ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে মিটিং করেছি। জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় অংশ নেওয়া সব সদস্যদের সম্মতিক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি, সবাই ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।
এদিকে, ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত। নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টির অগ্রযাত্রা শুরু হোক আজ থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সরকারি চাকরির আবেদন ফি পুনর্নির্ধারণ
নন-ক্যাডার এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের পদে নিয়োগে পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করা করা হয়েছে।
আজ সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আছিয়া খাতুন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বিসিএস ব্যতীত নন-ক্যাডার পদ এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন করপোরেশনের বিভিন্ন গ্রেডভুক্ত পদের নিয়োগ ‘পরীক্ষা ফি’ শর্ত সাপেক্ষে নিম্নরূপভাবে নির্দেশক্রমে পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, ৯ম গ্রেড বা তদুর্ধ (নন-ক্যাডার) পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেড ২০০, ১১তম এবং ১২তম গ্রেড ১৫০, ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেড ১০০, ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেড ৫০ এবং অনগ্রসর নাগরিকদের সকল গ্রেডে চাকরির আবেদন ফি ৫০ টাকা পুননির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্তারোপ করা হয়েছে। এগুলো হলো:
১. টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমেও অনলাইনে আবেদন ও ‘পরীক্ষা ফি’ গ্রহণ করা যাবে এবং সেক্ষেত্রে ‘পরীক্ষা ফি’ বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে প্রদান করা যাবে এবং কমিশন হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসাবে আদায় করা যাবে। ২. টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক ‘পরীক্ষা ফি’ বাবদ অর্থ গ্রহণের পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা প্রদানের পর উক্ত প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করবে, তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উক্ত অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।
৩. অনলাইন আবেদন গ্রহণ না করা হলে ‘পরীক্ষা ফি’ বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারে এ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে। ৪. ‘পরীক্ষা ফি’ বাবদ আদায়কৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড ১৪২২৩২৬ এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে।
এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) ‘পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে ‘১- প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অংক বিশিষ্ট)- পরিচালনা কোড (চার অংক বিশিষ্ট)-অর্থনৈতিক কোড (২০৩১)’এ জমা করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু আজ
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ৫০ টাকা।
গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখে পিএসসি।
গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়। শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো আবেদনের বয়সসীমা থাকছে ৩২ বছর। তবে অনিবার্য কারণে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
৪৭তম বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি শিক্ষার্থীদের প্রবেশসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত শুধু শীতকালীন ছুটির জন্য কার্যকর
চলমান আলোচিত কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রভোস্ট কাউন্সিলের ১৪০তম সভায় শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা সংক্রান্ত ঘোষিত নির্দেশনা শুধু শীতকালীন ছুটিতে কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম জাকির হোসেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতির সঙ্গে ইবি ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন তিনি।
এসময় কাউন্সিলের সভাপতি বলেন, হলে বহিরাগত প্রবেশ করে থাকে, এসব রোধে আমরা সাধারণ কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটা পরিবার হিসেবে বিবেচনা করি। শীতকালীন ছুটিতে নিরাপত্তা জোরদার স্বার্থে এই প্রবেশসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে স্পেসিফিক ভাবে শীতকালীন শব্দটা না আসায় শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে।
এসময় প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। যার মধ্যে হলগুলোতে নতুন করে কোনো সিন্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মতামত নেয়া, হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা ও মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট চালু করা রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রত্যেক আবাসিক হলে বিশেষ করে ছাত্রীদের হলে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা এবং নারী মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ও জরুরি ওষুধের সরবরাহ রাখার জোর দাবি জানিয়েছি। স্যার আশ্বস্ত করেছেন যে সময়সীমাটা ছুটিকালীন সময়ের জন্য নির্ধারণ করেছে। অন্যান্য দাবিসমূহ শীতকালীন ছুটির পর কাউন্সিল মিটিং এ আলোচনা করবেন।
ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সংগঠনটির ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নারীদের আবাসিক হল অভ্যন্তীণ সীমানায় অবাধ চলাফেরা করার সুবিধার্থে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান চার দিন নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এসেছেন। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা আরবি বিভাগের একই বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, খালিদ গত শুক্রবার নিখোঁজ হন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, খালেদের খোঁজে আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিলাম। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই, তিনি হলে ফিরেছেন। সঙ্গে সঙ্গে হলে গিয়ে তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি খুব ক্লান্ত ও দুর্বল ছিলেন। তিনি কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। এ জন্য আমরা তখন কেউ তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না জানতে চাইলে ওই সহপাঠী বলেন, হলে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। তবে সেরকম কোনো চিহ্ন পাইনি।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢোকেন এবং এর কিছুক্ষণ পর একাই কাউন্টার থেকে বের হন। এরপর আবার তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে কোনো ফোন ছিল না। তার ব্যবহৃত ফোনটি হলেই ছিল। ওইদিন কমলাপুর কাউন্টার থেকে তিনি টিকিটও কাটেননি।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ওই সহ-সমন্বয়ককে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে কেবিনে ভর্তি রাখেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খালেদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তারা খালেদের বাবার সঙ্গে কথা বলেন।
পরে উপাচার্য ডিউটি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। ডাক্তার জানান, খালেদের শারীরিক অবস্থা মোটামোটি ভালো, তবে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না।
এরপর উপাচার্য জ্যেষ্ঠ ডাক্তার দিয়ে খালেদের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন এবং তার চিকিৎসায় যেন কোন ধরনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত না হয়, সে বিষয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কর্মঘণ্টা বাড়তে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মঘণ্টা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন পরামর্শক কমিটি’। তারা সরকারকে এ বিষয়ে সুপারিশ করবে। সরকার তা বাস্তবায়ন করলে কর্মঘণ্টা বাড়তে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে প্রধান করে করা এই কমিটির কাজ শেষের দিকে।
জানা গেছে, শুধু কর্মঘণ্টা নয়, শিক্ষক সংকট নিরসন, শিক্ষকদের যথার্থ প্রশিক্ষণ, বেতনবৈষম্য দূর করাসহ নানা বিষয় নিয়ে কমিটি কাজ করছে। কমিটির সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার অসঙ্গতি দূর করা।
‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন পরামর্শক কমিটি’র সদস্যরা জানান, দেশের ৮০ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই শিফটে চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিখন ঘণ্টাও পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক কম। কর্মঘণ্টা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করবেন তারা। যদিও প্রাথমিকের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা আরো কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
পরামর্শক কমিটির প্রধান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীর শেখার ক্ষেত্রে যে বিরাট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, সেটি কিভাবে পূরণ করা যায়, তা আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা ও শেখার ঘাটতি সমন্বিতভাবে উন্নতিতে কমিটি কাজ করছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা দাবদাওয়া আছে। অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা সমস্যাও রয়েছে। আমরা হয়তো সুপারিশ করব। সেখান থেকে কতটুকু বাস্তবায়ন করা হবে, সেটা সরকার জানে। সুপারিশে আমাদের কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষাও থাকবে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়ে কমিটির মতামত হলো বিপিএড প্রশিক্ষণ খুব বেশি কাজে আসছে না। সেখানে শিক্ষকরা শুধু মেশিনের মতো ক্লাস করছেন। খুব বেশি মাথায় নিতে পারছেন না। শিক্ষক প্রশিক্ষণের ‘মডেল টিচিং-লার্নিং’ মানা হচ্ছে না। ফলে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কাজে আসছে না। প্রশিক্ষণের টিচিং প্রক্রিয়া আরো উন্নত করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা যাতে দায়বদ্ধতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেজন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও শর্ত তৈরি করা দরকার, আমরা সেই সুপারিশ করব। ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানুয়ারিতে হয়তো আমরা সরকারকে এ সুপারিশ দিতে পারব।