জাতীয়
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা, জড়িতদের শাস্তি চায় শায়খ আহমাদুল্লাহ

যেকোনো মূল্যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা থামাতে হবে। একটা সুস্থ ও স্থিতিশীল সমাজের জন্য এটা অতীব জরুরি বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘চোর সন্দেহে’ তোফাজ্জল হোসেন নামের মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেন, চুরি করলেও যেখানে হত্যা করা যায় না, সেখানে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হলো মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে। আমরা দেশের নানা জায়গার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরদ্ধে কথা বলি। সেই জঘন্য ঘটনা এবার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কথিত শিক্ষার্থীরা ঘটাল। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
‘এই অরাজকতার সাথে জড়িতদের পরিচয় যেটাই হোক, তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।’ বলে উল্লেখ করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে দুজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে এই দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন হল ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের জালাল আহমেদ এবং মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ সুমন।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেন, ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে।

জাতীয়
বাংলাদেশ আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো কিছু হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠকে বসব। বাংলাদেশের আশা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আয়োজিত এ বৈঠকে ভালো কিছু হবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে এ আশার বাণী শুনান।
৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক হার নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেও এসব দেশের জন্য আলোচনার দরজাও খোলা রেখেছেন তিনি। আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা বলা হলেও এ নিয়ে দর-কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেন। এর আগে ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠির পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির জন্য একটি নতুন নথি পাঠিয়েছে। এই নথিগুলিতে কী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বেশ বড় একটি নথি, এবং আমি এখনও এটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার সুযোগ পাইনি। আমাদের পড়ে দেখতে হবে তারা কী চাইছে এবং চুক্তি হলে তারা কতটা পর্যালোচনা করতে ইচ্ছুক।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আলোচনা চলমান। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।
কাফি
জাতীয়
বিগত তিন নির্বাচনকে ‘বৈধ’ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না: সিইসি

বিগত তিন নির্বাচনকে বৈধ বলে ‘রায়’ দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি জানতে চেয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার। আমরা আমাদের প্রস্তুতির তথ্য জানিয়েছি। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা যে কাজ শুরু করব এসব বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ওনারা চান আমরা যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করি।
তিনি বলেন, এআইয়ের (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) মিসইউজ নিয়ে কথা হয়েছে। তারা এসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাজেশন দেবে। এছাড়া কানাডা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্টের কথা শুনে সন্তুষ্ট। কানাডা আমাদের সহযোগিতা করবে। ব্যালট প্রকল্পে বা অন্যভাবেও সহযোগিতা করতে পারে।
নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন। ইইউসহ অনেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে। তবে বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক ‘ভালো’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাদের আমরা নেবো না।
কাফি
জাতীয়
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক-চুক্তিতে আগ্রহী ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক-চুক্তি করতে আগ্রহী, যা দুই দেশের জন্যই একটি উইন-উইন (উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক) সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ফেসবুকে তার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে এ কথা জানান তিনি।
জানা গেছে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠিতে এ কথা বলা হয় বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন এবং তিনি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধিদলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠি পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে বলা হয়েছে যে, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এরই মধ্যে আমেরিকান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে। আগামী ৯ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত আলোচনায়ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দীন।
জাতীয়
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৭৬ হাজার ৭৬৮ হাজি

পবিত্র হজ পালন শেষে ৭৬ হাজার ৭৬৮ জন বাংলাদেশি হাজি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিসের এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইটে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৯৯৩ জন হাজি। চলতি বছর হাজিদের পরিবহনে তিনটি বিমান সংস্থা যুক্ত ছিল— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।
সৌদি আরব থেকে ফেরত আসা হাজিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৩৪ হাজার ৮ জন হাজি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৬ হাজার ৬৮৩ জন হাজি, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১০ হাজার ৩৮৮ জন হাজি, অন্যান্য এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৫ হাজার ৬৮৯ জন হাজি।
এ পর্যন্ত ২০০টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৯৮টি ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৭৪টি ফ্লাইট ও ফ্লাইনাস পরিচালনা করেছে ২৮টি ফ্লাইট।
চলতি বছর হজ পালনে গিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী।
উল্লেখ্য, এবার হজযাত্রা শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে যায় ৩১ মে। এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
জাতীয়
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিভ্রান্তিকর ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে রণাঙ্গনের কোনো বিস্তৃত বর্ণনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা নেই, কেবলমাত্র একটি পরিবারের ছবি-সরঞ্জাম দিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তিনি বলেন, ‘কোটি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে গেলেও তারা তেমন কোনো গবেষণা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধাভোগী শ্রেণি হিসেবে গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সম্পত্তি, সুযোগ-সুবিধা ও অর্থকে দলীয়করণ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি অবকাঠামোতে বসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছে। অরক্ষিত সম্পত্তি যেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় রয়েছে; এগুলো মূল্যবান সম্পদ। এই সম্পত্তিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় এবং ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়টি নিরূপণের জন্য অতিদ্রুত একজন পরামর্শক নিয়োগ এবং পরবর্তী একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ কী কী হবে, তাদের আওতাধীন সম্পত্তিগুলোতে কী কী এন্টারপ্রাইজ হতে পারে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই ট্রাস্টকে আবার জীবন্ত করতে হবে। আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সকল প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস উঠে আসে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সকলকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত/বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি