অর্থনীতি
ঢাকা পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প পাচ্ছে অতিরিক্ত ১৫৫ কোটি টাকা
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) আওতাধীন ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্ট্রেনথেনিং’ শীর্ষক প্রকল্পে অতিরিক্ত ১৫৫ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সংশোধিত এডিপির ৮টি অঙ্গে এই অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. রবিউল হাসান বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠান।
চিঠিতে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আওতায় বাস্তবায়ন হওয়া ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্ট্রেনথেনিং’ প্রকল্পের আরডিপিপিতে (সংশোধিত এডিপি) ৮টি অঙ্গে প্রাক্কলিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত মোট ১৫৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা সংস্থান ও ব্যয়ের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে।
চিঠিতে জানানো হয়, পরবর্তী সময়ে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প সংশোধন কিংবা আন্তঃঅঙ্গ ব্যয় সমন্বয় করে বিষয়টি প্রতিপালন করতে হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আর্থিক বিধি-বিধানসহ ‘পিপিএ-২০০৬’ ও ‘পিপিআর-২০০৮’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খুলনা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগপত্রে শরীফ উল্লেখ করেন, পরিচালনা পর্ষদের সব পরিচালকের পক্ষ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।
সবার পক্ষ থেকে একজন পদত্যাগ করলে সব পরিচালকের পদত্যাগ কার্যকর হওয়া এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির এমন পদত্যাগে পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্তি হয়ে যাবে- এমন ধারা চেম্বার অব কমার্সের গঠনতন্ত্রে নেই।
চেম্বারের সচিব নূর রুখসানা বানু জানান, দুপুর ১২টার দিকে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী চেম্বার অব কমার্সের অফিসে অবস্থান নিয়ে কমিটি বিলুপ্ত করার দাবি জানান। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান চেম্বার অব কমার্সে এসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সবার পক্ষ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। কমিটিও ভেঙে দিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১৫ বছর খুলনা চেম্বারের সভাপতি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক। পরিচালনা পর্ষদেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীর সংখ্যাই ছিল বেশি। গত জুলাই মাসে চিকিৎসার জন্য কাজী আমিনুল হক থাইল্যান্ডে যান। ৫ আগস্টের পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। তার অবর্তমানে সিনিয়র সহ-সভাপতি শরীফ আতিয়ার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ৪ মাস বিএনপি সমর্থিত পরিচালকরাই চেম্বার পরিচালনা করছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই ১০ ব্যাংকে
দেশের ৬১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ৭০ দশমিক ৫৮ শতাংশই রয়েছে মাত্র ১০টি ব্যাংকে। গতকাল প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে প্রতিবেদনে এসব ব্যাংকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হলেই ২৯টি ব্যাংক তাদের ন্যূনতম মূলধন সক্ষমতা বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শীর্ষ পাঁচ ও ১০ ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণের ঘনত্ব আগের (মার্চ) প্রান্তিকের তুলনায় যথাক্রমে ২.৮৯ ও ২.৭৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে, খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশই ছিল শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ পাঁচ ও ১০টি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের এই ক্রমবর্ধমান কেন্দ্রীকরণ সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের জন্য উদ্বেগজনক।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখনকার প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেখা যাচ্ছে, সেটি আসলে এই খাতের ন্যূনতম পরিমাণ (মিনিমাম ফিগার)। প্রকৃত পরিস্থিতি সম্ভত আরও খারাপ।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ২০২৫ সালের জুন মাসের স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র উঠে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকে খেলাপি ঋণ (ক্লাসিফাইড লোন) নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। তখন নতুন আরও খেলাপি ঋণ তৈরি হবে, যেগুলো এখন নিয়মিত দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির চিত্রও পরিষ্কার হবে।
ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ যথেষ্ট কি না- জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলোকে এখন ফার্স্ট এইড দেওয়া হচ্ছে, যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়। মূল চিকিৎসা এখনও শুরুই হয়নি। এর জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। ব্যাংকগুলোর সামগ্রিক চিত্র হাতে পাওয়ার পর মূল চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন প্রান্তিকে মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খারাপ ও মন্দ (ব্যাড অ্যান্ড লস) ঋণের হিস্যা কিছুটা কমলেও এখনও এই শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বেশি।
মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে খালাপ ও মন্দ ঋণ ৭৯.৪২ শতাংশ, সাব-স্ট্যান্ডার্ড’ (নিম্নমান) ঋণ অংশ ১৭.৩৯ শতাংশ এবং ‘ডাউটফুল’ (সন্দেহজনক) ঋণে ৩.১৯ শতাংশ। খারাপ ও মন্দ শ্রেণির ঋণ সবচেয়ে বাজে ধরনের খেলাপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২.১১ লাখ কোটি টাকা, যা মোট বকেয়া ঋণের ১২.৫৬ শতাংশ।
তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৫ লাখ কোটি টাকা, যা দেশের মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। ওই সময়ে মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬.৮৩ লাখ কোটি টাকা।
শীর্ষ ৩ ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে মূলধন ঘাটতিতে পড়বে ২৯ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে দেশের ২৯টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়বে এবং ন্যূনতম সিআরএআর বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুন শেষে দেশের ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ১১টি ইতিমধ্যেই ১০ শতাংশ ন্যূনতম সিআরএআর বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা পূরণে হয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোর শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে আরও ১৮টি ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়বে।
অন্যদিকে, খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির অবস্থাও আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১০টি ব্যাংকের সম্মিলিত সঞ্চিতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা।
এই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলো হচ্ছে: ন্যাশনাল ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক।
খেলাপি ঋণ বেশি হলে প্রভিশন ঘাটতি হয়। প্রভিশন ঘাটতি বাড়লে ব্যাংকের নিট মুনাফা কমে যায়, যার ফলে কমে যায় শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশেও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোজ্যতেলের দাম না বাড়ালে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হতো: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছি। বাস্তবতা মেনে নিয়ে এটি করতে হয়েছে। তা না হলে সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হতো। দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে যেত।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইআরএফ -প্রাণ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার কাজ হচ্ছে, পণ্যের সরবরাহ ও জোগানে ঘাটতি হলে আমদানি করে হলেও বাজারকে স্থিতিশীল করা। গতকাল আমরা ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছি। এটাকে বাস্তবতা মেনে নিয়ে আমরা বাড়িয়েছি। যদি এটা না বাড়াতাম তবে সরবরাহে বড় একটা ঘাটতি তৈরি হতো।
তিনি বলেন, ‘আমি রমজানের জন্য আপনাদের সুখবর দিতে চাই। ইনশা আল্লাহ আমি আশা করি, আগামী রমজানে প্রয়োজনীয় যেসব পণ্য রয়েছে যেমন: খেজুর ছোলা, তেল বা অন্যান্য পণ্য এগুলোর দাম বাজার স্থিতিশীল থাকবে অথবা নিম্নগামী থাকবে।’
তবে বাজারে আলুর দাম কমাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা ঠিক যে আমরা আলুর দাম কমাতে পারিনি, এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। এ বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর আরও ভালো করব এই প্রতিশ্রুতি আমি আপনাদের দিচ্ছি।
বিশেষ খাদ্যপণ্যে সিন্ডিকেটের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ে যে আলোচনাটা হয়, অবশ্যই এটা ঠিক। তেল বা চিনির বাজারে মুষ্টিমেয় কিছু উৎপাদক বা আমদানিকারক এ ক্ষেত্রে কাজ করে। তার মধ্যে সর্ববৃহৎ যে, তিনি কিন্তু দেশে থেকে পালিয়েছেন। যিনি বাজারের বড় একটা অংশ ম্যানেজ করতেন। তিনি কিন্তু আট–দশটা ব্যাংকও মেনেজ করতেন। তিনি পালিয়ে যাওয়ার ফলে সরবরাহে এই যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে ওই তুলনায় বাজারে আপনারা রিঅ্যাকশন টের পাচ্ছেন না। কারণ আমরা দিনান্ত চেষ্টা করছি সরবরাহ ঠিক রাখতে। অবশ্যেই এ ক্ষেত্রে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাচ্ছি।
আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি গতকাল তেলের দাম বাড়ানোর বাস্তবমুখী সিদ্ধান্তটা না নিতাম, তবে দীর্ঘ মেয়াদে এটা ক্ষতির কারণ হয়ে যেত।
তিনি বলেন, প্রতিটি পাঁচজনের পরিবারে প্রতি মাসে ৫ লিটার তেল ব্যবহার হয়। দাম বাড়ানোর কারণে মাসে ৪০ টাকা খরচ বেড়েছে। অবশ্যই এটা কষ্টের। তবে আমরা চেষ্টা করছি অন্য কোনো পণ্যের মাধ্যমে এই খরচটা সমন্বয় করার। সেটা চিনি বা ডালের দাম কমিয়ে হতে পারে। তবে এটার জন্য আমাকে প্রচুর কাজ করতে হবে। যার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছি না, কারণ আমাকে অনেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকতে হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কর ফাঁকি দিলে পরবর্তী প্রজন্মকে ভুগতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কর ফাঁকি দিলে পরবর্তী প্রজন্ম সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। শিল্প সুরক্ষা ও রফতানি সক্ষমতা বাড়ানোর নামে দেয়া সুবিধা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সবাইকে ভ্যাট দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন ট্যাক্স ফাঁকি দিলে পরবর্তী প্রজন্ম সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। ভ্যাটের হয়তো তাৎক্ষণিক সুবিধা পাবেন না, তবে পরোক্ষভাবে এর সুবিধা ঠিকই পাবেন। তাই সবাইকে ভ্যাট-আয়কর দিতে হবে।
এ সময় করদাতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সেবা নিশ্চিতের তাগিদ দেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সবাই একই হারে ট্যাক্স দেবে না। যার যার আয় অনুযায়ী দিতে হবে। হজের ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। ভ্যাট না দিলে এ ধরনের সেবা দিতে সমস্যা হবে। সেবা সুনিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, এই মুহূর্তে ভ্যাট হার কমানোর কোনো সুযোগ নেই। ভ্যাট আদায় বাড়ানোর সুযোগ আছে, আদায় বাড়াতে হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে জনগণ ভ্যাট দিলে, অনেক ব্যবসায়ী ঠিকমতো জমা দেন না। এখানে প্রচুর কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতে অটোমেশন করা হচ্ছে। যাতে ঘরে বসেই কর দেয়া যায়, কর অফিসে আসতে না হয়। এটি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ঋণ কমাতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রজন্মের উপর ঋণের ভার কম থাকে। এজন্য ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হবে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও প্রবাসী আয় পাঠানোর মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছেন। ভ্যাট আদায় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই আদায় বাড়াতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও দুর্নীতি দমনে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি চোখকে ব্যবহার করতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের হাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যাটের হার কমিয়ে ক্ষেত্র বাড়াতে হবে৷ ইপিজেডের মতো ব্যবসার শুরুতে অন্তত ১ বা ২ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেওয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করা যেতে পারে।
অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর জন্য কর ছাড় তুলে নিতে হবে। তবে সেটা একবারে না করে ধাপে ধাপে উঠিয়ে নিতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নির্দিষ্ট অঞ্চলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের অনুরোধ এনবিআরের
ঢাকার অধিক্ষেত্রাধীন কোম্পানির তহবিল সমূহের আয়কর রিটার্ন নির্দিষ্ট অঞ্চলে দাখিলের জন্য অনুরোধ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে করদাতা কোম্পানির বার্ধক্য তহবিল বা পেনশন তহবিল, আনুতোষিক তহবিল, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল সমূহ রয়েছে।
সম্প্রতি বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কর কমিশনার মো. খাইরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকার অধিক্ষেত্রাধীন করদাতা কোম্পানির বার্ধক্য তহবিল বা পেনশন তহবিল, আনুতোষিক তহবিল, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল সমূহের আয়কর রিটার্ন বিভিন্ন কর অঞ্চলে দাখিল করা হচ্ছে যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সূত্রোক্ত পত্রের মাধ্যমে জারীকৃত আদেশের লংঘন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ঢাকার অধিক্ষেত্রাধীন কোম্পানির তহবিল সমূহের আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে এনবিআরের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করার জন্য অনুরোধ করা হল।
কাফি