জাতীয়
আ. লীগের করা ৪ জ্বালানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না সরকার

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিদেশি ৪টি কোম্পানির সঙ্গে প্রণীত এবং প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ কোম্পানিগুলো হলো- ভারতের এইচ এনার্জি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম, চীনের সিনোপেক এবং উজবেকিস্তানের এরিয়েল।
কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের আওতায় ছিল চুক্তিগুলো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত এ আইন বাতিল করায় ওইসব চুক্তি আর হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে এবং যেগুলো প্রয়োজনীয় বলে মনে করবে, সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যাবে।
জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগ্রহী কোম্পানি বাছাই করে চুক্তিগুলো করা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে এসব বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করে।
কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা, সম্ভাব্য ব্যয়ও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও চলছিল বলে জানান কর্মকর্তারা।
তবে চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাজপ্রমের সঙ্গে ভোলায় ৫টি গ্যাস কূপ খনন, এইচ এনার্জির সঙ্গে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশভিত্তিক কোম্পানি দীপন গ্যাসের সঙ্গে ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল।
এছাড়া, সিলেটে পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করার জন্য চীনের সিনোপেক এবং ছয়টি কূপ খনন ও অন্যটিতে ওয়ার্কওভারের কাজ করার জন্য উজবেকিস্তানের এরিয়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।
সূত্র জানায়, গৃহস্থালী গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নতুন কূপ খনন এবং বিদ্যমান কূপগুলোতে ওয়ার্কওভার কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল।
গ্যাজপ্রম, সিনোপেক এবং এরিয়েলের সঙ্গে স্থলভাগে ১৭টি কূপে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জ্বালানি বিভাগ এটির আর্থিক বিবরণ পর্যালোচনা করার পরে প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল বলেও জানায় সূত্র।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সাবেক সরকারের। এসব কূপ খননের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৭টি কূপে কার্যক্রম চালাতে বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল।
যে-সব চুক্তি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে দেশে মোট ২০টি কূপ খনন করেছে গ্যাজপ্রম, যার মধ্যে ভোলার ৭টি কূপ ছিল। একই আইনের আওতায় নতুন করে ভোলায় বর্তমানে চারটি কূপ খননের কাজ করছে রাশিয়ান কোম্পানিটি। একই ফর্মুলায় ভোলার আরও ৫টি কূপ খননের কাজ তাদের দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল হাসিনা সরকার।
ভোলার ৫টি কূপ খননে গ্যাজপ্রমের দেওয়া প্রস্তাবের কারিগরি ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মূল্যায়ন শেষে জ্বালানি বিভাগে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ প্রস্তাব নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়েছে।
এ পাঁচ কূপের মধ্যে একটি অনুসন্ধান কূপ, বাকিগুলো উন্নয়ন কূপ। এগুলো খননের জন্য রুশ কোম্পানিটি ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় প্রস্তাব করেছে। সবশেষে এ ব্যয় নিয়ে জ্বালানি বিভাগ ও গ্যাজপ্রমের দরকষাকষি চলছিল।
ভারতের এইচ-এনার্জি থেকে বছরে ০.৮ এমটিপিএ থেকে ১ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার অ্যানাম) এলএনজি আমদানির জন্য চুক্তি করা হচ্ছিল। প্রায় চার বছর ধরে দুপক্ষ আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছিল। এ গ্যাস খুলনা ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি (জিএসএ) বিষয়ে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সে বৈঠক আর হয়নি।
দীপন গ্যাস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। তবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এর কার্যক্রম রয়েছে বলে এটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনে যে জ্বালানি তেল বাংলাদেশ আমদানি করছে, সে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করেছে এ কোম্পানিটি। মহেশখালীতে অ্যাক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও একটি পাইপলাইন স্থাপনের কাজেও সম্পৃক্ত ছিল দীপন গ্যাস।
দীপন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন ও জিএস) মোহাম্মদ ইউনুস জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাসের উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। ভেড়ামারা থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো হলেও বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ নেই। এতে সার কারখানা স্থাপনসহ এ অঞ্চলে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত সরকার গ্যাস আমদানি করে খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ চাপের পাইপলাইন স্থাপনে ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি কোম্পানি হিসেবে দীপন গ্যাস সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইনের প্রস্তাব করেছিল, যা সাবেক সরকার বিবেচনা করছিল।’
ইউনুস আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নিলে দীপন গ্যাস অংশ নেবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জেনেন্দ্র নাথ সরকার এ বছরের ১৭ এপ্রিল বলেছেন, ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, চীনা কোম্পানি সিনোপেকের সঙ্গে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফসিএল) আওতাধীন পাঁচটি কূপ খনন নিয়ে আলোচনা চলছিল। কূপগুলো হলো রশীদপুর-১১ ও ১৩, কৈলাশটিলা-৯ এবং সিলেটের ডুপি টিলা-১ আর একমাত্র উন্নয়ন কূপ সিলেট-১১। এসব প্রকল্পে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সূত্র: টিবিএস
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১ হাজার ৬৬২ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৬০৪ জন।
শুক্রবার (১৬ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৬০৪ জন। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৬২ জনকে।
অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগানও (এলজি) উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল নিক্ষেপ: ডিবি অফিসে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

রাজধানীর কাকরাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গত ১৪ মে রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি সেখানে অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালে হঠাৎ এক পর্যায়ে তার দিকে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। উপস্থিত সবাই মুহূর্তেই হতভম্ব হয়ে যান, তবে সৌভাগ্যক্রমে উপদেষ্টা গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হননি।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বোতল ছোঁড়ার পরপরই এক তরুণ দ্রুত ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। তার মুখ আংশিক স্পষ্ট হওয়ায় শনাক্তকরণ কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উড্ডয়নকালে খুলে গেলো বিমানের চাকা, ঢাকায় অবতরণ

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর চাকা খুলে নিচে পড়ে যায় বিমানের। এসময় বিমানটিতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল। পরে তা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমান থেকে নিরাপদে নেমে এসেছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পরে দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। চাকার বিষয়টি কী হয়েছিল সেটি বিমানের ইঞ্জিনিয়াররা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।
যাত্রীরা নিরাপদে নেমে এসেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এসময় বিমানটিতে পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন বিল্লাল।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি।
উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চাচ্ছেন। পাইলটের বার্তা পাওয়ার পরপরই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিষিদ্ধ সংগঠনে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এজাজ

হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনে জড়িতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজেরর বিরুদ্ধে। সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
ফেসবুকে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরে যেন আরেকটি ছায়া সরকার পরিচালিত হচ্ছে, যার অগ্রভাগে রয়েছে অন্তত ৬ জন ব্যক্তি, বেশ সুকৌশলে এরা সরকারের ভেতর প্রবেশ করেছে। যেসব উপদেষ্টা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে আপনারা হরহামেশাই মুখরোচক গল্প শুনে অভ্যস্ত তারা কেউই এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। বরং আপনাদের কাছে ওইসব ছাইপাঁশ গল্প প্রচারই করা হয় সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব ব্যক্তিদের সামনে এনে বিতর্কিত করে আপনাদের ব্যস্ত রাখার জন্যে। উদ্দেশ্য ১৪ জনের বিশেষ দলটি বা ছোটন গ্যাং যেন নিভৃতে তাদের কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে পারে।
আজকে উন্মোচন করা হবে ছোটন গ্যাং এর অন্যতম সদস্য এবং সরকারের ভেতর চতুরতার সাথে স্থান করে নেয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজের পরিচয়।
মো. এজাজ, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতাদের একজন। তিনি ছাত্র জীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, ২০০২ সাল থেকে হিজবুত তাহরীরের সাথে জড়িত হন। এই সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে কমপক্ষে দু’বার গ্রেফতার হন তিনি।
২০১৪ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ইস্যু করা সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি স্মারক পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ নামক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের তালিকায় এই মো. এজাজের অবস্থান ছিলো পঞ্চম। একই বছর নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে মো. এজাজ সহ আরো আটজ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১)(ক)(৩)/২৫/ঘ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় কিছুদিন আটক থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও একই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে তৎপর থাকে এজাজ।
৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১০ নভেম্বর ২০২৪ এজাজ সহ তার অন্য সহযোগীদের মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়। মো. এজাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে বের করতে বিভিন্নভাবে দেনদরবার করা শুরু করেন।
ছোটন গ্যাং এর সাথে আগে থেকেই পরিচয় থাকার সুবাদে এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সরাসরি সুপারিশে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন মো. এজাজ। জানা যায় এই পদের জন্যে পর্দার আড়ালে থেকে তদবির করেন একজন নারী উপদেষ্টা।
বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সাথে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে সরকার পক্ষ থেকে মো. এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আগে কোন রকমের নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অর্থসংবাদকে বলেন, আমার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা বিত্তিহীন। যেই ডকুমেন্টস গুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে এগুলো আমি বিশ্বাস করিনা। আমার ফেসবুকে দেখেন আমি এ বিষয়ে লিখেছি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিমানবাহিনী প্রধান

ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
শুক্রবার (১৬ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ইতালি বিমানবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল লুকা গোরেট্টির আমন্ত্রণে ৮-৯ মে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান অ্যারোস্পেস পাওয়ার কনফারেন্স (এএসপিসি) ২০২৫-এ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা অংশগ্র নেন।
এছাড়া বিমানবাহিনী প্রধান ইতালির সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিওনার্দো এস.পি.এ.’র আমন্ত্রণে লিওনার্দো ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শন করেন।
বিমানবাহিনী প্রধানের এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, যা পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিমানবাহিনী প্রধান সরকারি সফরে ইতালির উদ্দেশ্যে গত ৭ মে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।