রাজনীতি
ছাত্রলীগের পদ নিয়ে যা বললেন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার গুঞ্জন উঠেছে। তবে এমন দাবিকে পুরোপুরি নাকোচ করে দিয়েছেন তিনি। আজ সোমবার দুপুরে তিনি এ দাবি করেন।
শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউট বিভাগ ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমে আমি অংশও নেইনি। এমনকি ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবীর জন্য কাউকে কখনই সিভি দেইনি।
এ সময় এস এম ফরহাদ আরও বলেন, বিভাগের কমিটিতে কাকে রাখা হবে সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে? যেখানে আমি বিভাগ ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। এই বিষয়টিকে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিট ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র মনে করি।
ছাত্রশিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি আরও বলেন, আমি হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। তখন বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পরিচয় ও তাদের সঙ্গে তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, যার সবগুলোই ছিলো ডিবেট ক্লাব সংশ্লিষ্ট আয়োজন। কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করে প্রকাশ্যে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের ছাত্র।
রোববার ঢাবি শাখা শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেলের পরিচয়ও জানা যায়। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এস এম ফরহাদ।
এমআই

রাজনীতি
জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর: নুর

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর!
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের একটি ভিডিও শেয়ার করে এ কথা বলেন তিনি।
ভিডিও শেয়ার দিয়ে নুরুল হক নুর লেখেন, জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর!’ যাদের জন্য আমরা অধিকার ফিরে পাই, মুক্ত হই তাদেরও ভুলে যাই!
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা পেয়েছেন মাত্র ১৩৬ ভোট। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে।
নুরের শেয়ার করা ভিডিওতে হাবিব বলেন, যে ছেলে আমরণ অনশন করেছিল ডাকসু নির্বাচনের জন্য, একবার চিন্তা করুন তো যে ছেলের কারণে নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছি, সেই ছেলেকে এত বড় অসম্মানিত করব? ছাত্রদলের ভিতরে হাজার দোষ আছে আপনি ভোট দিলেন না, আমার কোনো আপত্তি নাই।
কিন্তু যারা আন্দোলনে ছিল, যারা ভোটটা নিয়ে আসলো ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়ে, যে ছেলেটা আমরণ অনশন করল, তাকে কেন আপনারা অবহেলা করলেন? এই প্রশ্নটার উত্তর কি কেউ দিতে পারবে? মিলাতে পারবে কেউ?
নুরের সেই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করে নিজের মতামত জানিয়েছেন।
কেউ লিখেছেন, বিন ইয়ামিন মোল্লা ভাই এর জন্য কষ্ট লাগল। আরও বেশি ভোট পাইতে পারতো।
কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নাই। কেউ লিখেছেন, ইয়ামিন মোল্লা তার ত্যাগ এবং বিসর্জন অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনে মূল্যায়িত হয়নি।
কারো মতে, জুলাইতে যুদ্ধ করেছে সবাই।
রাজনীতি
ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে হলে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িত তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানার উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ভারতের সেবাদাসদের সকল অপতৎপরতা ও বুলিং এর জবাব জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভালো কাজের মাধ্যমে দিবে। জনগণের জন্য জামায়াতে ইসলামী নিবেদিত ছিল আছে এবং থাকবে। জামায়াতে ইসলামীর সকল ত্যাগ জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জনগণ বিশ্বাস করে জামায়াতে ইসলামী ব্যতীত অন্য কারে হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী, দখলদারিত্ব, খুন, গুম ও ধর্ষণের দায়িত্ব যে দল নিয়েছে, জনগণ সেই দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। ডাকসু নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতিকে সেই ম্যাসেজই দিয়েছে। জাতি সেই ম্যাসেজ সাদরে গ্রহন করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানার সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও এনামুল হক। থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল কাদের, আবুল ফারাহ মো. ইউসুফ, ওমর ফারুক, মঞ্জুরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মাওলানা এনামুল হক শামীম, হাবিবুর রহমান, সাইয়েদ যুবায়ের, নজরুল ইসলাম মজুমদার, মোহাম্মাদ আল আমীন রাসেল ও শামীম হাসনাইন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মজলিসে শূরা সদস্য আক্তার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমীন, ওসমান আলী প্রমুখ।
কাফি
রাজনীতি
তফসিলের আগেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ফখরুলের

আগামী সংসদ নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, দুই উপদেষ্টার ব্যাপারে আমরা আগেই বলেছি, তারা উপদেষ্টা পরিষদে থাকতে পারবেন না। ড. ইউনূসের উচিত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তাদের চলে যেতে বলা। তা না হলে প্রশ্ন উঠবেই।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার পর অনিশ্চয়তা কেটে গেলেও নানা মহলে মতপার্থক্যে বাড়ছে ভোট নিয়ে সংশয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে একদিকে সংকটের মুখে জাতীয় ঐক্য অন্যদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের গুপ্ত তৎপরতায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা দেখেছেন রাজনীতিবিদরা। এ বিষয়গুলো নিয়েই তিনি বলেন, সংকট বাড়তে থাকলে অনিশ্চয়তায় পড়বে পুরো জাতি, যা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।
ভারতে বসে আওয়ামী লীগের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে এসছে। তার (শেখ হাসিনা) পক্ষে নির্বাচন বনচালের চেষ্টা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু এটাকে প্রতিরোধ করা হবে যখন দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব কথাবর্তা বলছে, এগুলো আওয়ামী লীগের জন্য চরম ক্ষতিকর হচ্ছে। তিনি যদি ক্ষমা চেয়ে বরং বলতো আমরা ভুল করেছি এবং কিছু ভালো লোকজন সামনে এগিয়ে দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করতো তাহলে ভালো হতো।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ওপরই তারা আস্থা রাখতে চান বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
রাজনীতি
সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না সরকারের: সালাহউদ্দিন

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সংবিধান সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ভিন্ন কোন প্রক্রিয়ায় গেলে পরবর্তীতে সংশোধনী সংবিধান আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ভোট নিয়ে জনগণের যে দুশ্চিন্তা রয়েছে, সেটা দূর করা সরকারের দায়িত্ব।
রাজনীতি
পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে: ড. হেলাল

পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা-৮ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিশেষ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনার তৈরি আইনে যেনতেন কোনো নির্বাচন জনগণ চায় না, মেনে নিবে না। যেই নির্বাচন জনগণ চায় না, সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী যাবে না। জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসারআগেই ৫ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে খুন, গুম, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বের মহোৎসবে মেতে উঠেছে তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণ নিরাপদে-নির্বিঘ্নে রাতে ঘুমাতেও পারবেনা। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মানুষ ঘরের দরজা খুলে র্নিভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ঘুমাতে পারবে। চুরি-ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। নারীর স্বাধীনতার নামে যারা নারীদের অধিকার লুন্ঠন করেছে, ধর্ষণ করেছে তাদের ঘুম হারাম হয়েযাবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সবার আগে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষের জানমাল, ইজ্জতের নিরাপত্তা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতি বুঝে না দাবি করে, তাদেরকে পিআর বুঝাতে যা যা করণীয় তা করা হবে। যাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বুঝাতে ১৭২ দিন হরতাল পালন করতে হয়েছে। তারাই এখন পিআর খায় না মাথায় দেয় জিজ্ঞেস করে। অধ্যক্ষ আব্দুর রব বলেন, জামায়াতে ইসলামী বরাবরই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটাতে চায়। এজন্য অবশ্যই নির্বাচন প্রয়োজন, তবে হাসিনা মার্কা যেনতেন কোনো নির্বাচন মানবে না। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন চায়, যেমন নির্বাচন দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ চায়। দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়, জামায়াতে ইসলামীও পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়।
এসময় তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা দিলে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরোধীতা করে বলেছিল, পাগল আর শিশু ব্যতীত কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। পরবর্তীতে দেশের জনগণের তুমুল আন্দোলনের মুখে সরকার গঠনের ১১ দিনের মাথায় সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে বাধ্য হয়। এবং একতরফা সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এরপর বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের জনগণ যখন পুরোনো ব্যবস্থার পরিবর্তে নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায় তখন যারা পুরোনো ব্যবস্থা বহাল চায় তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিন্তু খারাপ। তারাও আওয়ামী লীগের মতোই ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। এদেশের জনগণ আর কোন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা চাচ্ছে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণহত্যার বিচারের নিশ্চয়তা না দিয়ে শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ায় জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনমনে আরো বেশি সংশয় তৈরি হয়েছে, যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে সীমানা পুনঃনির্ধারনের শুনানিতে হামলা হয় তখন কমিশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাহলে এই কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবে বলে জনগণ মনে করে না। তিনি অনতিবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক মো. শামছুর রহমান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য পল্টন থানা আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সহকারী পরিচালক শাহীন আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, শাহবাগ পূর্ব থানা আমীর আহসান হাবীব, শাহবাগ পশ্চিম থানা আমীর এডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক, চৌধুরী, মতিঝিল দক্ষিণ থানা আমীর মোতাছিম বিল্লাহ, মতিঝিল উত্তর থানা আমীর মো. শামছুল বারি, মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর মো. নুর উদ্দিন, রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমানসহ ঢাকা-৮ আসনের সকল থানা আমীর-সেক্রেটারীবৃন্দ।