আন্তর্জাতিক
স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলে ৩৪ হাজার ডলার দেবে সুইডেন
সুইডেন থেকে অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরত গেলে তাকে ৩৪ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করতে বৃহস্পতিবার দেশটির ডানপন্থি সরকার এমন ঘোষণা দিয়েছে।
২০২৬ সাল থেকে যেসব অভিবাসী স্বেচ্ছায় তার নিজ দেশে ফেরত যেতে চাইবেন তাদের সাড়ে তিন লাখ সুইডিশ ক্রোনা বা প্রায় ৩৪ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেবে সুইডেন। বর্তমান বিনিময় হারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
সুইডেনের অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থি সরকার এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োহান ফোরসেল এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘অভিবাসন নীতিতে দৃষ্টান্তমূলক এক পরিবর্তনের মাঝে আমরা দাঁড়িয়ে আছি।’
পরিকল্পনা কী
বর্তমানে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নিজ দেশে ফেরত গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের ১০ হাজার ক্রোনা ও শিশুদের জন্য পাঁচ হাজার ক্রোনা পর্যন্ত দেয় সুইডিশ সরকার। এক পরিবারের জন্য এই সীমা সর্বোচ্চ ৪০ হাজার সুইডিশ ক্রোনা।
ক্ষমতাসীন সুইডেন ডেমোক্র্যাট দলের নেতা লুডভিগ এসপ্লিং জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সাল থেকে এই নিয়ম চালু থাকলেও তা অনেকটাই অজানা রয়ে গেছে। খুবই কম সংখ্যক মানুষ এখন পর্যন্ত এই সুবিধাটি নিয়েছেন। সরকারের হিসাবে গত বছর মাত্র একজন এই সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
এসপ্লিংয়ের মতে মানুষকে বেশি বেশি এ বিষয়ে জানানো গেলে এবং অর্থের পরিমাণ বাড়লে সুইডেন ছেড়ে যেতে আগ্রহী অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়বে।
দীর্ঘসময় ধরে বেকার থাকা অভিবাসী বা যাদের আয় কম থাকায় রাষ্ট্রীয় ভাতায় চলতে হয় এমন কয়েক লাখ মানুষ এই প্রণোদনা গ্রহণ করবেন বলে আশা করেন তিনি। বলেন, ‘এই দলটি আগ্রহী হবে বলে আমি মনে করি।’
কতটা কাজে আসবে
স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে আগ্রহীদের জন্য দেওয়া অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে না বাড়াতে গত মাসে পরামর্শ দিয়েছিল দেশটির সরকার নিয়োজিত অনুসন্ধান দল। এতে সরকারের যে ব্যয় হবে তার তুলনায় কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে না বলে তারা সতর্ক করে দেয়। তবে এই পরামর্শ না মেনেই অর্থের পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো সরকার। সরকারি অনুসন্ধান দলের প্রধান ইউয়াকিম রুইস্টের মতে অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণে অভিবাসীদের কাছে বার্তা
বসবাসের অনুমতি না থাকা অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেই এমন কর্মসূচি আছে। এক্ষেত্রে ডেনমার্ক জনপ্রতি ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। ফ্রান্স ২৮০০ ডলার, জার্মানি ২০০০ ডলার আর নরওয়ে ১৪০০ ডলার পর্যন্ত দেয় স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকারীদের।
কারা টাকা পাওয়ার যোগ্য
সুইডেনের সরকারের অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অভিবাসীদের দেশটিতে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার যেমন আছে তেমনি ফেরত যাওয়ার অধিকারও আছে। কেউ প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত নিলে তারা আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। সুইডেনে স্থা্য়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি থাকা ব্যক্তি এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারেন। শরণার্থী, কোটা শরণার্থী, সহায়ক সুরক্ষার আওতায় থাকা ব্যক্তি বা তাদের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
সুইডিশ নাগরিক, অস্থায়ী সুরক্ষা নির্দেশের অধীনে বসবাসের অনুমতি থাকা বা ইউক্রেন থেকে আগত ব্যক্তি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। সেই সঙ্গে ফিরে যাওয়ার জন্য নিজের যথেষ্ট অর্থ থাকলে এবং সুইডেনে কারো ঋণ থাকলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
সুইডিশ সরকারের মনোভাব
সুইডেন ডেমোক্রেটের সাথে জোট করে ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসেন রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। অভিবাসন ও অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ সুইডেন ডেমোক্রেট দলের মূল এজেন্ডা ছিল।
১৯৯০ এর দশকে অভিবাসীদের বিষয়ে সুইডেনের উদারপন্থী অবস্থান ছিল। এ সময় বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে গ্রহণ করে তারা, যারমধ্যে যদ্ধবিধ্বস্ত যুগোস্লাভিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইরান ও ইরাকের নাগরিকের সংখ্যা ছিল বেশি।
২০১৫ সালে এক লাখ ৬০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে জায়গা দেয় সুইডেন, যা সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে মাথাপিছু হিসেবে ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু ধীরে ধীরে বিদেশে জন্ম নেওয়াদের মধ্যে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়তে থাকে। এতে দেশটিতে সম্পদের বৈষম্য বাড়ে এবং সরকারের সামাজিক কল্যাণ খাতে চাপ বাড়ে।
২০১৫ সালের ব্যাপক অভিবাসী আগমনের পর তখনকার সামাজিক গণতন্ত্রী সরকার অভিবাসীদের জন্য দুয়ার খোলা রাখা আর সম্ভব নয় বলে ঘোষণা দেয়। অভিবাসনের রাশ টানতে বাম ও ডান উভয় ধরনের সরকারই একগুচ্ছ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আশ্রয়প্রার্থীদের শুধু সাময়িক বসবাসের অনুমতি, পারিবারিক ভিসার শর্ত কঠিন করা হয় এবং অ-ইউরোপীয় নাগরিকদের কাজের ভিসার জন্য আয়সীমার শর্ত বাড়ায় সরকার।
নিয়মের বরখেলাপ, সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা বা সুইডিশ মূল্যবোধবিরোধী মন্তব্যের জন্য অভিবাসীদের বিতাড়ন প্রক্রিয়া সহজ করার পরিকল্পনাও করেছে বর্তমান সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানকে আরো ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পাকিস্তানকে আরও ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) অনুমোদন করেছে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ, যা দক্ষিণ এশীয় দেশটির চাপে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই শাহবাজ শরীফ নিউইয়র্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই ঋণ প্যাকেজের অনুমোদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে আইএমএফ প্রধান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন। তিনি সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোর প্রতিও সন্তোষ প্রকাশ করেন, যা আইএমএফের ঋণ অনুমোদন সহজ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
আইএমএফ প্রধান বলেন, আমাদের কাছে সুসংবাদ রয়েছে। আমরা সফলভাবে ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছি। পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণকে অভিনন্দন জানাই তাদের নিজস্ব সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যা এরই মধ্যে সুফল বয়ে আনছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং অর্থনীতি একটি দৃঢ় পথে রয়েছে।
সংস্কারগুলো পাকিস্তানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারে আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনুভব করছি, এটি ঘটছে। সরকার ধনীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বেনাজির কর্মসূচিকে শক্তিশালী করেছে, যা দরিদ্রদের সহায়তা করছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শাহবাজ শরীফ এই ঋণ অনুমোদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংস্কারের বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বৃদ্ধি সরকারের অর্থনৈতিক দলের কঠোর পরিশ্রমেরই প্রমাণ।
তিনি অভিবাসী পাকিস্তানিদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি সরকারের নীতির প্রতি তাদের আস্থার প্রতিফলন।
শাহবাজ শরীফ আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যদি এভাবে কাজ চলতে থাকে, তাহলে এটিই হবে আইএমএফর কাছ থেকে পাকিস্তানের শেষ ঋণ কর্মসূচি। তিনি সৌদি আরব, চীন, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ঋণ প্যাকেজে এসব দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মধ্যপ্রাচ্য হবে অতি ধনীদের বসবাসের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধনী মানুষের বসবাস চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোও এখন তাদের ধরে ফেলছে। ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি অর্থের মালিক এমন মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হারে বাড়বে মধ্যপ্রাচ্যের শহর দুবাই, আবুধাবি ও রিয়াদে।
সাম্প্রতিক প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের এই শহরগুলোতে ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি অর্থের মালিকের (সেন্টি-মিলিয়নিয়ার) সংখ্যা বাড়বে ১৫০ শতাংশ। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
লন্ডনভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ‘সেন্টি-মিলিয়নেয়ার রিপোর্ট ২০২৪’ অনুযায়ী, এখন বিশ্বের ২৯ হাজার ৩৫০ জন মানুষের ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগযোগ্য অর্থ আছে। এই ধনীদের সংখ্যা গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ৫৪ শতাংশ বেড়েছে, যদিও এ ক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে চোখে পড়ার মতো ব্যবধান আছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে সেন্টি-মিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে; এমনকি ইউরোপকেও অতিক্রম করে গেছে তারা।
সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে চীনে। গত ১০ বছরে সেখানে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ সময় বেড়েছে ৮১ শতাংশ। সে তুলনায় ইউরোপে সম্পদের পুঞ্জীভবনের গতি অনেকটাই কম। গত এক দশকে সেখানে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
ইউরোপে অতি ধনী বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো প্রধান অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়াকে দায়ী করেছেন হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রধান নির্বাহী জুয়ের্গ স্টেফেন। যদিও ইউরোপের কিছু দেশে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বৃদ্ধির হার যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি। তিনি বলেন, মোনাকো, মাল্টা, মন্টিনিগ্রো ও পোল্যান্ডের মতো ছোট ইউরোপীয় দেশে এখনো গতি আছে; এসব দেশে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার ৭৫ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
স্টেফেন বলেন, আর্থিক সমৃদ্ধির ভৌগোলিক সীমারেখা বদলে যাচ্ছে। বিষয়টি হলো, অভিজাত গোষ্ঠী যেমন আকারে বড় হচ্ছে, তেমনি তাঁদের এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজে এর গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বসবাস করে এমন ২০ শহরের মধ্যে প্রথম তিনটি শহরই যুক্তরাষ্ট্রের। এগুলোর মধ্যে প্রথম হলো নিউইয়র্ক; ৭৪৪ জন সেন্টি মিলিয়নিয়ারের বসবাস এই শহরে। এরপর আছে বে এরিয়া (৬৭৫) ও লস অ্যাঞ্জেলস (৪৯৬)।
শীর্ষ ২০–এর বাকি শহরগুলো হলো যথাক্রমে যুক্তরাজ্যের লন্ডন (৩৭০), চীনের বেইজিং (৩৪৭), সিঙ্গাপুর (৩৩৬), চীনের সাংহাই (৩২২), হংকং (৩২০), যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো (২৯০), ফ্রান্সের প্যারিস (২৮৬), জাপানের টোকিও (২৬৭), যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন (২৫৮), সুইজারল্যান্ডের জেনেভা (২৪৪), ভারতের মুম্বাই (২৩৬), সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (২১২), রাশিয়ার মস্কো (২০৭), অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (২০৫), সুইজারল্যান্ডের জুরিখ (২০৫), কানাডার টরন্টো (১৯৫) ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (১৯৫)। এ ছাড়া আবুধাবি ও রিয়াদের সেন্টি-মিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮ ও ৬৭ জন।
সংবাদে বলা হয়েছে, এই ধনীদের ৬০ শতাংশেরও বেশি উদ্যোক্তা ও কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সূচকের অন্তর্ভুক্ত এই ধনীদের কোম্পানি, যেমন ফরচুন ৫০০, এসঅ্যান্ডপি ৫০০, সিএসি ৪০, এফটিএসএ ১০০ ও নিক্কেই ২২৫।
সেন্টি-মিলিয়নিয়ারদের যেসব দেশে বসবাস করছেন, তার সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আছে। সে কারণেই দুবাই শহর এখন বিশ্বের ধনীদের চোখের মণিতে পরিণত হয়েছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। ধনীরা যেখানে সহজে বিনিয়োগ ও বসবাসের সুযোগ পান, সেখানেই তাঁরা ধাবিত হন। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সেন্টি-মিলিয়নিয়াররা যেসব দেশে বসবাস করছেন, সেই শীর্ষ ৫০টি শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শহরেই বিনিয়োগের বিপরীতে অভিবাসনের সুবিধা দেওয়া হয়। অর্থাৎ বৈশ্বিক সম্পদের পুঞ্জীভবন ও স্থানান্তরের সঙ্গে দেশগুলোর কৌশলগত অবস্থান ও পরিকল্পনার যোগ আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাইফুজ্জামানের সম্পদ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ এমপির চিঠি
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করতে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। একইসঙ্গে অর্থপাচারের মাধ্যমে গড়া এসব সম্পদ বাংলাদেশকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগারকে দেওয়া এক চিঠিতে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন আপসানা বেগম। চিঠিতে তিনি বলেছেন, সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও নানা ধরনের আর্থিক অপরাধের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
চিঠিতে আপসানা বেগম বলেন, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তার মালিকানা বাংলাদেশের। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে লড়াই–সংগ্রাম করছে, তাতে সহায়তা করতে এই সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের অবনমন এবং কর্মক্ষেত্রের অধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে, এমন প্রমাণও আছে।
আপসানা বেগম আরও বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করে ফিরিয়ে দেওয়া শুধু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্যতা প্রাপ্তি ও তাদের ভবিষ্যৎ অধিকার সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যও জরুরি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ১৫ কোটি পাউন্ড মূল্যের যে ২৮০টি সম্পত্তি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানধীন প্রতিষ্ঠানের নামে আছে বলে ভূমি কার্যালয়ের নথি থেকে জানা গেছে, তার মধ্যে ৭৪টি সম্পদ আপসানা বেগমের নিজের আসন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে অবস্থিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিনি অমরসুরিয়া
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি অমরসুরিয়াকে বেছে নিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হরিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
খবরে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ প্রধানের পাশপাশি বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন হরিনি অমরসুরিয়া।
প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলের নাম জনতা ভিমুক্তি পেরেুমুনার (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট-জেভিপি)। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এবং ৩৭ জন প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন তিনি।
তবে পার্লামেন্টে তার দলের অবস্থা তেমন ভালো নয়। দেশটির ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে বর্তমানে জেভিপির আইনপ্রণেতা রয়েছেন মাত্র ৩ জন। হরিনি অমরসুরিয়া এ তিন এমপির একজন।
চুয়ান্ন বছর বয়সি হরিনি একসময় সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি লিঙ্গ সমতা এবং সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ক একজন কর্মী।
জেভিপির জ্যেষ্ঠ নেতা নামাল করুণারত্নে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী আপাতত দলের তিন জন এমপি সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। এ অবস্থায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে এবং তারপর নতুন এমপিরা শপথ নেবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে ১৫০ বছরের পুরোনো ট্রাম
ভারতের কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ট্রাম সেবা। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার বাসিন্দারা ট্রামে চলাচল করছেন। এতে কলকাতার গণপরিবহন খাতে ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে এ পরিবহন। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এ ঘোষণা দেন।
স্নেহাশীষ জানান, ট্রামের কারণে কলকাতায় জ্যামের সৃষ্টি হয়। কলকাতার সড়কে সর্বশেষ দুটি লাইনে ট্রাম চলত–ধর্মতলা থেকে বালিগঞ্জ আর ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার। এবার সেসব লাইন তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কলকাতায় বেড়াতে আসা মানুষ যেন ট্রাম দেখতে পারেন এবং ভ্রমণ করতে পারেন সে জন্য ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত ছোট্ট পথে ‘হেরিটেজ’ হিসেবে ট্রাম চলবে। এর মধ্যে দিয়ে কলকাতার আবেগ, ঐতিহ্য, ভালোবাসার ট্রাম বিদায় নেবে।
কলকাতায় ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালানো হয়। শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়া ঘাট পর্যন্ত ওই ট্রাম চলে। পরে ‘কলকাতা ট্রামওয়ে কোম্পানি লিমিটেড’ গঠন করা হয়। এ কোম্পানির নিবন্ধন ছিল লন্ডনে। পরে ১৯০২ সালে কলকাতায় প্রথমবার চালু করা হয় বৈদ্যুতিক ট্রাম। বেশ কয়েকটি পথে ট্রাম চলাচল করত।
এমআই