অর্থনীতি
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কর কমিশনার বরখাস্ত

করদাতা থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আয়কর কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি চট্রগ্রাম আপীলাত ট্রাইবুন্যাল, দ্বৈত বেঞ্চ এ কর্মরত আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর নিজ কার্যালয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এসএম

অর্থনীতি
বীমা দাবি পরিশোধ নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত, বাতিলের দাবিতে আইডিআরএ’কে বিটিএমএ’র চিঠি

গত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ‘পপুলার রেসিং’ বা গণঅভ্যুত্থান হওয়ায় স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্কস (আইএআর) পলিসির আওতায় আরঅ্যান্ডএসডি কভারেজ থাকা সত্ত্বেও কোনো বীমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আয়োজিত সভায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন বিশেষ করে দেশের উল্লেখযোগ্য কোন বাণিজ্য সংগঠন তথাপি বস্ত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট কোন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমনকি দাবি নিষ্পত্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বীমাগ্রহীতাদের কোনো প্রতিনিধিকেই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তটি একতরফা এবং দেশের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থবিরোধী জানিয়ে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। গত ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বীমা দাবির বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের দাবি জানিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। চিঠিতে গৃহীত একতরফা, ত্রুটিপূর্ণ এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তটি বাতিল করে বীমা আইন,২০১০ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সূত্র মতে, সরকার পতন আন্দোলনের চুড়ান্ত ও পরবর্তী পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ও বাণিজ্যিক অঞ্চলে কিছু দুষ্কৃতিকারী ও উশৃঙ্খল শ্রমিক মিলে বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালায় যাতে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো একটি বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হয়। অথচ ঐ সমস্ত শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আন্দোলনকারী জনতার আক্রোশের শিকার বা আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু ছিল না বা হতে পারে না। কিছু দুষ্কৃতিকারী অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগে ঐ সমস্ত শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহে লুটতরাজের হীন উদ্দ্যেশ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
সূত্র জানায়, শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বেশীরভাগই বিভিন্ন প্রকারের বীমা আবরণসহ বীমাকৃত থাকে, কিন্তু গত ৩ মার্চ সকাল ১০ ঘটিকায় দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বীমাকারী প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে দেশের সকল বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী/প্রতিনিধি ও জরীপকারী প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র জরীপকারী/প্রতিনিধিদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উত্থাপিত বীমা দাবী বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উত্থাপিত বীমা দাবী বিষয়ে বিভিন্ন বীমাকারী বা জরীপকারী প্রতিনিধিগণ বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ এবং ব্যাখ্যা প্রদান করেন। শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এধরণের হামলা ও ক্ষতি সংঘটনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বিষয়ে বক্তাগণ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিস্থাপন ও ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের একটি সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। কিন্তু সভায় সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পক্ষ হতে বিদেশী পুনঃবীমাকারীদের বিষয় উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উত্থাপিত বীমা দাবীকে পপুলার রেসিং, সিভিল কমটিও এন্ড টেররিসম জনিত ক্ষতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে বক্তব্য প্রদান করা হয় এবং ক্ষতি অগ্নিবীমা এবং আইএআর পলিসিতে আবরিত নয় বলে অভিমত প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকগণ চরম এক হতাশায় ভুগছেন, কারণ এত বিশাল অংকের ক্ষতি বীমা দাবী বা অন্য কোনভাবে নিষ্পত্তি করা না হলে তাহাদের পক্ষে শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বা চালু করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের বিপরীতে যে ব্যাংক ঋণ রয়েছে তাও যথাযথভাবে নিষ্পত্তি বা পুনঃতপশীলিকরণ করা অসম্ভব হয়ে দাড়াবে এবং ঋণ খেলাপীর পরিমান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে একটি গণ-আন্দোলন সংঘটিত হয় ফলে ৫ই আগস্ট তৎকালীন সরকারের পতন হয় । আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে বিশেষভাবে রাজধানী শহর ও জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে জনতা অবস্থান গ্রহণ করে। এ প্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ দেশব্যাপী সংঘটিত অনাকাঙিক্ষত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে জানতে পেরেছি এবিষয়ে গত ৩ মার্চ জেনারেল ম্যানেজার, পুনঃবীমা, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উক্ত ঘটনাসমূহ ‘পপুলার রেসিং’ বা গণঅভ্যুত্থান হওয়ায় স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্কস (আইএআর) পলিসির আওতায় আরঅ্যান্ডএসডি কভারেজ থাকা সত্তেও কোনো বীমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না ।
চিঠিতে এই সিদ্ধান্তটি একতরফা এবং দেশের শিল্প ও অর্থনীতির স্বার্থবিরোধী জানিয়ে যুক্তিসমূহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য আবেদন জানানো হয়। তাদের যুক্তিগুলো- অংশীজনদের অংশগ্রহণ ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ ন্যায়নীতির লঙ্ঘন: বীমা চুক্তির দুটি প্রধান পক্ষ হলো বীমাকারী এবং বীমাগ্রহীতা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হাজার হাজার কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বীমাগ্রহীতাদের কোনো প্রতিনিধিকেই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এটি স্বাভাবিক ন্যায়নীতি এবং আইনের মৌলিক নীতি ‘Audi Alteram Partem’ (অপর পক্ষের বক্তব্য শোনা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন । এটি একটি গুরুতর পদ্ধতিগত ক্রটি, যা পুরো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা পূর্বক দুর্বল করে দিয়েছে ।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ স্পষ্টভাবে বলছে, আইন ব্যতীত বা আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি করা যাবে না। অর্থাৎ, একটি বৈধ অধিকার (যেমন, বীমা দাবির অর্থপ্রাপ্তি) কোনো পক্ষকে না শুনেই বাতিল করে দেওয়া হলে তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ এর পরিপন্থী। কারণ, বীমা দাবির অর্থপ্রাপ্তি চুক্তিভিত্তিক একটি বৈধ অধিকার। একে একতরফাভাবে, কোনো শুনানি ছাড়া অস্বীকার করা হলে তা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া—এর পরিপন্থী, যা অনুচ্ছেদ ৩১–এর সুরক্ষা লঙ্ঘন করে ।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় এই নীতি ঘোষণা করেছে: আব্দুল লতিফ মির্জা বনাম বাংলাদেশ সরকার [৩১ ডিএলআর (এডি) ৩৩] মামলায় আদালত বলেন: প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিগুলো সহজাতভাবে সর্বজনীন এবং দেশের আইনের একটি অংশ। মাহিনুদ্দিন বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় [৪৫ ডিএলআর ২৯২] মামলায় বলা হয়েছে: কোনও ব্যক্তিকে শুনানি ছাড়াই দোষী সাব্যস্ত করা হবে না, এই নীতিমালা ‘অডি অল্টেরাম পার্টেম’ বিচারিক এবং প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, বিশেষ করে যেখানে গৃহীত কার্যক্রম বিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর ব্যক্তি বা সম্পত্তি বা অন্যান্য অধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে।
সকল ঘটনাকে ঢালাওভাবে ‘গণঅভ্যুত্থান’ চিহ্নিতকরণ: ঘটনার সরলীকরণ এবং আন্তর্জাতিক নজিরের অবমাননা সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে পরবর্তী সকল ঘটনাকে সামগ্রিকভাবে ‘পপুলার রেসিং’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সময়ের মধ্যে সংঘটিত প্রতিটি সহিংস ঘটনা এক প্রকৃতির ছিল না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্যমান অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতা, ডাকাতি, লুটতরাজ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো দাঙ্গা, নাগরিক বিশৃঙ্খলা বা বিদ্বেষমূলক ক্ষতির সংজ্ঞার আওতায় পড়ে, যা আরঅ্যান্ডএসডি কভারেজের মূল ভিত্তি। তাই প্রতিটি দাবি বীমা আইন ২০১০ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা আবশ্যক ।
চিঠিতে বলা হয়, বিচারিক নজির থেকে স্পষ্ট যে—সব ঘটনাকে ঢালাওভাবে ‘পপুলার রেসিং’ আখ্যা দিয়ে দাবি বাতিল করা সঠিক ও আইনসিদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক উদাহরণ এবং পুনর্বীমাকারীদের সাথে আলোচনার প্রয়োজনীয়তাঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতির ক্ষেত্রে বীমা দাবি নিষ্পত্তির বহু উদাহরণ রয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দাঙ্গা (২০১০) বা লন্ডনের দাঙ্গা (২০১১) এর ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে । ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্থানীয় বীমা কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক পুনর্বীমাকারীদের সাথে সফল আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করেছিল। আমরা মনে করি, বিদেশি পুনর্বীমাকারীদের উপর সমস্ত দায় চাপিয়ে না দিয়ে, তাদের সাথে দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক নজির তুলে ধরে কার্যকর আলোচনার সুযোগ এখনো রয়েছে এবং সেই উদ্যোগ আপনাদেরই নিতে হবে ।
আন্তর্জাতিকভাবে, এরূপ অস্থিরতা কারনে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্য: দাঙ্গা ক্ষতিপূরণ আইন ২০১৬ অনুযায়ী, দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে এবং বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র: মিনেসোটা রাজ্য ২০২০ সালের দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্গঠনের জন্য প্রায় $৪৫ মিলিয়ন তহবিল অনুমোদন করেছে। এই ধরনের আন্তর্জাতিক উদাহরণ অনুসরণ পূর্বক, বাংলাদেশেও একটি জাতীয় ক্ষতিপূরণ তহবিল বা সমন্বিত ফান্ড গঠন করা যেতে পারে, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তাত্ক্ষণিক আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করবে ।
তাদের মতে, বীমার মূল উদ্দেশ্যই হলো বিপদের দিনে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে অর্থনীতিকে সচল রাখা । যদি দেশের এক ক্রান্তিকালে আইন ও পলিসির কঠোর, সংকীর্ণ এবং ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সকল দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়, তবে তা কেবল ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেউলিয়া করবে না, বরং সমগ্র বীমা শিল্পের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট করবে। এর ফলে বীমা গ্রহণে অনীহা তৈরি হবে যা এই শিল্পের জন্য আত্মঘাতী। তাই বিষয়গুলো বিবেচনাপূর্বক গৃহীত একতরফা, ত্রুটিপূর্ণ এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তটি বাতিল করে বীমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এসএম
অর্থনীতি
একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৪৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ২২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ৬৭০ কোটি ০৯ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্ব করেন।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৭টি, সংশোধিত প্রকল্প ৫টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ১টি প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; অর্থ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.); পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম; শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার: শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্প হলো–
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘তথ্য আপা: তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প- ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর গবেষণাগার সমূহের সক্ষমতা বাড়ানোসহ আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প- (১) ২০০০ হর্স পাওয়ার রিগ ক্রয় প্রকল্প এবং (২) ৪টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর-৫, ৭ এবং ভোলা নর্থ-৩, ৪) এবং ১টি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ-ইস্ট -১) খনন (৩)”নেসকো এলাকায় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার মর্ডানাইজেশন প্রকল্প।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প- এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (EC4J) (৩য় সংশোধন) প্রকল্প।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প- উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) প্রকল্প।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প- (১) শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল (১ম সংশোধিত সমাপ্তিকরণের উদ্দেশ্যে) প্রস্তাবিত ‘যমুনা স্পেশালাইজড জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল মিল (১ম সংশোধিত)।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ০৩ টি- (১) খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেজ-২) এবং (২)নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়া ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস অ্যান্ড লাইভহুড ফর ডিসপ্লেস পিপল ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্প।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) ঢাকার মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি
প্রথম চালানে ভারতে গেলো সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথম চালানে সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৮টি ট্রাকে এসব ইলিশ ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতের কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানের ইলিশ আমদানি করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল।
অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে ৬টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে ৩৭ টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও লাকী ট্রেডিং।
জানা গেছে, ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে মোট ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে এ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন, ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে ৭৫০ টন, ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ৩৬০ টন এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ টন করে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার আগেই পদ্মার ইলিশের পৌঁছে যাচ্ছে ভারতে।
জানা যায়,গত বছর ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রপ্তানি হয় এক হাজার ৩০৬ দশমিক ৮১৩ মেট্রিক টন ইলিশ। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া রপ্তানি আদেশের ৪৪ ভাগ। অনেক প্রতিষ্ঠান মাছ না পেয়ে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবারও মাছ সংকট ও অতিরিক্ত মূল্যের কারণে সব মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হবে না বলে জানান মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নূরুল আমিন বিশ্বাস।
কাফি
অর্থনীতি
খেলাপি ঋণ ১০ বছরের জন্য পুনঃতপশিলের সুযোগ

বিশেষ বিবেচনায় আরও খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিল, পুনর্গঠন করতে পারবে ব্যাংকগুলো। মাত্র দুই শতাংশ ডাউন-পেমেন্টের বিপরীতে ১০ বছরের জন্য খেলাপি ঋণ নিয়মিত করা যাবে। দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড এবং সংশ্লিষ্ট খাতের সর্বনিম্ন সুদহারের চেয়েও এক শতাংশ কম সুদ নির্ধারণ করা যাবে। ব্যাংকগুলোই এসব সুবিধিা দিতে পারবে। কোনো কারণে প্রয়োজন হলে ৩০০ কোটি টাকার বেশি ঋণে নীতি সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাছাই কমিটিতে আবেদন করা যাবে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিগত সরকারের সময়ে বিশেষ বিবেচনায় ঋণ পুনঃতপশিল, পুনর্গঠনসহ নানা সুবিধা দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হতো। সরকার পতনের পর তা হুহু করে বাড়ছে। এরই মধ্যে খেলাপি ঋণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এরকম অবস্থায় গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি কমিটি গঠন করে বিশেষ বিবেচনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের সুযোগ দিচ্ছিল। এখন তা ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দেওয়া হলো।
আজকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন বিরূপ মানে শ্রেণীকৃত ঋণে পরিমাণ বিবেচনায় ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পুনঃতপশিল করা যাবে। এ জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংক থেকে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। নীতি সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট চেক বা অন্য কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে দিলে তা নগদায়নের পর হতে ৬ মাস গণনা করতে হবে। ডাউন পেমেন্টের অর্থ ব্যাংকের অনুকূলে নগদায়নের আগে নীতি সহায়তার আবেদন কার্যকর করা যাবে না। ইতোপূর্বে তিন বা তার বেশি পুনঃতপশিল করা ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ ডাউন-পেমেন্ট আদায় করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নীতি সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নিতে হবে না। তবে এ বিষয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ হতে অনুমোদন নিতে হবে। একাধিক ব্যাংক হতে ঋণের বিপরীতে নীতি সহায়তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বা সকলের সম্মতিতে নীতি সহায়তার উদ্যোগ ও সভার আয়োজন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। ৩০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ স্থিতির ঋণগ্রহীতাকে নীতি সহায়তার বিষয়ে ব্যাংক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না হলে আন্তঃব্যাংক সভার কার্যবিবরণী বা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ‘ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থাদি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত নীতি সহায়তা সংক্রান্ত বাছাই কমিটি’ বরাবর আবেদন পাঠাতে হবে।
বিশেষ সুবিধা দেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সাধারণ প্রভিশন রাখতে হবে। বিশেষ সুবিধা পাওয়া ঋণ এসএমএ মানে শ্রেণীকরণ করে সাধারণ প্রভিশন রাখতে হবে। প্রকৃত আদায় ছাড়া ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। তবে সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য স্থানান্তর করা যাবে। এ ধরনের সুবিধা দেওয়া ঋণে নতুন সুবিধা দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে অতীত লেনদেনসহ সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে। আর ২০২২ সালে শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানির জন্য বাকিতে খোলা এলসির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অপ্রত্যাশিত বিনিময় হারজনিত ক্ষতির মোট পরিমাণ গতবছর জারি করা সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী হিসাবায়ন করতে হবে। কোনো গ্রাহক চাইলে পুনর্গঠন বা এককালীন এক্সিট সুবিধা নিতে পারবে।
জাল-জালিয়াতি বা অন্য কোন ধরনের প্রতারণা বা অনিয়মের মাধ্যমে সৃষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে এ সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধা দেওয়া যাবে না। ব্যাংক থেকে চূড়ান্তভাবে ঘোষিত ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা এ সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধাদি পাবে না। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতার ক্ষতির পরিমাণ এবং প্রতিষ্ঠানের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে পুনঃতপসিল, পুনর্গঠন বা এক্সিটের মেয়াদকাল নির্ধারণ করতে হবে। মেয়াদকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপিত স্মারকে এবং সভার কার্যবিবরণীতে সুস্পষ্ট কারণ সুনির্দিষ্টভাবে লিখতে হবে। সুবিধা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ব্যাংক ও গ্রাহক সোলেনামার মাধ্যমে চলমান মামলার স্থগিতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পরবর্তীতে কোনো গ্রাহকের দেওয়া সুবিধার কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে তার অনুকূলে প্রদত্ত সকল সুবিধা বাতিল বলে হবে এবং ব্যাংক ঋণ আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অর্থনীতি
এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের বদলি ও পদায়ন করা হয়।
এর মধ্যে এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন শাখা-৩ এর দ্বিতীয় সচিব তানভীর আহম্মেদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে ৪৫৯ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় সচিবের সই করা অপর এক প্রজ্ঞাপনে আরও ৯৬ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়নের কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এসব আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ১৮২ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করে এনবিআর। গেল কয়েক মাস ধরেই এনবিআরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলি করা হচ্ছে।
এনবিআর বিলুপ্তির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন দফতরে বেশ কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক রদবদল চলছে।