জাতীয়
তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রক্ষায় ড. ইউনূসকে সামিট গ্রুপের চিঠি

সামিট গ্রুপের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকির অভিযোগগুলো মিথ্যা উল্লেখ করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পেট্রোবাংলাসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিস্থিতি প্রকাশ্যে স্পষ্ট করারও দাবি জানান তিনি।
ওই চিঠিতে স্থায়িত্ব এবং শূন্য কার্বন নির্গমণের ওপর জোর দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে মোট ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তিগুলোকে রক্ষা করতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন আজিজ খান।
আজিজ খান বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ সামিটের সদিচ্ছার ক্ষতি করছে এবং বিদেশিক বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে। মানি লন্ডারিং এবং ট্যাক্স ইস্যুতে কথিত তদন্তের মিডিয়া রিপোর্টের পর, সরকারি কর্মকর্তারা গোপন নথি খোঁজার জন্য ঢাকায় সামিটের অফিসে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ওই চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, মিডিয়ার ভিত্তিহীন দাবির ভিত্তিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের বিনিয়োগের পরিবেশে আস্থা নষ্ট করতে পারে।
কম্পানিটি তার কার্যক্রম এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে এসপিআই’র বিদেশি বিনিয়োগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
চিঠিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই) বর্তমানে জাপানের জেরার সহ-মালিকানাধীন বাংলাদেশে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের (এসসিএল) শেয়ার ২০১৬ সালে ১৬৭.৯ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করে। এই লেনদেনের অর্থায়ন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ইএমএ পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছে) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অবকাঠামো বিকাশকারী ডেলিম ইনার্জি কম্পানি লিমিটেড। লেনদেনটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অনুমোদিত এবং সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী করা হয়েছে।
এসপিআই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক এবং জাপানের তাইয়ো লাইফ ইন্স্যুরেন্স কম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে ২.৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে; যা পিডিবি ও আইবি’র জন্য ২৫০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে।
একাধিক চ্যালেঞ্জের কারণে ব্যবসা চাপে
চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে সামিটের ব্যবসাগুলো উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বিপিডিবি কর্তৃক অত্যন্ত বিলম্বিত অর্থপ্রদান, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার তীব্র অবমূল্যায়ন, উচ্চ সুদের হার, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের ঘাটতি এবং এর কিছু সুবিধার ওপর সাম্প্রতিক জনতার আক্রমণ।
সামিট সম্প্রতি ভিত্তিহীন ও মানহানিকর মিডিয়া রিপোর্টের শিকার হয়েছে। এই রিপোর্টগুলো মিথ্যাভাবে সামিট এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগ তুলেছে। তারা এসপিএল-এর বিনিয়োগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তদন্তের ভিত্তি নেই
চিঠিতে বলা হয়, যদিও আমরা বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো তদন্তকে স্বাগত জানাই, আমরা বিনীতভাবে বলতে চাই, শুধু মিথ্যা ও উসকানিনিমূলক মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা মানি লন্ডারিং, ট্যাক্স ইত্যাদির তদন্তের জন্য গোপনীয় নথি চেয়ে আমাদের ঢাকা অফিসে গিয়েছিলেন।
‘আমরা বিশ্বাস করি, এই শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সদিচ্ছা হ্রাস পেয়েছে। মিথ্যা, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং চিন্তাহীন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধানের আরো সূচনা বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সামিট গ্রুপের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার অধীনে ঝুঁকিপূর্ণ প্রিপেমেন্টগুলিকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
বিদ্যুৎ প্রকল্পে সক্ষমতা প্রদান ও সর্বনিম্ন শুল্ক
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা মনে করি মিডিয়ার ভুলবোঝাবুঝি এবং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ক্ষমতা প্রদানের ভুল প্রতিবেদন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ (পিএসপিজিপিবি) ১৯৯৬ সালে পাওয়ার সেক্টরে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য প্রণীত হয়েছিল।
পিএসপিজিপিবি ট্যারিফের একটি অংশ হিসাবে ক্ষমতা প্রদানকে সংজ্ঞায়িত করে ‘যা ঋণ পরিষেবা, ইক্যুইটির ওপর রিটার্ন, স্থায়ী অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, বিমা ও অন্যান্য নির্দিষ্ট খরচ কভার করবে। ’
আজিজ খান বলেন, ‘আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করাছি, এসপিআই-এর পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো সে সময়ে পুরস্কৃত হয়েছিল এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে দক্ষের মধ্যে রয়েছে। এটা বিপিডিবি-এর মেরিট অর্ডার ডিসপ্যাচে তাদের নিয়োগের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। ভেরিয়েবলের মূল্যায়ন না করে বিভিন্ন শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচের তুলনা করলে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এসপিআই-এর প্রতি মেগাওয়াটের পেমেন্ট বাংলাদেশে সবচেয়ে কম, যা সাশ্রয়ী শক্তির সমাধানের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
আজিজ খান তার সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করেছেন
এদিকে, চিঠিতে আজিজ খান ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনের পর তার সম্পদ সম্পর্কে ভুল ধারণার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, তার মোট মূল্য সম্ভবত সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই) এর সর্বজনীন আর্থিক বিবৃতি থেকে উদ্ভূত হয়, যেগুলো কেপিএমজি দ্বারা নিরীক্ষিত হয়।
এসপিআই-এর ২০২৩ ফিনান্সিয়ালস অনুযায়ী, কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২.৪৯ বিলিয়ন ডলার। যার দায় ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার, আর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আনুমানিক ১.০৩ বিলিয়ন ডলার।
চিঠিতে লেখা হয়, এটাও লক্ষ করা যেতে পারে, ফোর্বস নিজেই ঘোষণা করেছে যে, সামিট গ্রুপের বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স এবং রিয়েল এস্টেটের স্বার্থ রয়েছে এবং জাপানের জেরা সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ’
আজিজ খান বলেন, আরোপিত সম্পদ বাংলাদেশের ভৌত সম্পদের প্রতিনিধিত্ব করে, যার মালিকানা তার পুরো পরিবারের, যাদের সবাই দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তিনি একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা বলেও জানান তিনি। সূত্র: টিবিএস
কাফি

জাতীয়
প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান পুলিশের

প্রতারকচক্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। বুধবার (৪ জুন) পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সম্প্রতি প্রতারকচক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিনব কৌশলে মাইক্রোবাসে যাত্রী তুলে প্রতারণা করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতারকচক্র যাত্রীদের নির্জন স্থানে নিয়ে জিম্মি করে তাদের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আবার যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোনকল করিয়ে বিকাশে অর্থ দাবি করছে। এ ধরনের অপরাধী থেকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার কবল থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীদের পথিমধ্যে থেকে মাইক্রোবাস বা এ জাতীয় যানবাহনে না উঠার জন্য পুলিশ অনুরোধ জানাচ্ছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, যাত্রাপথে অপরিচিত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো খাবার গ্রহণ না করা এবং অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ প্রতারকচক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
একাকী ভ্রমণের সময় সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। নিজের অবস্থান এবং গন্তব্য সম্পর্কে পরিবারের সদস্য বা নিকটজনকে অবহিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
কাউকে সন্দেহ হলে বা সন্দেহজনক কোনো গাড়ি বা পরিস্থিতি লক্ষ্য করলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ পুলিশকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করতে বলা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। আজ বুধবার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার কুক সম্মানজনক কিং চার্লস হারমনি পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
পুরস্কারের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি একটি মহান সম্মানের বিষয়।’
অধ্যাপক ইউনূস ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৩ জুন ফিরে আসবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ঊর্ধ্বতন ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল সংক্রান্ত সহযোগিতা, অভিবাসন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা হাইকমিশনারকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে গঠিত কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে এবং শিগগির তা শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নত করতে যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহায়তা এবং ব্রিটিশ গবেষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
আজ রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা এবং শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে আজ বুধবার (৪ জুন) রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল।
ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদের আগে ৫ জুন রাত ১২টার পর থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানী তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সকল গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
কাফি
জাতীয়
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে আইনি নোটিশ

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোনে ব্যয়ের ওপর চলামন ‘সারচার্জ’ কর্তন বন্ধে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।
আজ বুধবার (৪ জুন) ৫ মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনবিআর ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং ৪ মোবাইল অপারেটরকে সিসিএস নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসাইন।
নোটিশে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের থেকে মোবাইলে খরচের ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ চালু রয়েছে। ২০১৬ সালে ‘সারচার্জ‘ আরোপ করা হয় যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে এই সারচার্জের মাধ্যমে ভোক্তাদের থেকে দুই হাজার (২০০০) কোটি টাকার বেশি আদায় করা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হলেও মোবাইল ফোনে সারচার্জ কর্তন বন্ধ করা হয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে ভোক্তাদের থেকে সারচার্জ কর্তনের জন্য ২০১৫ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ করে সরকার। ওই আইনের অধীনে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ‘সারচার্জ‘ আদায় শুরু করে সরকার। তবে আইনের ৪নং ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তে ও নির্ধারিত মেয়াদে উন্নয়ন সারচার্জ আদায় করতে পারবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে কোনো মেয়াদ নির্দিষ্ট না করেই সারচার্জ আদায় শুরু হয়। ফলে সারচার্জ আদায় ৯ বছর চললেও তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই। যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট না করে বেআইনিভাবে ‘সারচার্জ‘ আদায়ের মাধ্যমে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংস্থা হিসেবে সিসিএস এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আইনি পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মোবাইল ফোনে ব্যয়ের ওপর চলমান ১ শতাংশ ‘সারচার্জ‘ কর্তন বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সারচার্জ কর্তন বন্ধ করা না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
এক বদলির জন্য এক কোটি টাকা অফার এসেছিল: শিক্ষা উপদেষ্টা

একটি বড় পদের পদায়নের জন্য আমার কাছে তদবির এসেছিল। ওই পদে বদলির জন্য এক কোটি টাকা অফার করেছিল বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
বুধবার (৪ জুন) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় শিক্ষাখাতে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। সভায় আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান করছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা উদাহরণ দেন, ‘একটি বড় পদের পদায়নের জন্য আমার কাছে তদবির এসেছিল। তার জন্য প্রথিতযশা একজন বুদ্ধিজীবী তদবির করেছিলেন। পরে তার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য নন। তখন আমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করি। পরবর্তীতে তিনি অন্য মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং তিনি আমাকে একটা অ্যামাউন্ট অফার করেন। ’
অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এক কোটি টাকা অফার করেছিলেন তিনি। তিনি যাকে দিয়ে বলিয়েছিলেন, তিনি আমার পরিচিত। যিনিও একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন। আমি আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমার সহকর্মী যারা আছেন তারা যেন নৈতিক অবস্থানে স্থির থাকেন। আমি পদে থাকা অবস্থায় কোনো দুর্নীতি সহ্য করব না।
দুর্নীতির কথা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শোনেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে যে পত্রিকাগুলো আসে, সেগুলোর বেশিরভাগ কাটিংয়ে দুর্নীতির খবর থাকে। তবে কোনটা সত্য, কোনটা সত্য না, তা যাচাই করার সব সময় সক্ষমতা আমাদের হাতে থাকে না। তবে যেখানে ঘটনা ঘটে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট-জিরো টলারেন্স।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি