খেলাধুলা
সাকিবদের মাঠের লড়াইয়ে ধারাভাষ্যে সঙ্গী তামিম
চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন তামিম ইকবালও। তবে বাইশগজের লড়াইয়ে নয়, আতহার আলী খান, হার্শা ভোগলে ও দিনেশ কার্তিকদের সঙ্গে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।
গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অতিথি ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছিলেন। এবার ভারত সিরিজ দিয়ে পুরোদমে ধারাভাষ্যকারের কাজটা শুরু করলেন টাইগার এই ওপেনার। গোটা সিরিজেই আতহার আলী খানের সঙ্গে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় তামিমকেও দেখা যাবে।
চেন্নাইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে ভারত। বাংলাদেশের দারুণ শুরুতে প্রেসবক্সে শুরুটাও রঙিন হয়েছে তামিম ইকবালেরও।
চেন্নাইয়ে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং নেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর কাছ থেকে সাহসী সিদ্ধান্তই ছিল। কথায় আছে, ভাগ্য সবসময় সাহসীর সঙ্গেই থাকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হয়নি। নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেছে টাইগাররা। প্রথম সেশনেই ভারতের ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।
প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত ২৩ ওভার খেলা হয়েছে। যেখানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান করেছে ভারত। ৩৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন যশস্বী জয়সাওয়াল ও ৩৩ রানে অপরাজিত ঋষভ পান্ত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অবশেষে মুখ খুললেন সাকিব, করলেন দুঃখ প্রকাশ
অবশেষে মুখ খুললেন সাকিব আল হাসান। ছাত্রদের আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। বিশ্ব ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান এক উজ্জল নক্ষত্র। দেশের ক্রিকেটে বড় অবদান আছে তার। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে অবশ্য বিদায় জানিয়েছেন গত বিশ্বকাপে। সবশেষ ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন তিনি। সেখানেই টেস্ট থেকেও বিদায় নেয়ার কথা জানান তিনি।
সাকিব আল হাসানের ইচ্ছা, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে দেশের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তিনি। তবে ছাত্র আন্দোলন পোশাক শ্রমিক রুবেলকে হত্যার অভিযোগে তার নামে করা হয় মামলা। যে কারণে তিনি দেশে আসতে পারবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। যদি শেষ পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরতে না পারেন, তাহলে ভারতে খেলা সেই টেস্টই হবে সাকিবের শেষ টেস্ট।
বুধবার (৯ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন সাকিব আল হাসান। সেখানে তিনি ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাকিবের স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।
‘আসসালামু আলাইকুম, আমার দেশের প্রতিটি মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা। আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা আমাকে আজকের এই সাকিব আল হাসান হিসেবে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত করেছে। শুরুতেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সকল আত্মত্যাগকারী ছাত্রদের, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার অন্তরের অন্তর্স্থল থেকে শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা। যদিও স্বজন হারা একটি পরিবারের ত্যাগকে কোন কিছুর বিনিময়ে পূরণ করা সম্ভব না। সন্তান হারানো কিংবা ভাই হারানোর বেদনা কোন কিছুতেই পূরণযোগ্য নয়।’
‘এই সংকটকালীন সময়টাতে আমার সরব উপস্থিতি না থাকায় আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন বা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গাটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের জায়গায় আমি থাকলে হয়তো এভাবে মনঃক্ষুণ্ন হতাম। আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোন দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন। আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে। যাইহোক, দিনশেষে আমার পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটার। আমি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থেকেছি অন্তর থেকে ক্রিকেটাকেই ধারণ করেছি।’
‘এই ক্রিকেটকে ধারণ করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সম্মান অর্জন করার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আপনারা । আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমাকে আজকের সাকিব আল হাসান বানিয়েছে। আমি যখন দেশের জন্য ক্রিকেটের মাঠে ব্যাট ধরেছি তখন আমার সাথে ব্যাট ধরেছেন আপনারা সবাই। গ্যালারি থেকে আপনাদের চিৎকার, আপনাদের সমর্থন আমাকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ক্রিকেট ম্যাচের দিন চায়ের দোকানে টেলিভিশনের সামনে উপচেপড়া ভিড় -আমাকে শক্তি যুগিয়েছে।’
‘আমি জিতলে, আপনারা সবাই জিতেছেন। আমি হেরে গেলে, হেরে গেছেন আপনারা সবাই! আপনারা জানেন, খুব শীঘ্রই আমি আমার শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজকের সাকিব আল হাসান হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই পুরো জার্নিটাকে ড্রাইভ করেছেন আপনারা। ক্রিকেটের এই গোটা গল্পটা আপনাদের হাতেই লেখা! তাই আমার শেষ ম্যাচে, এই গল্পের শেষ অধ্যায়ে, আমি আপনাদেরকে পাশে চাই। আমি আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে বিদায় নিতে চাই। বিদায়বেলায়, সেই মানুষগুলোর হাতে হাত রাখতে চাই, যাদের হাতের তালি আমাকে ভালো খেলতে বাধ্য করেছে। বিদায়বেলায় সেই মানুষগুলোর চোখে চোখ রাখতে চাই, আমার ভালো খেলায় যাদের চোখ আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। আবার আমার খারাপ খেলায় যাদের চোখ ছলছল করেছে। আমি আশা করি, শুধু আশা না বিশ্বাস করি, এই বিদায় বেলায় আপনারা সবাই আমার সাথে থাকবেন। সবাই সাথে থেকে সেই গল্পের ইতি টানবেন, যে গল্পের নায়ক আমি নই, আপনারা!’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। নতুনদের সুযোগ দিতে এখনই সরে যাওয়ার সেরা সময় বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটকে অবসর বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সিরিজ শেষে আমি টি-২০ থেকে অবসর নেব। এই সফরে আসার আগেই আমি এটা ঠিক করে রেখেছিলাম। আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এই সংস্করণ থেকে সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দিতে চাই। পরের টি-২০ বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি আমার জন্য এটা কঠিন।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। এর আগে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। ওই সিরিজে কামব্যাক করে ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলেই অবসরের ঘোষণা দেন। এছাড়া টি-২০ ও ওয়ানডে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে। কামব্যাক করে ভারতে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন।
বাংলাদেশ আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে। ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া ওই আসরে খেলতে চান রিয়াদ। এরপর বিদায় বলে দিতে পারেন ওয়ানডে থেকেও। তিনি জাতীয় দলের হয়ে ৫০ টেস্টে ২৯১৪ রান করেছেন। ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৩৯ টি-২০ ম্যাচ খেলে ২৩৯৫ রান ও ৪০ উইকেট নিয়েছেন।
রিয়াদ জানিয়েছেন, তার টি-০২ ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশার মুহূর্ত ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হার এবং ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়। ওই জয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। রিয়াদ ১৮ বলে ৪৩ রান করেছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
দেশের মাটিতেই অবসর নিবেন সাকিব!
ভারতে সিরিজ চলাকালেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ঘরের মাটিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা। তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে তার দেশে ফেরা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখে দিয়েছে।
দেশে ফিরতে এবং পুনরায় দেশ ছাড়তে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন সাকিব। টাইগার এই অলরাউন্ডারের দেশে ফিরে অবসর নেওয়া ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন ইতিবাচক কথা। আজ সোমবার মিরপুরে মিটিং শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় সাকিবের দেশে ফিরে অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘হ্যাঁ, সাকিবের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, সাকিবের ভালো সম্ভাবনা আছে দেশে এসে অবসর নেওয়ার।’
এরপর সাকিবের নিরাপত্তার ইস্যুতে ফারুক বললেন, ‘লিগ্যালটা তো আমি বলতে পারবো না। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে, আমি তো ছোট মানুষ, বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আমার হাতে ক্ষমতা খুব কম। সাকিবের ব্যাপারটা পুরোপুরি সরকার থেকে আসতে হবে।’
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, উপদেষ্টা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সামগ্রিক দায়িত্ব নেওয়ার। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা, স্টেডিয়ামের ভেতর ও ইনডোরে যাবে, মাঠে খেলবে, অনুশীলন করতে যাবে; এই দায়িত্ব নেওয়াটা তো খুব সহজ। এটা আমরা নিতে পারবো।’-যোগ করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবের ঘরের মাঠে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ২১ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে দুই টেস্টের প্রথমটি খেলবে বাংলাদেশ। ওই টেস্ট খেলে অবসর নিতে চান তিনি। তবে সাকিবের দেশে ফেরার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। তিনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে দেশে ফিরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে দল সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সাকিব দেশে ফিরলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনিও চান ঘরের মাঠেই বিদায় বলার সুযোগ পান বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে সাকিবের। তিনি দেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান, আমি চাই সেই সুযোগ তিনি পান। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা তার যে নিরাপত্তার কথা বলেছি, সেটা নিশ্চিত করব।’
এর আগে আসিফ বলেছিলেন, ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। এছাড়া সাকিবের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করার কথাও বলেন তিনি।
কানপুরে টেস্ট খেলতে নামার আগেরদিন অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে সাকিব জানান, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তার দেশে ফিরতে কোন বাধা নেই। তবে দেশ থেকে ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ আছে। তিনি দেশে গিয়ে যখন দরকার তখন ফেরার ব্যাপারে সরকারের থেকে আশ্বাস চান। সাকিবের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। দেশে ফিরতে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এমন কথা বলেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিয়ে করলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান
সন্দেহাতীতভাবে আফগানিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান। সম্ভবত দেশটির সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলরও হয়ে উঠেছিলেন রশিদ। কারণ, ২৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনার কবে বিয়ে করবেন, এ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ছিল প্রবল আগ্রহ ও কৌতূহল। অবশেষে সেসবের ইতি ঘটল।
বিয়ে করেছেন আফগানিস্তানের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান। তা–ও একা নন; একসঙ্গে বিয়ে করেছেন তাঁর তিন ভাইও। গতকাল দেশটির রাজধানী কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে রশিদ ও তাঁর তিন ভাই আমির খলিল, জাকিউল্লাহ ও রাজা খান শুভ কাজ সারেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রশিদের সতীর্থ মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নজিবউল্লাহ জাদরান, রহমত শাহ, ফজলহক ফারুকি, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ আশরাফ, বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নসিব খানসহ আরও অনেকে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশতুন রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছেন রশিদ ও তাঁর তিন ভাই। তবে তাঁদের স্ত্রীদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। রশিদের বিয়ে উপলক্ষে হোটেলের ভেতরে ও বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। একটি ভিডিওতে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। ছিল ব্যাপক খানাপিনার আয়োজন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে রশিদ ও তাঁর ভাইদের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তিনি লিখেছেন, ‘তোমাদের বিয়েতে অনেক অনেক অভিনন্দন। তোমাদের জীবন ভালো ও সমৃদ্ধ হোক।’
কদিন আগেই বিয়ে করেছেন ওমরজাই। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এবার রশিদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বিয়ে করার জন্য জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন রশিদ খানকে অভিনন্দন। আল্লাহর রহমতে তার সুখী জীবন কামনা করছি।’
২০২০ সালে রশিদ নাকি জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত বিয়ে করবেন না। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে রশিদ দাবি করেন, তিনি এ ধরনের কথা কোথায় বলেছেন, তা জানা নেই।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তারকা এই লেগ স্পিনার বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি এটা অনেকবারই শুনেছি, আমি নাকি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিয়ে করব। জানি না কোথায় এটা বলেছি। আমার কাছে এটার কোনো ভয়েস ক্লিপ নেই। তবে এটা সত্যি যে এ নিয়ে সমর্থকদের অনেক বার্তা পাই। আমি একবার মিডিয়ায় বলেছিলাম, আগামী দুই বছর বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। তারপর বিয়ের ব্যাপারে ভাবব। মানুষ এটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে।’
এমআই