অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, ইউজিসির কিছু কন্ডিশন থাকায় আমরা বাস কিনতে পারছি না। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকায় বাস কেনা এখন সম্ভব না। বিআরটিসি হলো সরকারি পরিবহন সার্ভিস। ২০১৯ সালে ৯টি বাস এবং আজকে চারটি বাস সহ পরিবহন পুলে বিআরটিসির ১৩ টি বাস সংযুক্ত হলো। বিআরটিসির চেয়ারম্যান উপাচার্যের সাথে কথা বলেছেন। উনি জানিয়েছেন, আপতত বিআরটিসির রিফাইন্ড বাস দেয়া হয়েছে যা পরবর্তীতে নতুন বাস যুক্ত করার সুযোগ আসলে পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটে চলাচল করে সেহেতু আগামীকাল থেকে বাসের সময় এবং পরবর্তীতে নামকরণ করা হবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকেশনগত সমস্যার কারণে যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হয়। আজকের এই চারটি দ্বিতল বাস শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণমাত্রায় আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা উত্তরোত্তর যানবাহন ব্যবস্থা উন্নত করে যাবো। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা হয়েছে। তারা নতুন সংযোজন আসলে আমাদের বাসগুলো পরিবর্তন করে দিবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা তদন্তে বিলম্ব, মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে অবহেলা এবং খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে বিলম্ব হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ইবি মিল্লাতিয়ান সোসাইটি’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
এসময় তাদের হাতে, সাজিদ হত্যার বিচার চাই; সাজিদ হত্যার তদন্ত কতদূর? স্যার আপনার সন্তান হলে কত দেরি করতেন? প্রশাসনের অনেক গুন বিচার রেখে পারছে ঘুম; এর পরের লাশ কি আমি হব? সিআইডির কাছে মামলা যাবে কবে, কিয়ামতের দিনে? বিচার নিয়ে টালবাহানা মানিনা মানবো না’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২ মাস হয়ে গেছে। প্রশাসন আমাদেরকে সিআইডি পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু আমরা দেখতেছি এখনও নাকি সিআইডি দায়িত্ব পাননি। আমাদের প্রশাসন কী করে? খুনিদের সাথে লিয়াজো করতেছে কিনা সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, খুনিদের অতিদ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় এই ক্যাম্পাসকে অচল করে দেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কাজ দেখি নাই। এমনকি ২ মাস হয়ে যাওয়ার পরও তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেওয়া হয় নাই । আমরা ধৈর্যের সাথে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি, কিন্তু যদি অপরাধীকে প্রটেক্ট কারার চেষ্টা করা হয় ; তাহলে ক্যাম্পাসকে অচল করে দেওয়া হবে। আজকে থেকে আমাদের পদযাত্রা শুরু যতদিন পর্যন্ত না সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হয়।
তিনি আরও বলেন, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু নিয়ে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদেরকেও ফাইন্ড-আউট করতে হবে। তারা সাজিদ আব্দুল্লাহকে নিয়ে রাজনীতি করে বড় হোমরা-চোমরা হয়ে যেতে চায়। তারা প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে পেতে যতটুকু তাগিদ দেয় তার থেকে বেশি এর দিকে আঙুল তোলে ওর দিকে আঙুল তোলে— নিজের ফায়দা হাসিল করার জন্য তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম