জাতীয়
তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রক্ষায় ড. ইউনূসকে সামিট গ্রুপের চিঠি

সামিট গ্রুপের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকির অভিযোগগুলো মিথ্যা উল্লেখ করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পেট্রোবাংলাসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে লেখা এক চিঠিতে এই আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিস্থিতি প্রকাশ্যে স্পষ্ট করারও দাবি জানান তিনি।
ওই চিঠিতে স্থায়িত্ব এবং শূন্য কার্বন নির্গমণের ওপর জোর দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে মোট ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চুক্তিগুলোকে রক্ষা করতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন আজিজ খান।
আজিজ খান বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ সামিটের সদিচ্ছার ক্ষতি করছে এবং বিদেশিক বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে। মানি লন্ডারিং এবং ট্যাক্স ইস্যুতে কথিত তদন্তের মিডিয়া রিপোর্টের পর, সরকারি কর্মকর্তারা গোপন নথি খোঁজার জন্য ঢাকায় সামিটের অফিসে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ওই চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, মিডিয়ার ভিত্তিহীন দাবির ভিত্তিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের বিনিয়োগের পরিবেশে আস্থা নষ্ট করতে পারে।
কম্পানিটি তার কার্যক্রম এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশে এসপিআই’র বিদেশি বিনিয়োগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
চিঠিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই) বর্তমানে জাপানের জেরার সহ-মালিকানাধীন বাংলাদেশে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের (এসসিএল) শেয়ার ২০১৬ সালে ১৬৭.৯ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করে। এই লেনদেনের অর্থায়ন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ইএমএ পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছে) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অবকাঠামো বিকাশকারী ডেলিম ইনার্জি কম্পানি লিমিটেড। লেনদেনটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অনুমোদিত এবং সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী করা হয়েছে।
এসপিআই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক এবং জাপানের তাইয়ো লাইফ ইন্স্যুরেন্স কম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে ২.৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে; যা পিডিবি ও আইবি’র জন্য ২৫০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে।
একাধিক চ্যালেঞ্জের কারণে ব্যবসা চাপে
চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে সামিটের ব্যবসাগুলো উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বিপিডিবি কর্তৃক অত্যন্ত বিলম্বিত অর্থপ্রদান, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার তীব্র অবমূল্যায়ন, উচ্চ সুদের হার, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের ঘাটতি এবং এর কিছু সুবিধার ওপর সাম্প্রতিক জনতার আক্রমণ।
সামিট সম্প্রতি ভিত্তিহীন ও মানহানিকর মিডিয়া রিপোর্টের শিকার হয়েছে। এই রিপোর্টগুলো মিথ্যাভাবে সামিট এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগ তুলেছে। তারা এসপিএল-এর বিনিয়োগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তদন্তের ভিত্তি নেই
চিঠিতে বলা হয়, যদিও আমরা বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো তদন্তকে স্বাগত জানাই, আমরা বিনীতভাবে বলতে চাই, শুধু মিথ্যা ও উসকানিনিমূলক মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা মানি লন্ডারিং, ট্যাক্স ইত্যাদির তদন্তের জন্য গোপনীয় নথি চেয়ে আমাদের ঢাকা অফিসে গিয়েছিলেন।
‘আমরা বিশ্বাস করি, এই শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সদিচ্ছা হ্রাস পেয়েছে। মিথ্যা, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং চিন্তাহীন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধানের আরো সূচনা বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সামিট গ্রুপের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার অধীনে ঝুঁকিপূর্ণ প্রিপেমেন্টগুলিকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
বিদ্যুৎ প্রকল্পে সক্ষমতা প্রদান ও সর্বনিম্ন শুল্ক
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা মনে করি মিডিয়ার ভুলবোঝাবুঝি এবং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ক্ষমতা প্রদানের ভুল প্রতিবেদন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ (পিএসপিজিপিবি) ১৯৯৬ সালে পাওয়ার সেক্টরে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য প্রণীত হয়েছিল।
পিএসপিজিপিবি ট্যারিফের একটি অংশ হিসাবে ক্ষমতা প্রদানকে সংজ্ঞায়িত করে ‘যা ঋণ পরিষেবা, ইক্যুইটির ওপর রিটার্ন, স্থায়ী অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, বিমা ও অন্যান্য নির্দিষ্ট খরচ কভার করবে। ’
আজিজ খান বলেন, ‘আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করাছি, এসপিআই-এর পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো সে সময়ে পুরস্কৃত হয়েছিল এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে দক্ষের মধ্যে রয়েছে। এটা বিপিডিবি-এর মেরিট অর্ডার ডিসপ্যাচে তাদের নিয়োগের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। ভেরিয়েবলের মূল্যায়ন না করে বিভিন্ন শক্তির উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচের তুলনা করলে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়। এসপিআই-এর প্রতি মেগাওয়াটের পেমেন্ট বাংলাদেশে সবচেয়ে কম, যা সাশ্রয়ী শক্তির সমাধানের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
আজিজ খান তার সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করেছেন
এদিকে, চিঠিতে আজিজ খান ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনের পর তার সম্পদ সম্পর্কে ভুল ধারণার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, তার মোট মূল্য সম্ভবত সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই) এর সর্বজনীন আর্থিক বিবৃতি থেকে উদ্ভূত হয়, যেগুলো কেপিএমজি দ্বারা নিরীক্ষিত হয়।
এসপিআই-এর ২০২৩ ফিনান্সিয়ালস অনুযায়ী, কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২.৪৯ বিলিয়ন ডলার। যার দায় ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার, আর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আনুমানিক ১.০৩ বিলিয়ন ডলার।
চিঠিতে লেখা হয়, এটাও লক্ষ করা যেতে পারে, ফোর্বস নিজেই ঘোষণা করেছে যে, সামিট গ্রুপের বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স এবং রিয়েল এস্টেটের স্বার্থ রয়েছে এবং জাপানের জেরা সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ’
আজিজ খান বলেন, আরোপিত সম্পদ বাংলাদেশের ভৌত সম্পদের প্রতিনিধিত্ব করে, যার মালিকানা তার পুরো পরিবারের, যাদের সবাই দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তিনি একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা বলেও জানান তিনি। সূত্র: টিবিএস
কাফি

জাতীয়
দেশে আবারও কমল জ্বালানি তেলের দাম

দেশের বাজারে আবারও জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। জুন মাসের জন্য প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ২ টাকা এবং পেট্রল ও অকটেনের দাম লিটারে ৩ টাকা কমানো হয়েছে। এই নতুন দাম আগামীকাল, ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।
শনিবার (৩১ মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন দরের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে:
- প্রতি লিটার ডিজেল ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
- পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১২১ টাকা থেকে কমিয়ে ১১৮ টাকা করা হয়েছে।
- অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা করা হয়েছে।
- কেরোসিনের নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি শুরু করেছে সরকার। সে অনুযায়ী প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে মে মাসে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমেছিল। আর এপ্রিলে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল।
জাতীয়
গরুর বুদ্ধি অনেক মানুষের চেয়ে বেশি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মন্তব্য করেছেন গরুর যে বুদ্ধি আছে, তা অনেক মানুষের মধ্যেও নেই। তিনি এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, গরু-ছাগল তামাক পাতা খায় না, অথচ অনেক মানুষ এর ক্ষতিকর প্রভাব জেনেও তামাক সেবন করে।
শনিবার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “আমাদের দেশে পুরুষের সিগারেট খাওয়াকে স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছে। বড়দের সামনে এটাকে বেয়াদবি ধরা হয়। বর্তমানে ই-সিগারেটটা তো বৈধ করে ফেলা হয়েছে। এমনভাবে উপস্থাপন করে, যেন বাংলাদেশ সরকার তামাক কোম্পানির টাকায় চলে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটা ভুল তথ্য। আমাদের সরকার জনগণের টাকায় চলে।”
এসময় তরুণদের প্রশংসা করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, “যেই তরুণরা এত বড় সরকার হটিয়েছে তাদের টার্গেট করে তামাক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করবে, এটা হবে না। আমি আশা করি, আমাদের তরুণেরা তামাক কোম্পানির এই ধ্বংসযজ্ঞ রুখে দেবে।”
তিনি আরও বলেন, এই তামাক কোম্পানিগুলো তামাক চাষের জন্য নদীর পাড় বেছে নেয়, যার ফলে মাছের প্রজনন কমে যাচ্ছে। গরুপালনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের প্রজননও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জাতীয়
বাংলাদেশের আকাশে চক্কর দিলো ভারতীয় ৪ ড্রোন

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী সীমান্তে ফের বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারতীয় ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৮টার দিকে ওই সীমান্তে বাংলাদেশের ৫০০ মিটার অভ্যন্তরে চারটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
ওই সীমান্তের দায়িত্বে থাকা জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ নিয়ে বিজিবির আর কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের আসাম রাজ্যের কাকড়িপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের আওতাধীন বিএসএফ সদস্যরা শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চারটি ড্রোন পাঠায়। রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা গ্রামের আকাশে এসব ড্রোন প্রায় আধঘণ্টা ধরে চক্কর দেয়। বিএসএফ নজরদারি করতে এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে এসব ড্রোন ওড়াচ্ছে। এর আগে গত ২৭ মে একই সীমান্তে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন ওড়ায় বিএসএফ।
বিজিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌনে ৯টা পর্যন্ত ৩০ মিনিট ধরে সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০৬৭ (১ এস)-এর কাছে বাংলাদেশের ৫০০ মিটার অভ্যন্তরে চারটি ভারতীয় ড্রোন চক্কর দেয়। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অস্বীকার করে।
সূত্র আরও জানায়, বিএসএফ ছাড়া এসব ড্রোন অন্য কারও ওড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ তারা সীমান্তের ২০০ গজ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। তাদের নজর এড়িয়ে সাধারণ মানুষের এসব ড্রোন ওড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু বিএসএফ দায় স্বীকার করে না।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফিরোজ মিয়া বলেন, ২৭ মে বড়াইবাড়ী সীমান্তের ১০৬৭ মেইন পিলার দিয়ে আসামের ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ কর্তৃক পুশ ইন করার পর থেকে ভারত বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে নজরদারি করার চেষ্টা করছে। সেদিনও তারা বাংলাদেশের সীমানায় ড্রোন পাঠিয়েছিল। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা গ্রামের আকাশে ভারতের ৪-৫টি ড্রোন উড়ছিল। ড্রোনগুলো বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের কাছেও এসেছিল।
‘ভারতের এমন আচরণের নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বৈরী আচরণ করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এর প্রতিকার চাই’, প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন এই ইউপি সদস্য।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনও রাষ্ট্র অন্য কোনও রাষ্ট্রের জল, স্থল কিংবা আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সীমান্তে অস্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহারে জাতিসংঘের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের আকাশসীমায় এভাবে ড্রোন ওড়াতে পারে না। এটি আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ভারতের এসব অপতৎপরতা বন্ধে বাংলাদেশ কূটনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রয়োজনে জাতিসংঘে যেতে পারে।
জাতীয়
সন্ধ্যার মধ্যে শিল্পাঞ্চলগুলোতে গ্যাস সাপ্লাই স্বাভাবিক হবে: উপদেষ্টা

সড়ক পরিবহন, সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, শিল্প মালিকরা কারখানায় যে গ্যাস সংকটের কথা বলে আসছেন তার সত্যতা পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে বিদেশ থেকে এলএনজি দেশে পৌঁছেছে, কিন্তু সমুদ্রের উত্তাল পরিস্থিতির জন্য জাহাজ ল্যান্ড করতে পারছে না। আজ সন্ধ্যার মধ্যে গ্যাস সাপ্লাই স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় টাওয়েল টেক্স লিমিটেড কারখানার গ্যাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সব এলাকাতেই অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। অবৈধ সংযোগের জন্য যেসব তিতাসের কর্মকর্তার দায় রয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি বড় পরিসরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান চালানো এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে এলএনজি নিয়ে একটি জাহাজ পৌঁছেছে কিন্তু সমুদ্রের উত্তাল আবহাওয়ার জন্য সেটি ডকিং করা যায়নি। এখন সেটি ডকিং হচ্ছে। আশা করছি বিকালের মধ্যেই এর একটি সমাধান হবে।
তিনি টাওয়ার টেক্সটাইল কারখানার মালিককে বলেন এখন আমি দেখেছি গ্যাসের কি অবস্থা আমাকে সন্ধ্যায় আবার জানাবেন এর কোনো উন্নতি হলো কিনা।
টাওয়েল টেক্স লিমিটেড পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, চলতি মাসে কারখানায় গ্যাস সংকট টাকার ধারণ করেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা গ্যাস চাচ্ছি না কিন্তু অন্তত ৮ ঘণ্টা গ্যাস দরকার।
এ সময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের এমডি পারভেজ আহমেদ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইফুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজিম প্রমুখ।
জাতীয়
ফিরতি ঈদযাত্রা: ১০ জুনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু

ঈদুল আজহা শেষে ঘরমুখো মানুষের ফেরার সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করছে বাংলাদেশে রেলওয়ে। আজ বিক্রি করা হবে আগামী ১০ জুনের ট্রেনের টিকিট।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি বিক্রি হয়েছে ৩০ মে। এছাড়া ১১ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ১ জুন; ১২ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ২ জুন; ১৩ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৩ জুন; ১৪ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৪ জুন এবং ১৫ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হবে ৫ জুন।
আরও জানা গেছে, ঈদের পরে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এসময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে কিনতে পারবেন। একটির বেশি আসনের টিকিট কিনলে সহযাত্রীদের নাম টিকিট কেনার সময় লিখতে হবে।