জাতীয়
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
একাদাশ জাতীয় সংসদে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
এম এ মান্নান কর্মজীবনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, এনজিও ব্যুারোর মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৫ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৮ সালের একাদশ সংসদে শেখ হাসিনা সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনিও অন্যান্য নেতাদের মতো আত্মগোপনে চলে যান। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন অবৈধ: আজাদ খান
ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন নেওয়া শুধু অনৈতিক নয়, অবৈধ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, আমি নিজে একজন ডাক্তার। ডাক্তারদের কমিশন নেওয়া খালি অনৈতিক না বরং অবৈধও। এটা কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে। কাজেই আমাদের রিপোর্টে ওরকম পিনপয়েন্ট না থাকলেও বিষয়টি থাকবে।’
সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, আমরা অংশীজনদের থেকে জানতে চেয়েছি সাধারণ মানুষের বিশেষ করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে ফেলে কিংবা প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কি কি ধরনের সমস্যা আছে মানুষের চিকিৎসার পেছনে অতিরিক্ত ব্যয় কীভাবে কমানো যায় সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের দক্ষ চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে কিন্তু আমাদের আরেকটু সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এবং রোগীকে চিকিৎসার বিষয়ে কিংবা ফলোআপের বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারলে বাইরে রোগী যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
সভায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার চেয়েছেন অংশীজনেরা। একইসাথে মানহীন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিকিৎসাখাতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নানা সংকট নিয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এ ছাড়া সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন খ্যাতনামা চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি মেডিকেলসংশ্লিষ্ট কর্মী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাদের পেশাগত জীবনের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেন। তুলে ধরেন নানা বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার চিত্র। তবে সভায় ছিলেন না রোগীদের কোনো প্রতিনিধি। এনিয়েও ক্ষোভ জানান বক্তারা।
বক্তারা দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করতে হলে বাজেটে চিকিৎসাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ মেডিকেল এডুকেশনের ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, উমাইর আফিফ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিদেশে পলাতক ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিদেশের বন্দরে অবস্থানের সময় জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৯ বাংলাদেশি নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নৌ আদালত। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ জন নাবিকের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। এসব নাবিক ১৩টি জাহাজ থেকে পালিয়ে যান। জাহাজগুলো বিদেশের বিভিন্ন বন্দরে অবস্থানকালে তারা বন্দর ত্যাগ করে আর জাহাজে ফেরেননি।
যে নাবিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন— মো. সোহানুর রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোস্তফা কামাল, ইসকান্দার মিজি, মো. সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান, মো. আব্দুল কুদ্দুস, আমিনুল ইসলাম, ওপি হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শেখ আলম, মো. মেহেদী হাসান, মো. আল আমিন, মো. ইমাম হোসেন, এনামুল হক, মো. ইমরুল হোসেন এবং মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
এদের মধ্যে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের পাঁচজন করে এবং ফেনীর দুজন রয়েছেন। এ ছাড়া সাতটি জেলার সাতজন নাবিক রয়েছেন। এ নাবিকেরা গত তিন বছরে বিদেশে পালিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এতে ৮৫৮ জন নিহত এবং ১১ হাজার ৫৫১ জন আহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সেলের দলনেতা অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহীদ বা আহত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ৬৪ জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট (musc.portal.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই অথবা সংশোধন বা চূড়ান্ত করতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ওয়ারিশ অথবা প্রতিনিধিদেরকে মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারও কোনও মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন বা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসঙ্গত কোনও তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ইমেইলে (muspecialcell36@gmail.com) অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টঙ্গীতে ব্রিজ ভেঙে ট্রাক নদীতে, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে তুরাগ নদীতে ট্রাক পড়ে যায়। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন ও যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ইব্রাহিম খান বলেন, ঘটনাটি সড়ক ও জনপথকে জানানো হয়েছে। তারা এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এদিকে বিকল্প পথে চলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ট্রাফিক আপডেট জানিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ওই ট্রাফিক আপডেটে বলা হয়েছে, সম্মানিত যাত্রীবৃন্দ, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহমুখী টঙ্গীস্থ বেইলি ব্রিজটি আজ ভোরে ভেঙে গেছে। এ পথে চলাচলকারী সকল যাত্রী ও যানবাহনকে টঙ্গী ব্রিজ এড়িয়ে কামারপাড়া মুন্নুগেট বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মো. লিয়াকত আকবর জানান, টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি ফ্লাইওভার ও নিচ দিয়ে দুই লেনে দুইটি ব্রিজ রয়েছে। দুইটি ব্রিজের মধ্যে ময়মনসিংহগামী ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। পাথর বোঝাই ট্রাকটি ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভার নিয়ে ওঠায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম শরিফুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সড়কের নৈরাজ্যে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত: উপদেষ্টা নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে যে নৈরাজ্য চলছে, তার সঙ্গে একটি পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) প্রভাব জড়িত।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রমনায় বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। আগে এক দল ছিল, এখন অন্য দল করছে।
তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সঙ্গে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। তাই খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত, তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের উন্নয়ন জনবান্ধন ছিল না বলেই মানুষ সুবিধা পায়নি। ভবিষ্যতে জনবান্ধন উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে পলিসি ডেভেলপ করা হবে।
পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পুরাতন বাস রাখা হবে না। সময় দেওয়া আছে, এর মধ্যে ব্যবস্থা নেন।
তিনি আরও বলেন, সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে স্থায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উচ্ছেদ করে দেওয়া নয়, পরিকল্পিত সমাধান করার চিন্তা করা প্রয়োজন।
কাফি