রাজধানী
বিশ্বে আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা
বিশ্বে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর ঢাকা। সোমবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ২৭৮। বাতাসের এ মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই অনুযায়ী, ঢাকার পরে অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ১৭৭। ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট নয় দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আইকিউএয়ার নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত জিটিসিএলের মনোহরদী অফ-ট্রান্সমিশন পয়েন্টে জরুরি টাই-ইন কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গতকাল ( ৪ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এই বার্তায় জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ২৪ ঘণ্টা তিতাস গ্যাস অধিভুক্ত মনোহরদী উপজেলা সদর ও গোতাশিয়া এলাকা এবং কিশোরগঞ্জ জেলা সদর এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার
নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন আমাদের মার্কেটে যেতে হয়। তবে রাজধানী ঢাকায় একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকে। আজ আপনি হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনার পছন্দের কোনো মার্কেটে যাবেন। কিন্তু সেই মার্কেট খোলা আছে কি না, তা হয়তো জানা নেই।
আসুন জেনে নেয়া যাক বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে
মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, নিউমার্কেট।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার করপোরেট মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর নিকেতন বটতলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড
রাজধানীর গুলশান নিকেতনের বটতলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার মো. শাহজাহান হোসাইন।
তিনি জানান, নিকেতন বটতলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত ১০টা ২৯ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের প্রতিদিনই কেনাকাটাসহ নানা প্রয়োজনে কোনো না কোনো মার্কেট ও শপিংমলে যাওয়া লাগে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যদি দেখেন সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন কাজ তো হলোই না বরং মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই জেনে নেওয়া যাক বুধবার রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
যমুনা ফিউচার পার্ক, নুরুনবী সুপার মার্কেট, পাবলিক ওয়ার্কস সেন্টার, ইউনিটি প্লাজা, ইউনাইটেড প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, মাসকট প্লাজা।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাঁতারকুল, শাহজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শ্রম ভবনে অগ্নিকাণ্ড
রাজধানীর বিজয় নগরে শ্রম ভবনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিজয় নগরে অবস্থিত ২৩ তলা শ্রম ভবনের ৮ তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়।
এরপর রাত ৭টা ৫২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।