রাজনীতি
বন্যার্তদের জন্য ২০ কোটি টাকার ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
দেশের পূর্বাঞ্চলে জেলাগুলোতে দুর্গত মানুষের জন্য নগদসহ ২০ কোটিরও বেশি টাকার ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছে বিএনপি। এসব অর্থ দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে বিতরণের পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে ব্যয় করবে বলে জানিয়েছে দলটি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপি এবং বিএনপি পরিবার প্রায় ২০ কোটি টাকারও বেশি নগদ আর্থিক এবং ত্রাণ সংগ্রহ করেছে। আমাদের প্রাথমিক কার্যক্রম ছিল বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করা এবং তার পরে তাদের খাবার সরবরাহ করা। দলের জেলা, উপজেলা পর্যায়ের অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এটা করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারত ছেড়ে কোথাও যাননি, দিল্লিতেই আছেন শেখ হাসিনা!
মাসদুয়েক আগে নাটকীয় পরিস্থিতিতে দিল্লিতে আসা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এ জাতীয় সব খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সংবাদমাধ্যমটির সংবাদদাতা গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে (ভারত) গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’
তিনি দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও জানায়নি। কিন্তু সেই ‘লোকেশন’ যে গত কয়েকদিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে।
দিল্লির সাউথ ব্লকে একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বিবিসির কাছে এমনও বলেছেন, ‘যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোছাপা করার তো কোনো কারণ নেই!’ ফলে শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব ‘খবর’কে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিনে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে। জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরেই কারামুক্ত হলেন সাবের হোসেন
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরেই কারামুক্ত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের গারদখানা থেকে তিনি কারামুক্ত হন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানার ইনচার্জ এসআই মুরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান আজ বিকেলে সাবের হোসেন চৌধুরীকে জামিন দেন।
সাবের হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন জানিয়েছেন, আর কোনো মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। যে কোনো সময় তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
গত রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন সোমবার রাজধানীর পল্টনে বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন জানান। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মাহবুবুল হক শুনানি শেষে সাবের হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে কারামুক্ত হলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ভারত ছাড়েনি শেখ হাসিনা, জানালেন জয়
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গেল ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। টানা কয়েক মাস সেখানে অবস্থান শেষে গুঞ্জন উঠেছে, ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তিনি সেখানের আজমান শহরে অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনা এখন কোথায় আছে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে দেশের একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জয় জানান, শেখ হাসিনার ভারত ছেড়ে যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। তার মা এখনও ভারতেই আছেন।
কোটা প্রসঙ্গে জয় বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমন প্রস্তাব রাখেন জয়। সে সময় কোটা আন্দোলন দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, তার মা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বেশ বিচলিত এবং হতাশ। কেননা গত ১৫ বছরে হাসিনার কঠোর পরিশ্রম অনেকটাই ব্যর্থ হতে চলেছে।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জয় জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তার কখনই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী হবে তা তিনি বলতে পারছেন না।
এদিকে জল্পনা উঠেছে অচিরেই ভারত ছাড়তে হবে শেখ হাসিনাকে। তবে ভারত ছেড়ে কোথায় যাবেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন।
এমন খবর ঢাকার সরকারি একটি মহলকে জানানো হয়েছে। একাধিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে তিনি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন তারা। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রধান করা হয়েছে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসকে। এরপর থেকে প্রায় দু মাস হয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু।
শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় ২ মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা দেশটিতে কিভাবে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ৭ দাবি
সাত দিনের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের সাথে তার প্রথম মতবিনিময় সভায় তিনি এসব দাবি উত্থাপন করেছেন।
আজ রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
সাত দফা দাবি তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান বলেন, অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ও বেআইনি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের যত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ী একমাত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, আবু সাঈদ-মুগ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনী ছিল। এই অনুষ্ঠান থেকে আমার দেশ পরিবার, আমার ও সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় আমি সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামব।
তিনি বলেন, একজন বর্ষিয়ান নাগরিক হিসেবে ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মী হিসেবে আমি সাত দফা দাবি ঠিক করেছি, যা এই সরকারের কাছে উত্থাপন করছি।
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের ৭ দফা দাবি
এক নং দাবি হচ্ছে, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার জন্য অনতিবিলম্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
তৃতীয়ত, যমুনা সেতুকে শহীদ আবু সাঈদ সেতু নাম ঘোষণা করতে হবে।
চতুর্থত, ২০০৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে যতগুলো চুক্তি হয়েছে তার প্রতিটি ধারা উপ-ধারা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জনগণকে জানতে হবে ভারতের সঙ্গে কি কি চুক্তি হয়েছে। এগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিতে দেশ প্রেমিকরা থাকবেন। তবে সেখানে টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান বা ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতো কোনো ব্যক্তিকে রাখা যাবে না, যারা ফ্যাসিবাদ, ভারতীয় দালাল তারা থাকবে না।
পঞ্চমত, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে শহীদ আবরার এভিনিউ করতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব শুরু হয়েছে শহীদ আবরারের শাহাদতের মাধ্যমে। শহীদ আবরার ছিলেন ইন্ডিয়ান হেজেমনির বিরুদ্ধে। সেজন্য বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ আবরার অ্যাভিনিউ করতে হবে।
ষষ্ঠত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নমিনেশন অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সাহেবা পুতুলের নমিনেশন করা হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুতুলের নমিনেশন বাতিল করবে কি করবে না– সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু বিপ্লবোত্তর সরকারকে পুতুলের নাম প্রত্যাহার করে ম্যাসেজ দিতে হবে সংস্থাটিকে।
সপ্তমত, বুয়েটের ছাত্র, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) রহিমকে অবহেলাজনিত হত্যা করা হয়েছে। এটা আমি কারাগারে থাকতে জেনেছি। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কারান্তরীণ ছিলেন। যদিও বলা হয় তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। কিন্তু, আমি জেনেছি হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে ইলেক্ট্রিসিটির লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এসময় তিনি ছটফট করে মারা যান। আরেকজন হচ্ছে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু, যাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে বলে জেনেছি। দুজনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটির দায়িত্ব হবে সমস্ত কাগজপত্র প্রমাণ পর্যালোচনা করে এই দুজনের মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তিন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত ৩ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি। রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে গুলশান সুইডিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, ঢাকাস্থ সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরালড গুলব্র্যান্ডসেন এবং ডেনিশ দূতাবাস ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেনের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামা ওবায়েদ ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অংশ নেন।