ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভিসি নিয়োগের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো উত্তাল ইবি
টানা চতুর্থ দিনের মতো ভিসি নিয়োগের দাবীতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকেলে এবং গত শনি ও রবিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে ক্যাম্পাসের ঐতিহাসিক বটতলার প্রাঙ্গনে সমবেত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে যেয়ে প্রায় আধাঘন্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে সংস্কারমনা ভিসি চাই; বিশ্বমানের ভিসি চাই, শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই; সৎ ও সাহসী ভিসি চাই; ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই; ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন দেখা যায়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবীর, নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডলসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ইবি সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত কয়েকদিন আগে উপাচার্য নিয়োগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সেই আল্টিমেটাম শেষ হয়ে গেছে কিন্তু এখনো প্রজ্ঞাপন পাইনি। ভিসি নিয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো অবিলম্বে পূরণ করে দ্রুত যেন ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়।
এসময় ইবি সমন্বয়ক বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে পারি কারণ তারা আমাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা যোগ্য লোককে দিবে এবং আমরা একটি যোগ্য লোককে পেতে যাচ্ছি। এর যদি ব্যতয় ঘটে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পরে ৮ আগস্ট একযোগে পদত্যাগ করেন ইবির ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ হলেও ইবিতে না হওয়ায় ভিসি নিয়োগের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নিরাপদ সড়কসহ ৫ দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনির হোসেনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঘাতক ড্রাইভারের সুষ্ঠ বিচার ও নিরাপদ সড়কসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীরা প্রায় ৪৫ মিনিট কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন।
সমাবেশ শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, ড্রাইভারসহ দোষীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত মনির হোসেনের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অতিদ্রুত সংস্কার করতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মনির হত্যার বিচার চাই, নিরাপদ সড়ক চাই, দিয়েছি তো রক্ত আরও দিব রক্ত, অকাল মৃত্যু বন্ধ হবে কবে? মনির হত্যার ক্ষতিপূরণ চাই, আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসনের জবাব চাই; পুলিশের খামখেয়ালি, মানি না মানব না, নিরাপদ সড়ক চাই, ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন চাই, ট্রাফিকের অনিয়ম ভেঙে দাও পুড়িয়ে দাও ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এই দেশে দীর্ঘদিন আগে থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবী উচ্চারিত হয়ে আসছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক এখনো শিক্ষার্থীদের জন্য বা কারো জন্যই নিরাপদ হয়নি৷ ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনের অবহেলা এবং যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আমরা আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে দেশের ট্রাফিক আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই।
তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলেও আমাদের সরকার এটি বন্ধে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সড়কে যে মেধাবী শিক্ষার্থী মনিরের প্রাণ ঝরে গেছে তা আর ফেরত আসবে না। তার পরিবারের যে স্বপ্ন ছিল সেটাও আর পূরণ হবে না। তার পরিবারের কাকুতি মিনতি আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। আমরা চাই তার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
কুষ্টিয়ার চৌড়হাস থানার হাইওয়ে পুলিশ ইনস্পেক্টর আকুল চৌধুরী জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির মধ্যে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ৩ দফা অবগত হয়েছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করব। যদিও ট্রাক ও সিএনজি চালককে আটক করা হয়নি, তবে সড়ক দুর্ঘটনা আইন ২০১৮ (৯৮/১০৫) মাধ্যমে ট্রাক ও সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে ২৬ তারিখ অজ্ঞাত মামলা (মামলা নং-১৯) করা হয়েছে। দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গতকাল বুধবার, দুপুর ১২ টায় ক্লাস শেষ হলে ক্যাম্পাসের দুপুর ২ টার বাসের অপেক্ষায় না থেকে পাবলিক বাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মনির। বাস থেকে নেমে সিএনজি যোগে যাওয়ার সময় কুষ্টিয়া শহরে ট্রাকের সাথে সিএনজির সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয় সে। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে সে মারা যায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে চাকরির সুযোগ
লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৫টি পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
পদের নাম: ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১০ বছর
পদের নাম: হেড অব কার্ডস
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১২ বছর
পদের নাম: হেড অব রিটেইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১৫ বছর
পদের নাম: হেড অব লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স
শিক্ষাগত যোগ্যতা: আইনে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১২ বছর
পদের নাম: হেড অব লায়াবিলিটি ম্যানেজমেন্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১৫ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মস্থল: রাজশাহী, ঢাকা
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
আবেদনের শেষ সময়: ১০ অক্টোবর ২০২৪
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্কুলে এবারও লটারিতে ভর্তি
মাধ্যমিক স্কুলে এ বছরও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া বহাল থাকছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘ভর্তি নীতিমালা সংশোধন’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি অবহিত করা হবে শিক্ষা উপদেষ্টাকে। তিনি সম্মতি দিলে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
সভায় অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানান, লটারি, নাকি পরীক্ষার মাধ্যমে স্কুলে ভর্তি করা হবে– সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবারও লটারি পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন অধিকাংশ সদস্য। ফলে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে গত কয়েক বছর ধরে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আসছে সরকার। এবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। তাদের সেই দাবি পর্যালোচনা করে ভর্তি নীতিমালা সংশোধনে বৃহস্পতিবার সভা ডাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৪ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ নাভিলা কাশফি এ নোটিশ পাঠান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ ১৪ জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিলের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নোটিশে রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে গত ১৩ জুলাই ‘৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় ১৭ জনকে প্রশ্ন দেন সাজেদুল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৭ জন প্রার্থী ছিল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের। প্রশ্ন সরবরাহের বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৩ জন পাস করেছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ৭ জুলাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে সাজেদুলসহ ছয়জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কোন প্রক্রিয়ায় কোথা থেকে, কীভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়, পরীক্ষার্থী সংগ্রহ ও তাদের কীভাবে প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করানো হয়– সেসব বিষয়ে স্বীকার করেছেন তারা। একই সঙ্গে এ চক্রে জড়িত অন্য সদস্যদের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন তারা। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে সিআইডি। পাশাপাশি তদন্তে নাম আসা পিএসসির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ৬ অক্টোবর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আবাসিক হলের আসন বরাদ্দ দেওয়া শেষে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৪তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে গণমাধ্যমকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।
সভার সিদ্ধান্তমতে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিক হলে বরাদ্দের জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করবেন। এই আবেদন চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। যাচাই-বাছাই শেষে ৩ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। পরে ৫ অক্টোবর থেকে হল খুলবে।
অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, মেধার ভিত্তিতে হলে আসন দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যেন নিগৃহীতের শিকার না হন, সেটি নিশ্চিত করে একটি কমিটি গঠনের জন্য করবেন উপাচার্য। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এ কমিটি গঠন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে গত বছর ১ জুলাই থেকে। ওই দিন থেকেই পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি করছিলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। পরে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিন্ডিকেট। এ সভায় ১৮ আগস্ট আবাসিক হল ও ১৯ আগস্ট ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
দাবির মুখে দায়িত্ব ছাড়েন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের, সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দে ও মো. সেকান্দর চৌধুরীসহ ১৪টি হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্রছাত্রী নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মও স্থবির হয়ে যায়। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি প্রক্টরিয়াল বডি, হলের প্রাধ্যক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন করে নিয়োগ দেন।
এমআই