জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন

‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগ এ খসড়াটি উপস্থাপন করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চালানোর ফলে পুরো দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা উত্তাল গণবিক্ষোভ করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন।’
‘রাষ্ট্রপতি গত ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সচল রাখা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চান।’
‘সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে দেওয়া উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট মতামত প্রদান করেছেন যে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্যপরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি এভাবে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করাতে পারবেন’ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডকট্রিন অব নেসেসিটি অনুসারে সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পরম অভিপ্রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে, গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্যপরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতি ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।’
গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জাতীয়
টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: সৈয়দা রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বিনিয়োগ শুধুমাত্র কোনো একটি দেশের লক্ষ্য নয়-এটি হতে হবে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি।
তিনি বলেন, টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ-উভয়ের প্রতিই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। আর এই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদনির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ করে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামো টিকবে না।
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত ‘অ্যামচ্যাম ডায়লগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টেক্সটাইল খাতে এখনো কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে যা রপ্তানিমুখী না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য এটি বিপজ্জনক। এজন্য বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “ভূগর্ভস্থ পানিকে আর বিনামূল্যে নেওয়া যাবে না—এর যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। একবার শিল্পকারখানাগুলো মূল্য পরিশোধ করলে, তারা পানির ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে।”
জ্বালানি বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি শুধু নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বরং বাস্তবায়নের সূচনা।”
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার হলেও এর দায় আমাদের নয়। তাই বৈশ্বিকভাবে একটি ন্যায্য টেকসই কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।”
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়ে তিনি বলেন, “সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।”
তিনি বলেন, “টেকসই বিনিয়োগের দায় শুধু উৎপাদকের নয়—ক্রেতা ও উৎপাদক উভয়েরই। এই বিনিয়োগের ব্যয় যৌথভাবে বহন করলে, লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই. কুকসন এবং চেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও অ্যামচ্যাম সহ-সভাপতি এরিক এম. ওয়াকার।
অনুষ্ঠানে রিকাভার, চেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিস-এর প্রতিনিধিরা পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
কাফি
জাতীয়
চলে গেলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান

দেশের বরেণ্য ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান আর নেই। আজ রোববার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী ভাস্কর আইভি জামান, দুই পুত্র এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হামিদুজ্জামান খানের ঘনিষ্ঠ শিল্পী মনিরুজ্জামান জানান, তাঁকে গত ১৫ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তিন দিন আগে তাঁকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ সকালে চিকিৎসকেরা তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন।
বেলা আড়াইটায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দাফনের সিদ্ধান্ত প্রবাসী ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।
হামিদুজ্জামান খান ১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার সহশ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ওই অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং অধ্যাপক হিসেবে ২০১২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
ভাস্কর্যই ছিল তাঁর প্রধান শিল্পমাধ্যম। পাশাপাশি জলরঙে তিনি নিপুণতা ও খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অধিকাংশ ভাস্কর্যের নির্মাতা তিনি। ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে তিনি জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে অংশ নেন, যা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘জাগ্রত বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে ‘ইউনিটি’, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘ফ্রিডম’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, সরকারি কর্মকমিশনে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’, এবং মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’।
তিনি ধাতু, কাঠ, সিরামিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিরীক্ষাধর্মী কাজ করে গেছেন। ধাতব মাধ্যমে পাখির ভাস্কর্য নির্মাণেও তিনি মনোযোগী ছিলেন। টিএসসি চত্বরে ‘শান্তির পায়রা’ তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য এক ধাতব ভাস্কর্য।
জলরঙে তাঁর নিসর্গ, মুখাবয়ব এবং বিমূর্তধর্মী কাজসমূহ বিদগ্ধ মহলে প্রশংসিত হয়েছে। দেশ-বিদেশে তাঁর অর্ধশতাধিক একক ও যৌথ প্রদর্শনী হয়েছে। ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন এবং বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
জাতীয়
আগামী ৩ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে।
রোববার (২০ জুলাই) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ জানান, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সনদ প্রস্তুত করতে কাজ করছে কমিশন। অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চকক্ষের বিষয়ে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে। আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান নিয়ে আলোচনা হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতসহ চারটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। সেগুলোর সঙ্গে কমিশনের প্রস্তাবসহ আলোচনা করা হবে।
জাতীয়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, তা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ঘটনা যে ঘটেছে সেটি তো আমি অস্বীকার করছি না। এটাতো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে তো অনেক কিছু অনেক সময়…আগে যখন আমরাও (রাজনীতি) করেছি, তখন ইউনিভার্সিটিতে তো কত ধরনের ঘটনা হয়েছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কেনা সেটি হচ্ছে আমাদের কথা, আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কেনা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না, যারা দোষী তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জেলায় আস্তে আস্তে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয়
সৎ, পেশাদার অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা

সৎ, নীতিবান, পেশাদার, নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থাকা অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২০ জুলাই) সকালে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রয়োজনে ত্যাগের জন্য সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে বাহিনীটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন।