জাতীয়
এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস এমন সময় জাতিসংঘের এই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন যার মাত্র দেড় মাস আগে বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসন ক্ষমতাকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটিয়ে এখন দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছে। ফলে এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে হচ্ছে।
এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য কেন বা কতটা গুরুত্ব বহন করছে?
বাংলাদেশের জন্য এবারের সম্মেলন কেন গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে।
এর আগে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করে আসছিল।
ফলে এই সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি প্রেক্ষাপট হিসাবে বিশ্লেষকদের অনেকেই দেখছেন।
এমন মনোভাব পরিষ্কার হয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যেও।
এবারের অধিবেশন দেশের জন্য “বিশ্বসভায় নতুন পদচারণা” এবং বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার ‘বিশাল সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
বাংলাদেশে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এ উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চ পর্যায়ের রিসেপশন আয়োজন করেছে যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান, জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এবারের অধিবেশনে “অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট, এই মুহূর্তে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন, ভবিষ্যতে তারা কী করতে চান, এ বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা এবং তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহবান জানানো” এ বিষয়গুলো দেখা যাবে বলে ধারণা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ূন কবির।
ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া এবং বাংলাদেশের হয়ে কথা বলাটা একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
একই সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জায়গা, বিভিন্ন সংস্কারের কৌশলগত বা টেকনিক্যাল দিকে সাপোর্ট, বিদেশে টাকা পাচার, অত্যাচার-নির্যাতন নিয়ে চলমান তদন্ত, এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার পথ সুগম হবে বলেও মনে করেন হুমায়ূন কবির।
আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান মনে করেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ আনতেও এবারের সম্মেলনটিকে কাজে লাগানো হতে পারে। তিনি বলছেন, আমাদের তো দরকার এখন আর্থিক সহায়তা এবং সহযোগিতা।
ফলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে এবং একটা টেকসই আর্থিক উন্নয়নে ড. ইউনূস বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর কাছে সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল সাইডলাইনে আলোচনা করবেন বলে তিনি মনে করেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, উন্নয়ন, ঋণ বা আর্থিক সহায়তার মতো বিষয়গুলো কমিটি পর্যায়ের আলোচনায় আসবে এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সেখানে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের জন্য এবারের পরিষদ কতদূর ফলপ্রসূ হবে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যু জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম উদ্বেগের জায়গা ছিল। সেখানেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কর্মকর্তারা পরিবর্তিত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান মনে করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, মানবাধিকার এমন বিষয়গুলোও তাদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আসবে। বর্তমানে যে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, সেটা তারা তুলে ধরতে চাইবেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছেন। বিশ্বপরিসরে খ্যাতির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের জন্য একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন।
সাবেক কূটনীতিবিদ নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং একরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জায়গা থাকায় তার বক্তব্য একটা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে শোনা হবে।
অর্থনীতির বাইরে প্রযুক্তিগত দিক, তরুণ প্রজন্মের অংশিদারিত্ব, রাজনৈতিক সহযোগিতা পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সদিচ্ছার মতো দিক নিয়ে আলোচনাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের যেসব অগ্রাধিকারের যেসব জায়গা রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিদল সেসব ইস্যু সংক্রান্ত ইভেন্টে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোকে বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করবে বলে আশাবাদও জানিয়েছেন তিনি।
২৭ তারিখ বক্তব্যে যে বিষয়গুলো উঠে আসবে তার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ, জনগণকেন্দ্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ইস্যু, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, ফিলিস্তিন–এমন বিভিন্ন বিষয় আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

জাতীয়
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

বৈধ অস্থায়ী কাজের অনুমতিপত্র (পিএলকেএস) সম্পন্ন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং ব্যক্তিগত যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বস্তি দেবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব (নীতি ও নিয়ন্ত্রণ) এই বিষয়ে একটি স্মারকপত্র জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের এই বছর সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা হয়েছে, তাদের নতুন করে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করার প্রয়োজন নেই। সবার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসাগুলো এখন মাল্টিপল এন্ট্রিতে রূপান্তরিত হবে।
এর আগে, কর্মীদের সাধারণত সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে হতো, যা তাদের দেশের বাইরে যাওয়া এবং পুনরায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিত। কিন্তু মাল্টিপল ভিসা সুবিধা কর্মজীবনের পাশাপাশি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেবে, যা তাদের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন খাতে কর্মরত রয়েছেন। এই সুবিধা তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং কর্মীদের কাজের পরিবেশে আরও স্থিতিশীলতা আনবে। এই পদক্ষেপ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয়
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের কাছে উপহার হিসেবে আম পাঠানো হচ্ছে। ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপহারের আম পৌঁছানো সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের কাছে উপহারের আম পাঠানো হচ্ছে তারা হলেন- ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী; ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; নেপালের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের কয়েকটি প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর (যেমন পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা) আম পাঠানো হচ্ছে।
জাতীয়
অনুমোদন পেলেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আলমারিতে থাকা তিস্তার পরিকল্পনা বের করে সংশোধন করা হয়েছে। সেটি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেখান থেকে হয়তো এ সপ্তাহের মধ্যে অন্য দপ্তরে যাবে। এরপর অনুমোদন পেলেই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রংপুর নগরীর কেল্লাবন্দ এলাকায় শ্যামাসুন্দরীর উৎসমুখ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ঝুলে থাকা একটা কাজ তিস্তা মহাপরিকল্পনা। আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ করছি। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।
আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি পয়েন্টে ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যাতে করে অকাল বন্যা, নদীভাঙন ও ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয় তিস্তাপাড়ের মানুষ।’
শ্যামাসুন্দরী খাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রংপুরের ঐতিহ্যের এই খাল খনন করে এর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হবে। যেখানে বাধা আসবে সেই সমস্যা সমাধান করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। এটি বাস্তবায়ন হলে রংপুর নগীরর পরিবেশ রক্ষা হবে। সেইসঙ্গে ৩৫টি পয়েন্টে বাসাবাড়ি, কলকারখানার যে বর্জ্য পড়ে তা ঠেকাতে ডাম্পিং তৈরি করা হবে।’
এসময় রংপুর বিভাগীয়, জেলা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা জেলার কাউনিয়া রেলসেতু এলাকায় তিস্তা নদী পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। বিগত সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতে এবং চীনের সঙ্গে পরামর্শ করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন তিস্তাপাড়ের মানুষ আর ভাঙনের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিস্তা পরিকল্পনার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার।
জাতীয়
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শহীদদের মাগফেরাতের জন্য বুধবার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এরই মধ্যে এ দিনটিকে সরকার ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘোষণা করেছে।
জাতীয়
ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বাতিলে লাগবে গণভোট: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান সংশোধনের মতো দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যদের ভোটে বাতিল করা সম্ভব হবে না। এর জন্য প্রয়োজন হবে গণভোট।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১৪তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে একটা জায়গায় আমরা একমত হয়েছি যে, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় অথবা উচ্চকক্ষ গঠিত হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হবে। তবে সুনির্দিষ্ট কতগুলো অনুচ্ছেন যেমন প্রস্তাবনা অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেটি ৫৮ (ক), ৫৮ (খ) এবং ৫৮ (ঙ) অনুচ্ছেদ দ্বারা সংবিধানে যুক্ত হবে সেগুলো সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে বাতিলের জন্য সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয় বা কোনো উদ্যোগ থাকে তার জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি এই বিবেচনা থেকে যে রাজনৈতিক দলদলগুলোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো রকম দ্বিমত নেই। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান কীভাবে নিয়োগ করা হবে সেটার নিষ্পত্তি করতে পারবো।