জাতীয়
এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস এমন সময় জাতিসংঘের এই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন যার মাত্র দেড় মাস আগে বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসন ক্ষমতাকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটিয়ে এখন দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছে। ফলে এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে।
এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য কেন বা কতটা গুরুত্ব বহন করছে?
বাংলাদেশের জন্য এবারের সম্মেলন কেন গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে।
এর আগে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে আসছিল।
ফলে এই সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রেক্ষাপট হিসাবে বিশ্লেষকদের অনেকেই দেখছেন।
এমন মনোভাব পরিষ্কার হয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যেও।
এবারের অধিবেশন দেশের জন্য “বিশ্বসভায় নতুন পদচারণা” এবং বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার ‘বিশাল সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এ উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের রিসেপশন আয়োজন করেছে যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান, জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এবারের অধিবেশনে “অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট, এই মুহূর্তে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন, ভবিষ্যতে তারা কী করতে চান, এ বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহবান জানানো” এ বিষয়গুলো দেখা যাবে বলে ধারণা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ূন কবির।
ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং বাংলাদেশের হয়ে কথা বলাটা একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
একই সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জায়গা, বিভিন্ন সংস্কারের কৌশলগত বা টেকনিক্যাল দিকে সাপোর্ট, বিদেশে টাকা পাচার, অত্যাচার-নির্যাতন নিয়ে চলমান তদন্ত, এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার পথ সুগম হবে বলেও মনে করেন হুমায়ূন কবির।
আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান মনে করেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ আনতেও এবারের সম্মেলনটিকে কাজে লাগানো হতে পারে। তিনি বলছেন, আমাদের তো দরকার এখন আর্থিক সহায়তা এবং সহযোগিতা।
ফলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে এবং একটা টেকসই আর্থিক উন্নয়নে ড. ইউনূস বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর কাছে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল সাইডলাইনে আলোচনা করবেন বলে তিনি মনে করেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, উন্নয়ন, ঋণ বা আর্থিক সহায়তার মতো বিষয়গুলো কমিটি পর্যায়ের আলোচনায় আসবে এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সেখানে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের জন্য এবারের পরিষদ কতদূর ফলপ্রসূ হবে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যু জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম উদ্বেগের জায়গা ছিল। সেখানেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কর্মকর্তারা পরিবর্তিত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান মনে করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, মানবাধিকার এমন বিষয়গুলোও তাদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আসবে। বর্তমানে যে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, সেটা তারা তুলে ধরতে চাইবেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন। বিশ্বপরিসরে খ্যাতির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের জন্য একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন।
সাবেক কূটনীতিবিদ নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং একরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জায়গা থাকায় তার বক্তব্য একটা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে।
অর্থনীতির বাইরে প্রযুক্তিগত দিক, তরুণ প্রজন্মের অংশিদারিত্ব, রাজনৈতিক সহযোগিতা পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সদিচ্ছার মতো দিক নিয়ে আলোচনাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের যেসব অগ্রাধিকারের যেসব জায়গা রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিদল সেসব ইস্যু সংক্রান্ত ইভেন্টে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদও জানিয়েছেন তিনি।
২৭ তারিখ বক্তব্যে যে বিষয়গুলো উঠে আসবে তার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ, জনগণকেন্দ্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ইস্যু, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, ফিলিস্তিন–এমন বিভিন্ন বিষয় আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। যেখানে উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, জুলাইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের স্মরণার্থে এমন কিছু করতে চেয়েছি যা মানুষ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।
শিরীন পারভীন বলেন, সুপারিশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্ব কমিশনের সদস্যরা।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে শিরিন পারভীন হককে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করে ১০ সদস্যের গঠন করে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভিসা দেবে না। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পেজেও এ কথা জানিয়েছে দূতাবাস। তারা বলছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ভিসা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যতক্ষণ না সব ধরনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের সমাধান হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ভিসা ইস্যু করা হয় না।
তারা বলেছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। যারা এরূপ কর্মকাণ্ড করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট দেশেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন, সদস্য মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা ও নিশিতা জামান নিহা।
সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার নির্বাচনভিত্তিক একটি নাগরিক সংগঠন যারা গত দুই দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাতে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড তুলে ধরে। বিশেষ করে স্বাধীন ও নাগরিক-চালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। তারা স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরে যা বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এমনটাই জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন কার্যকর করার দায়িত্ব তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরে ‘সবুজ জ্বালানি অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“সবাই আমাকে দেখেই বলেন, ‘আপা, হর্ন তো বন্ধ হল না।’ কিন্তু আপনি নিজে তো ৫৩ বছর ধরে হর্ন বাজিয়েই যাচ্ছেন। আপনার ড্রাইভারও বাজিয়ে যাবে। অথচ দায়টা শুধু আমার কাঁধেই চাপিয়ে দিচ্ছেন!”
তিনি স্পষ্ট করেন, “হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এখানে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—মানসিকতা আর আচরণগত পরিবর্তন।”
উল্লেখ্য, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাভেদে শব্দের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারিত আছে। নীরব এলাকায় দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ও রাতে ৪৫ ডেসিবল শব্দমাত্রা অনুমোদিত। মিশ্র, বাণিজ্যিক এবং শিল্প এলাকায় ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ ডেসিবল পর্যন্ত।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ গাড়ির হর্ন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দ তৈরি করছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে বিধিমালার আওতায়। চলতি বছরের শুরু থেকে আরও ১০টি সড়ককে একইভাবে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা।
তিনি সতর্ক করেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা এমন একটি পৃথিবী রেখে যাচ্ছি, যেখানে জলবায়ু সংকট ভয়াবহ রূপ নেবে—বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পুনরাবৃত্তি আরও বেড়ে যাবে।”
তরুণদের নীতিনির্ধারণী কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “এই সরকার তরুণদের সরকার—তা মানে এই নয় যে আমি নিজেকে তরুণ ভাবছি। তবে এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যখন তিনজন তরুণ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন এবং তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।”