প্রবাস
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৫৪ বাংলাদেশি

লিবিয়ার ত্রিপোলি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে ১৫৪ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রচেষ্টায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) সকাল ৭টার দিকে বুরাক এয়ারের (ইউেজড-০২২২) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় আইওএমর পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে আসা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রত্যাবাসন করা ওইসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আইওএম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ৫১ বাংলাদেশিকে প্রবেশে বাধা

প্রয়োজনীয়তার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) দিয়ে ৫১ বাংলাদেশির প্রবেশে বাধা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টাকালে তাদের প্রবেশে বাধা দেয় মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে একেপিএস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
কেএলআইএ টার্মিনাল- ১ এ আসলে ৬৭ জন বিদেশিকে তল্লাশি চালানো হয়। এদের মধ্যে ৫১ জনকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে শনাক্ত করা হয়। এরপর আরও তদন্তের জন্য আটক বাংলাদেশিদের অপারেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিদর্শনে দেখা গেছে যে তারা বিভিন্ন অপরাধ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ভুয়া হোটেল বুকিং নথি ব্যবহার করা এবং অভিবাসন চেক এড়ানোর চেষ্টা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্ক্রিনিংয়ের ফলে মোট ৫১ বাংলাদেশি নাগরিককে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, তারা ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে নির্ধারিত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ভুয়া নথি ব্যবহার ছাড়াও মালয়েশিয়ায় তাদের থাকার সময় ব্যয় বহন করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা এবং মালয়েশিয়ায় প্রবেশের স্পষ্ট উদ্দেশ্য উল্লেখ না করাও তাদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যানের কারণ।
এদের মধ্যে কেউ কেউ কাজ খোঁজার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন। বিবৃতি অনুসারে, ৫১ জনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৩৬ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়া প্রবেশকালে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫ জনকে আটক করেছে দেশটির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা একেপিএস। এদের মধ্যে ৩৬ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে একেপিএস।
বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে তিন ঘণ্টা ধরে পরিদর্শন অভিযান চালানো হয়েছিল। পরিদর্শন অভিযানে মোট ১১৫ জন বিদেশিকে কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর দেখা গেছে যে ৪৫ জন এই দেশে প্রবেশের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেনি। এর মধ্যে ৩৬ জন বাংলাদেশি এবং বাকি ৯ জন পাকিস্তানি।
কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের অবতরণ করতে দেওয়া হবে না। আরও তদন্তের জন্য আটকদের মনিটরিং ইউনিটের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে একেপিএস।
এর আগে, ১৭ মার্চ ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করে সংস্থাটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
আইরিশ বাংলাদেশ ফ্রান্সের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

ফ্রান্সে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে আইরিশ বাংলাদেশ ফ্রান্স। রোববার (৯ মার্চ) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম শিশির ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ কবির হোসেন পাটোয়ারী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী কবির আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলার প্রবাসী নেতা ও সমাজসেবক ইলিয়াস কাজল, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মশিউর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ দেলোয়ার খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম খান, সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ তায়েফ আহমেদ,মোহাম্মদ রুবেল ভূইয়া, মোহাম্মদ রাশেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশ-প্রবাস ও জাতীর কল্যাণে কাজ করার জন্য বিভিন্ন জেলার প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি কথা উল্লেখ করা হয়। প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিবৃন্দ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। বিশেষ করে প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে নানান কর্মসূচির কথাও জানানো হয়।
সর্বশেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৬ অভিবাসী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অন্তত ৯৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্য থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন, ডিপো এবং ডিটেনশন ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন, প্রিভেনশন ডিভিশন, ইন্টিগ্রিটি ডিভিশন, পুত্রজায়া হেডকোয়ার্টার এবং মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের বিভিন্ন পদের ১১৬ জন কর্মকর্তার একটি বাহিনী নিয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
এই অভিযানে, মোট ১৩৫ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছিল। পরে এর মধ্যে থেকে ৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তাররা বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তবে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে সেই তথ্য জানায়নি ইমিগ্রেশন। একটি ব্যক্তিগত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অবৈধ অভিবাসীরা বাসা ভাড়া করে থাকতো।
তিনি বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইনের অধীনে অবৈধ অভিবাসীরা সেখানে বসবাস করছিলেন এবং জনসাধারণের কাছ থেতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তার মতে, তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সবাইকে কেএলআইএ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসন বিভাগ ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশন এবং ২০০৭ সালের ব্যক্তি পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ এবং সুরক্ষা প্রদানকারী যেকোনো দলের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ৮৫ বাংলাদেশিসহ ৫৯৮ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ার ক্লাং শহরের মেরু’র একটি বাজারে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানে ৬৩০ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৫৯৮ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। আটকদের মধ্যে ৮৫ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ২ জন নারীও রয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে এসব অভিবাসীদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৫৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিক। বাকিরা হলেন- ইন্দোনেশিয়া ৭ জন, ভারতের ৫ জন ও নেপালের নাগরিক একজন।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক তাহা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শনিবার ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে ৫৯৮ জন অভিবাসীদের আটক করা হয়। অভিবাসন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় মেরুর পুরো বাজার এলাকা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং লোকজন এদিকে-ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। অনেকে টেবিলের নিচে, ড্রেনে কিংবা গোপন স্থানে লুকিয়ে ছিল। তবে তাদের বেশিরভাগকে খুঁজে বের করে আটক করতে অভিবাসন বিভাগ সামর্থ্য হয়।
আটকদের অনেকেই ইউএন কার্ডধারী বলে দাবি করলেও তার বৈধতা পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেন তিনি।
আটকের পর শাহরিয়াল জিমিন (৪০) নামে এক অভিবাসী বলেন, ‘ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে আমি পালাতে গিয়ে আহত হয়েছি। আসলে বৈধ কাগজ না থাকায় আমি পালাতে চেয়েছিলাম।’ ২০০৪ সালে মালয়েশিয়ায় আসেন শাহরিয়াল। তবে ২০০৬ সালে অভিবাসন বিভাগ আটক করে তাকে দেশে পাঠায়। এরপর ২০২২ সালে তিনি আবারও মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন। তবে ২ বছর ধরে তার বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানান তিনি।
আরেক ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক মেরি মানু (৩৫) জানান, মাছ কিনতে এই বাজারে এসে আটক হয়েছেন তিনি। তবে তার কাছে ইউএন কার্ড আছে যদিও তার মেয়াদ গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় এসেছেন তিনি, এরপর থেকে পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন।
অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আটকদের সিমিনি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।