ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ১৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কয়েক দফা হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার ঘটনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠিত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে জাবি উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছররা গুলিবর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালীকে সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন ও আইন) মো. মাহতাব-উজ-জাহিদকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন।
অফিস আদেশে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি ছাত্রীর ওপর হামলায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
ক্লাস শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও ছাত্রীকে রক্তাক্তের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গঠিত কমিটিকে আগামী ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ সমাপ্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামকে আহবয়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির অপর সদস্য হলেন আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. হামিদা খাতুন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অদ্য ৮ অক্টোবর তারিখে অর্থনীতি, ব্যবস্থপনা ও মার্কেটিং বিভাগের চার জন শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল চারটার বাসে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের মোরসালিন মুন এবং অজ্ঞাত নামা কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। সে সময় সাদের বান্ধুবি আনিকা আশরাফি বাধা দিলে সাদের মাথায় প্রচন্ডভাবে জখম এবং আনিকার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এসময় তার মাস্ক খুলে নিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী ফলো করা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকাল ৪টার বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আশিক ইকবাল সাদ ও আনিকা আশরাফির উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী ও মার্কেটিং বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মোরসালিন মুন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী।
এমআই/সাকিব
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ঘটনার তদন্তপূর্বক আগামী ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপাচার্য বরাবর জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তদন্ত কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ এবং সদস্য সচিব হিসেবে সহকারী প্রক্টর ড. মোহাঃ খাইরুল ইসলাম রয়েছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হচ্ছেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ওহাব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ০৭ অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ১টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে প্রক্টোরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে উপাচার্য নিম্নোক্তভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির অর্থে সবুর খানের স্ত্রী-কন্যার নামে শেয়ার ক্রয়
বিগত সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির ঘনিষ্ঠতায় কোন জবাবদিহি ছাড়া সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির মাত্রা অতিক্রম করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) পরিচালক ও সাবেক সভাপতি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যকে অবৈধভাবে বাদ দিয়ে ইউজিসি থেকে দ্রুততম সময়ে রেজুলেশন বের করে দায়িত্ব ছিনিয়ে নেন প্রথম জীবনে কম্পিউটারের পার্টস বিক্রি করা এই সবুর খান। এরপর থেকেই তিনি শুরু করেন দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় দুর্নীতি। পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে স্বজনদের বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের অর্থ ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিকে অনিয়মের আখড়া বানিয়েছেন সবুর খান। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টিউশন ফির অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় না করা, সরকারি জমি দখল, কর ফাঁকি, বিদেশে অর্থপাচার করে বাড়ি-ব্যবসা সবকিছুই করতে নানান কৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের বিষয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সবুর খানের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করে নিজের এবং স্ত্রী-কন্যার ব্যক্তিগত নামে একটি ওষুধ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন সবুর খান। এই তিনজনের নামে এরই মধ্যে নভো হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ফার্মা লিমিটেডের ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে। যার মোট মূল্য ১৯ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর এই অর্থের পুরোটাই দেওয়া হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাব থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও ব্যবহারিক শিক্ষার সুবিধার জন্য একটি ওষুধ কোম্পানির শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেন সবুর খান। নভো হেলথ কেয়ারের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায়ও এ বিষয়টি সামনে আনা হয়েছিল। তবে শেয়ার হস্তান্তরের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে সবুর খান, তার স্ত্রী সাহানা খান এবং মেয়ে সামিহা খানের নামে সব কাগজপত্র তৈরি করেন। চুক্তিপত্রে দেখা যায়, ওষুধ কোম্পানিটির মোট ৮ লাখ ৬৮ হাজার শেয়ারের মধ্যে ৪ লাখের মালিক এখন সবুর খান, যা মোট শেয়ারের ৪৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। তার স্ত্রী সাহানা খান এবং মেয়ে সামিহা খানের নামে কেনা হয়েছে ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ শেয়ার। এই দুজন এখন কোম্পানিটির ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ করে মোট ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ারের অধিকারী। সব মিলিয়ে কোম্পানিটির ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক এখন এই পরিবার।
জানা গেছে, প্রথম জীবনে কম্পিউটারের পার্টস বিক্রির ব্যবসা করা এই সবুর খান বিএনপি সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও তৎকালীন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বদৌলতে তার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ১/১১ এর পটপরিবর্তনের সময় বিএনপির সাথে সে সমস্ত সম্পর্ক ছিণ্ণ করার ঘোষণা দেয় এবং ইউজিসির তৎকালীন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পাশ করা রেজুলেশনে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য বিএনপির নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বিদেশে চলে যাওয়ায়, এই সুযোগকে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে অবৈধভাবে তাকে বাদ দিয়ে ইউজিসি থেকে দ্রুততম সময়ে পুণরায় রেজুলেশন বের করেন মো. সবুর খান।
বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনার জন্য রয়েছে ১১ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড। এর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা মো. সবুর খান। পাশাপাশি তার স্ত্রী সাহানা খান ভাইস চেয়ারম্যান, কন্যা সামিহা খান, মা রওশন আরা বেগম এবং শ্যালক মো. ইমরান হোসেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে, এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হবে অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ট্রাস্ট আইন অনুসারেও ট্রাস্টের কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা নিতে পারবেন না। এদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। যেখান থেকে তারা মাসে বেতন-ভাতা নেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় সম্মানীর নামে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। যদিও আইন অনুযায়ী তাদের এসব সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো এটিকে দাতব্য প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর অধিনে প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে হবে। এছাড়াও সিন্ডিকেট, একাডেমিকসহ আরো বেশ কিছু কমিটি থাকবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই অলাভজনক এবং দাতব্য মডেলে পরিচালনা করতে হবে। এসব শর্ত থাকা স্বত্তেও সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র নিজের আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সবুর খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। একইসঙ্গে তার মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হাবিব কাজলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও ব্যবহারিক শিক্ষার সুবিধার জন্য বোর্ড ট্রাস্টির কাছে একটা ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবনার প্ররিপ্রেক্ষিতে ট্রাস্ট্রি বোর্ড ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের একটি সংবাদের সূত্র ধরে ট্রাস্টি বোর্ড হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। বিচারপতি মমতাজউদ্দিনসহ তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ গত জুন মাসের ২৭ তারিখে রায় দেয়। রায় অনুযায়ী, ওষুধ কোম্পানি টাকাটা ফেরত দেবে। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ট্রাস্ট্রি বোর্ডের কোন সম্পর্ক থাকবে না।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সবুর খানের শ্যালক-দুলাভাইসহ আত্মীয়-স্বজন নিয়োগ দিয়ে একক রাজত্ব্য কায়েম করেছেন। আত্মীয়করণের এই প্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের হাতে পড়ে বিনষ্ট হচ্ছে একটি সম্ভাবনাময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশে আইটি শিক্ষার প্রসারে সরকারের অগ্রাধিকার থাকলেও এমন কিছু অযোগ্য মালিক ও কর্তৃপক্ষের হাতে পড়ে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার মানে নিম্নগামী হচ্ছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তির ধুয়া তুলে উৎসাহী তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে নিয়ে নিচ্ছে কাড়িকাড়ি টাকা।
এদিকে স্ক্যামের মহাযজ্ঞকে বাস্তবায়ণ করতে সবুর খান আরো প্রতিষ্ঠা করেন ড্যাফোডিল পরিবার। গ্রুপ অব কোম্পানির আদলে এই ড্যাফোডিল পরিবারে রয়েছে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ডিসিএল, ওভাল ফার্নিচার, ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল, সবুজ প্রিন্টার্স, ডিওএল, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, স্কিল জবস, গ্রিন গার্ডেন, ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কসহ অনেক প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোক্ষেত্রেই উন্মুক্ত টেন্ডার আহ্বান করা হয় না। মূলত এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ফলস টেন্ডার সাবমিশনের মাধ্যমে কাজ পায় ড্যাফোডিল পরিবারেরই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বাজারমূল্যের থেকে বেশি দামে পণ্য কিংবা সেবা দেখিয়ে সরানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে জমা পড়া শিক্ষার্থীদের টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
টেন মিনিট স্কুলে চাকরির সুযোগ
টেন মিনিট স্কুল (১০ মিনিট স্কুল) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইউএক্স কনসালটেন্ট পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: টেন মিনিট স্কুল
চাকরির ধরন: বেসরকারি চাকরি
প্রকাশের তারিখ: ৭ অক্টোবর ২০২৪
পদ ও লোকবল: একটি ও একজন
আবেদন করার মাধ্যম: অনলাইন
আবেদন শুরুর তারিখ: ৭ অক্টোবর ২০২৪
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://10minuteschool.com/
প্রতিষ্ঠানের নাম: টেন মিনিট স্কুল (১০ মিনিট স্কুল)
পদের নাম: ইউএক্স কনসালটেন্ট
পদসংখ্যা: একটি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশন, ইন্টারঅ্যাকশন ডিজাইন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
অন্যান্য যোগ্যতা: ইউএক্স ডিজাইন, কর্মশালার পরামর্শ, স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট এবং ক্রস-ফাংশনাল সহযোগিতায় দক্ষতা।
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৮ বছর
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
কর্মস্থল: ঢাকা (ডিওএইচএস মহাখালী)
বেতন: ৮০,০০০ থেকে ১,০০০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: টি/এ, মোবাইল বিল, দুপুরের খাবার সুবিধা (আংশিক ভর্তুকি), মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটি, পিটিও।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুলের পদত্যাগ দাবি
শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ। সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা দফা এক দাবী এক, হাফিজের পদত্যাগ; হাফিজের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; স্বৈরাচারের দোসর, হাফিজ হাফিজ; হাফিজকে হটাও, ডিএস বাঁচাও; হাফিজের ঠিকানা, ডিএস এ হবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থী লামিয়া বলেন, স্যার ক্লাসে এসে কী বা কী বলে অপমান করবে সেই ভয়ে কাটাতে হয়েছে। আমি কি ড্রেস পড়লাম, কোথায় গেলাম, কার সাথে ঘুরলাম, কোন বাসে ঢাকা গেলাম সেসব কৈফিয়ত দিতে হয় আমাকে। আমাকে সবার সামনে বলছে যে আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাবে। যে স্যারের গুণগান গায় সে ইন্টার্নাল মার্কে পায় ২৭, আমি পাই ১৭। আমি বৃষ্টিতে ভিজে চা খাইলে সে বলে আমি নাকি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছি৷ সে একজন শিক্ষক হয়ে সে সবার সামনে মেয়েদের গালি দেয়। আমি হাফিজের পদত্যাগ চাই, সে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
অপর শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান বলেন, বাপ মা তুলে গালি দেওয়া স্যারের আগের অভ্যাস। যারা নাচ করি তাদের নর্তকী, বাকিদের বাজারের মেয়ে এগুলো বলেছে। আমাদের সামনে আমাদের ফ্রেন্ডদের বলেছে এসব কাস্টমমার ধরার ধান্দা৷ আমি আবার বন্ধুর সাথে কোথায় বসব না বসব, সেসব নিয়ে সে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনিয়েছেন। সে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ১০০ পেজের এসাইনমেন্ট করিয়েছে অথচ জমা নেয়নি। তার জঘন্য অপমানের ভাষা বলে শেষ হবে না।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ তুলেছে সেগুলো সত্য হলে অবশ্যই প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু যেকোন বিষয়ের একটা পদ্ধতি আছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি তাদের একটি প্রতিনিধি দল যেয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলতে। তারা চাইলে প্রশাসন অবশ্যই তাদের কথা শুনবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ আমরা শুনেছি, এবিষয়ে খুব দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমআই