Connect with us

ধর্ম ও জীবন

সরকারি টাকায় হজ বন্ধ চেয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

সরকারি টাকায় হজ করাকে বিলাসিতা বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানে শায়খ আহমাদুল্লাহ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। পোস্ট করার ৪০ মিনিটেই তাতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ২০ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী।

পোস্টে জনপ্রিয় এ আলেম লিখেছেন, ‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা। প্রতিবছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরয়ী এবং নৈতিক কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়। এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসদ্ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এসব লোকের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি টাকা মানে জনগণের টাকা। জনগণ তো কাউকে হজের জন্য টাকা দেয় না। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জনগণের টাকায় হজ করছেন, এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আছে প্রচ্ছন্ন লাঞ্ছনা। ‘অতএব এই প্রথা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, সরকারের তরফ থেকে নিয়োজিত ডাক্তার, হজ গাইড ও অন্য হজসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কথা ভিন্ন।’

ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি আরো লিখেছেন, ‘সরকারি হাজিদের সেবায় যারা সৌদি যান, তাদের বেশির ভাগই নিজের হজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান। সরকারি হাজিদের অবস্থা থাকে অনেকটা মা-বাপ ছাড়া সন্তানের মতো।

তাদের দেখার যেন কেউ থাকে না। সরকারি হাজিদের অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা দেখে প্রতিবছরই কষ্ট হয়।’
“এ অবস্থারও অবসান হওয়া দরকার। হাজিদের সার্ভিস দেওয়ার নাম করে সেখানে হজ করতে যাওয়াও অনুচিত, যদি সেই হজ পালনের ফলে হাজিদের সেবাদানে ত্রুটি হয়। সুতরাং ‘পরিচিত’ কোটায় সেবার জন্য হজে যাওয়াও বন্ধ হওয়া উচিত।”

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

রমজানে এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের ফিতরার এ হার নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আবদুল মালেক। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

রমজানের প্রথম জুমা আজ, যেসব আমল করবেন

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমা আজ। রহমতের দশকের ষষ্ঠ রোজায় পড়েছে বরকতময় এ জুমা। সওয়াবের বসন্তপ্রবাহ। জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা, দান-সদকা ও দরুদ শরিফের আমল করার কথা আছে। এ ছাড়া দিনটির বিশেষ গুরুত্ব কোরআন হাদিসে এসেছে।

রমজানের প্রথম জুমাপবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যেন তোমরা সফলকাম হও। সুরা জুমা : ৯-১০

জুমার দিনের ফজিলত বিষয়ে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনেই আদমকে (আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি করা হয়েছে। এদিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। এ জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। বুখারি-১৫০২

জুমার দিনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

১. জুমার দিনের বিশেষ মর্যাদা
আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো-এক. আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। দুই. আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম (আ.)-কে জমিনে অবতরণ করিয়েছেন। তিন. এই দিনে আদম (আ.)-কে মৃত্যু দিয়েছেন। চার. এই দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা কিছুই প্রার্থনা করবে তিনি তা দেবেন। যতক্ষণ সে হারাম কিছু প্রার্থনা করবে না। পাঁচ. এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৯৫)

২. জুমার নামাজ আদায়
সালমান ফারসি থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তাআলা তাঁর দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮৩)

অন্য হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে; যদি সেই ব্যক্তি সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৩৩)

৩. জুমার দিন গোসল করা
জুমার দিন গোসল করা ও আগে আগে মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আউস বিন আউস সাকাফি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তাঁর জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

৪. মসজিদে প্রথমে প্রবেশ করা
জুমার দিন মসজিদে আগে প্রবেশ করা ও মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনার বিশেষ গুরুত্ব আছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, অতঃপর প্রথমে মসজিদে গেল সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে এরপর মসজিদে গেল, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল। আর যে এরপর ঢুকল, সে যেন ছাগল কোরবানি করল, এরপর যে ঢুকল সে যেন মুরগি কোরবানি করল, আর যে এরপর ঢুকল সে ডিম সদকা করল। অতঃপর ইমাম খুতবার জন্য এলে ফেরেশতারা আলোচনা শোনা শুরু করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৪১)

৫. জুমার দিন দোয়া কবুল হয়
জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আসরের পর অনুসন্ধান কোরো।’ (আবু দাউদ, হাদিস নম্বর : ১০৪৮)

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্তটি তোমরা আছরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান কোরো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

৬. সুরা কাহাফ পাঠ
জুমার অন্যতম আমল সুরা কাহাফ পাঠ করা। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সহিহ তারগিব, হাদিস : ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক : ২/৩৯৯)

৭. গুনাহ মাফ হয়
সালমান ফারসি থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তাআলা তাঁর দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮৩)

৮. দরুদ পাঠ
জুমার দিন নবীজি (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা কর্তব্য। আউস বিন আবি আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং এই দিনে সবাইকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণ দরুদ পড়ো। কারণ জুমার দিনে তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।’ সাহাবারা বললেন, আমাদের দরুদ আপনার কাছে কিভাবে পেশ করা হবে, অথচ আপনার দেহ একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে? তিনি বলেন, ‘আল্লাহ জমিনের জন্য আমার দেহের ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেছেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

সেহরিতে আজানের সময় পানি খেলে রোজা হবে?

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

পবিত্র রমজান মাসে কিছু রোজাদারের ক্ষেত্রে দেখা যায় ফজরের আজান শুরু হলেও তারা পানি পান করছেন। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাইকে সাইরেন বাজানো, সেহরি বন্ধ করার ঘোষণা চলা অবস্থায়ও তারা চা পান করেন, অথবা পান চিবিয়ে থাকেন। এরপর তড়িঘড়ি করে কুলি করে নেন।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, উল্লিখিত কাজ যদি কোনো রোজাদার করে থাকেন, তাহলে তার রোজা কি বৈধ হবে? শরীয়তের দৃষ্টিতে এদের রোজার বিধান কী? নাকি এই রোজার কাজা করতে হবে—এটি নির্ভর করে দুটি বিষয়ের উপর।

সংকেতমূলক আজান: যদি আজান ফজরের সময় শুরু হওয়ার আগেই দেওয়া হয় (যেমন কিছু জায়গায় সাহরি শেষ করার সতর্কতা দিতে আগেই আজান দেওয়া হয়), তাহলে তখন পানি পান করলে রোজায় কোনো সমস্যা নেই।

সুবহে সাদিক হয়ে গেলে: যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে ফজরের সময় (সুবহে সাদিক) শুরু হয়ে গেছে, তাহলে আর কিছু খাওয়া বা পানি পান করা বৈধ নয়। তখন কিছু খেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

সুবহে সাদিক হওয়া এবং সাহরির সময় বাকি থাকার ব্যাপারে সংশয়যুক্ত সময়ে পানাহার করা মাকরুহ (প্রসঙ্গত, আমাদের দেশের ক্যালেন্ডারগুলোতে আজান ও সাহরির মাঝে কয়েক মিনিট বিরতি দেওয়া হয়। সংশয়যুক্ত সময় বলতে ওই সময়টাকে ধরা যায়)। তবে এ সময়ে খাওয়ার মাধ্যমে রোজা সহিহ হয়ে যাবে। (আহসানুল ফতোয়া, খণ্ড : ০৪, পৃষ্ঠা : ৪৩২; আল ফিকহুল হানাফি ফি সাওবিহিল জাদিদ, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৪৩৩)

সুবহে সাদিক হয়নি ভেবে সাহরি খেলে করণীয়
কেউ যদি সাহরি খাওয়ার সময় আছে— মনে করে সাহরি খায়। অতঃপর জানা যায় যে, তখন সাহরির সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাহলে পরবর্তী সময়ে সে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৪৩৬)।

সাহরির সময় ও মুস্তাহাব সময়
রোজা রাখার উদ্দেশ্যে শেষ রাতে যে খাবার খাওয়া হয়, শরিয়তে সেটাকে সাহরি বলা হয়। ফকিহদের মতে, সূর্যাস্তের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়কে ছয় ভাগ করে, শেষ ভাগে খাওয়াকে সাহরি বলে। তাই কেউ যদি এশার পর, রোজার নিয়তে খেয়ে নেয়, তাহলে ওই খাবারকে সাহরি বলা যাবে না। এবং এতে সাহরির সওয়াবও সে পাবে না। তবে কেউ যদি সাহরির সময় হওয়ার আগেই খেয়ে নেয়। এরপর শেষ সময় পর্যন্ত অন্য সাধারণ পানাহার করে, তাহলেও সাহরির সওয়াব পেয়ে যাবে। (আল-ফিকহুল হানাফি ফি সাওবিহিল জাদিদ, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৪৩৩; বেহেশতি জেওর, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৩২১)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

সেহরি-ইফতারের পর ধূমপান করা যাবে?

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

ধূমপানের বিধান নিয়ে আলেমদের মধ্যে দু্ই ধরণের মতামত রয়েছে। কেউ সরাসরি হারাম বলেন, আবার কেউ মাকরুহ বলেন। তবে যাই হোক এটি সর্বজনস্বীকৃত বিষয় যে, ধূমপান কোনো ভালো কাজ নয়। এছাড়া ধুমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

কোনো মুমিন ধূমপান করে অন্যকে কষ্ট দিতে পারে না। রাসূল সা. বলেছেন, কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)।

আর ধূমপানের কারণে মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে, এ অবস্থায় নামাজে দাঁড়ানো মাকরুহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরুহ।

স্বাভাবিক অবস্থায় ধূমপান করা মাকরুহ হলেও রোজা রেখে ধূমপান করা যাবে না। এতে করে রোজা ভেঙে যাবে। একইসঙ্গে রোজার মাসে ইফতার ও সেহরির পর ধূমপান থেকে বিরত থাকা জরুরি।

কারণ, রোজা অবস্থায় যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি। অন্যথায় রোজার কোনো সওয়াব আল্লাহর কাছে পাওয়া যাবে না।

মনে রাখতে হবে রোজা একজন ব্যক্তির উপর বিভিন্ন আচরণগত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। মিথ্যা কথা বলা, পরনিন্দা, পরচর্চা, ধোঁকা দেওয়া, প্রতারণা করা, হিংসা-বিদ্বেষ, অশ্লীলতা- এসব কর্মকাণ্ড এমনিতেই নিষিদ্ধ। আবার রোজা পালনকালে এগুলো পরিহার করা বেশি জরুরি।

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল সা. ইরশাদ করেন,

‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০৩)

কাজেই তাকওয়ার পরিচায়ক হল, রোজাদার সিগারেট খাওয়া থেকেও বিরত থাকবে। যেন তার রোজা আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার অধিক নিকটবর্তী হয়। তবে সিগারেট খেলেও রোযার ফরজিয়্যাত আদায় হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

যে কারণে রমজানে বেশি বেশি দান করবেন

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংক

রাসূল সা. উম্মতে মুহাম্মাদীকে আমল ইবাদত শিখিয়েছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁকে যেই নির্দেশ প্রদান করা হতো অথবা তার প্রতি যেই বিধান দেওয়া হতো তিনি তা পুঙ্খানুপুঙ্খুভাবে পালন করতেন এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেন। মানুষকে শেখাতে গিয়ে তিনি এমনভাবে আমল করতেন যে, তাকে দেখে মনে হতো এই আমল তাঁর থেকে ভালোভাবে আর কেউ কখনো পালন করেনি এবং করতে পারবে না।

এমন একটি আমল ছিল রাসূল সা.-এর দান ও সদকা। তিনি সবার থেকে বেশি দান-সদকা করতেন এবং সবাইকে দান করতে উৎসাহিত করতেন। মানুষকে দানে উৎসাহিত করতে রাসূল সা. হাদিসে কুদসির এই বাণীটি বর্ণনা করেছেন-

‘আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, তুমি দান করতে থাকো, আমিও তোমাকে দান করব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৬৩১)।

রাসূল সা. সাহাবিদের দানে উৎসাহিত করে নিজেও প্রচুর দান করতেন। তাঁর দানের পরিমাণ সম্পর্কে হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘নবী কারীম (সা.)-এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৪২)।

রাসূল সা.-এর দানের পরিমাণ রমজান মাসে আরও বেড়ে যেতো। তিনি রমজানের রোজা, তারাবি, কোরআন তিলাওয়াতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দান করতেন। রমজানে তাঁর দানের পরিমাণকে হাদিসে প্রবাহমান বাতাসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস রা. সে দানের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। তিনি রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি দান করতেন যখন জিবরিল আ.-এর সাথে দেখা হত। জিবরিল আ.-এর সাথে দেখা হলে তিনি হয়ে উঠতেন মুক্ত বাতাসের চেয়েও দানশীল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮০৩)

ইবনে রজব হাম্বালী রহ. রমজান মাসে দানের অনেক উপকারের কথা উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে একটি হল—

‘রোজা রাখতে গিয়ে আমাদের কোনো না কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েই যায়। রোজার মাধ্যমে গুনাহ মাফ হতে হলে রোজাও সেসব ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে, যা থেকে মুক্ত হওয়া দরকার। দান-সদকা সেসব ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ করে। এজন্যই রোজার শেষে ফিতরা ওয়াজিব করা হয়েছে- রোজাদারকে অহেতুক ও অশ্লীল কাজের গুনাহ থেকে মুক্ত করার জন্য।’ (লাতাইফুল মাআরিফ, পৃ. ২৩২)

রমজানে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ মাসে যত বেশি দান-সদকা করা যাবে, তা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। রাসুল (সা.) তার প্রিয় উম্মতকে রমজান মাসে বেশি পরিমাণে দান করতে উৎসাহিত করতেন। রমজান মাসে একটি নফল আমল ফরজের মর্যাদায় সিক্ত। সে হিসেবে রমজান মাসে আমাদের প্রতিটি দান-সদকাই ফরজ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য। দান-সদকার এমন ঈর্ষণীয় ফজিলত অন্যান্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। শুধু রমজানেই এ অফার সীমাবদ্ধ।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার5 hours ago

ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকখাতের মূলধন কাঠামোকে শক্তিশালী করতে শেয়ারের...

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার6 hours ago

প্রাইম ব্যাংকের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।...

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার6 hours ago

লিন্ডে বাংলাদেশের চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা...

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার10 hours ago

ব্লকে ১৯ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৪টি কোম্পানির ১৯ কোটি টাকার...

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার11 hours ago

রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল...

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার11 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে এস আলম কোল্ড

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারদর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে এস. আলম কোল্ড...

বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
পুঁজিবাজার11 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১