পুঁজিবাজার
ওয়ালটন উদ্যোক্তাদের ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির দুই উদ্যোক্তা পৃথকভাবে ২ কোটি ১১ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন- উদ্যোক্তা পরিচালক এস.এম আশরাফুল আলম ও এস.এম নুরুল আলম রিজভী।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, উদ্যোক্তা পরিচালক এস. এম আশরাফুল আলম মোট ১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার শেয়ার উপহার হিসেবে হস্তান্তর করবেন। তার ছেলে শাহরিয়ার ইসলাম শুভ এবং মেয়ে ফারিহা ইসলাম প্রভাকে সমপরিমাণ ৬০ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার উপহার দিবেন তিনি।
আরেক ঘোষণায় উদ্যোক্তা পরিচালক এস.এম নুরুল আলম রিজভী ৯০ লাখ শেয়ার উপহার হিসেবে হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আলোচ্য শেয়ার তার কন্যা রিফাহ তাসনিম স্বর্ণাকে উপহার হিসেবে প্রদান করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করবেন তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আজ থেকে টানা ৪ দিন বন্ধ ব্যাংক-পুঁজিবাজার
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে আজ সব তফসিলি ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যাংক খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে।
এদিকে সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রবিবার (১৩ অক্টোবর) পূজার ছুটি। আর ১১ ও ১২ অক্টোবর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ তালিকায় বৃহস্পতিবার যুক্ত হওয়ায় দুর্গাপূজায় মোট চারদিন ছুটি মিলেছে। ফলে আগামী রবিবার (১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
চারদিন বন্ধ থাকার পর আগামী সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে আগের নিয়মে লেনদেন চালু হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএসইসিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনী থাকার তথ্যটি সঠিক নয়
বিনিয়োগকারীদের টানা আন্দোলনের কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
মতবিনিময়ের সূত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘বিএসইসিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনী’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। তবে এমন সংবাদ সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, গত ৭ ও ৮ অক্টোবর অনলাইন ও অফলাইন বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় বিএসইসিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা সঠিক নয়। সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এমতাবস্থায়, সংবাদটির সংশোধনী প্রকাশ-প্রচার করার জন্য অনুরোধ জনিয়েছে আইএসপিআর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে হঠাৎ নিয়ম পরিবর্তনে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়: ডিএসই চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারের নিয়ম-কানুনগুলো হঠাৎ পরিবর্তন করার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের সাধারন বিনিয়োগকারীদের গবেষণা করার সুযোগ না থাকায় তারা বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারীদের গবেষনা বৃদ্ধি করতে হবে। যা বাজার উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের স্থিতিস্থাপকতার মূল বিষয়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম এবং সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ছামিউল ইসলাম।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অনেক গবেষণার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে থাকেন। আর তাদের গবেষণা মূলত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। কিন্তু আর্থিক প্রতিবেদনগুলোতে অনেক সময় সঠিক তথ্য উপস্থাপিত হয় না। তাই আর্থিক প্রতিদেবনের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও এ বাজার বিনিয়োগে তেমন আগ্রহী হচ্ছে না। এজন্য অডিটর, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের নিয়ম-কানুনগুলো হঠাৎ পরিবর্তন করার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া মন্দ কোম্পানিগুলোকে শাস্তির পাশাপাশি ভালো কোম্পানিগুলোকেও তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। যার যা কাজ তা সঠিকভাবে পালন করে পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আমি সব সময় ভালোকে ভালো এবং খারাপকে খারাপ বলি। তাই আমি ফ্লোর প্রাইস আরোপের সময় ফ্লোর প্রাইস নিয়ে কথা বলেছি। ফ্লোর প্রাইস থাকলে শেয়ারের প্রাইস কীভাবে নির্ধারিত হবে। এছাড়াও ডিএসইকে আরও ক্ষমতায়ন করতে হবে এবং তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বিশেষ করে আইপিওর ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ভাল মানের শেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এজন্য সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসতে হবে। এর ফলে বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগের জন্য ভাল শেয়ার পাবেন। সরকারি কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারীগণ উপকৃত হবেন এবং সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অর্থ পাবে। এজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাবলিক ইন্টারেস্টের চেয়ে বড় কিছু নেই। সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসি কিছু গ্রুপের সাথে আলোচনা করেছে। ভাল কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনার জন্য কিছু আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। তা না হলে পারিবারিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসবে না।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের পূর্বে বিভিন্ন ঝুঁকিসমূহ বিবেচনা করে থাকেন। এর মধ্যে প্রধান হলো রাজনৈতিক ঝুঁকি ও নতুন করে অন্তভুর্ক্ত হয়েছে পরিবেশ, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন (ইএসজি) ঝুঁকি। কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি বেশ কিছু ব্লুচিপ কোম্পানি থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে। পরে আমরা জানতে পেরেছি সেসব বিনিয়োগকারী ইএসজি চার্টারে স্বাক্ষর করেছে। তাই ইএসজি বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। ইনভেস্টমেন্ট রেজিলেন্সের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের তথ্যের উপর এক্সেস নিশ্চিত করতে হবে। আর বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে হবে। এছাড়াও আমাদের গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রাইমারি রেগুলেটর হিসেবে ক্ষমতায়ন করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য ডিএসইর ক্ষমতায়ন জরুরি। আইপিও এর গুণগতমান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ডিএসইর মতামতকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও বিনিয়োগকারীকে ঋণ দেয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বাজার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমাদের বিবেচনা করে ঋণ দেয় আবশ্যক। তিনি সরকারি কোম্পানিগুলোকে দ্রুত তালিকাভুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষা এবং সচেতনতার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এবারের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় পুঁজিবাজারেও ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। যদিও আমাদের পুঁজিবাজার একটি দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মধ্য দিয়ে এসেছে। আমরা এর কাঙ্ক্ষিত কাঠামো তথা উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারিনি। এখন সময় এসেছে যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের জন্য একটি আধুনিক এবং সময়োপযোগী আইনগত কাঠামো তৈরি করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। আমরা যার যার জায়গা থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিত করতে চাই। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার একটি অন্যতম পূর্বশর্ত হলো সংস্কারের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ কাঠামো তৈরি করা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজিএম সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ। তিনি বলেন, এই সপ্তাহটি হলো বিনিয়োগকারীদের শিক্ষা ও সুরক্ষা প্রচার এবং ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা বৃদ্ধির জন্য একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। আমরা আমাদের বাজারে স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করি। আমরা সুশাসন ও জবাবদিহিতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো অধিক শক্তিশালীর করার জন্য কাজ করছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ভালো কোম্পানি আনতে হবে: আইসিবি চেয়ারম্যান
দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, দেশকে, পুঁজিবাজারকে এবং বিনিয়োগকারীদের কিছু দিতে হলে, ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে হবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের স্থিতিস্থাপকতার মূল বিষয়গুলি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাইব্রিড সিস্টেমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং ডিবিএর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম এবং সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান।
আইসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ডিএসইর সময় হয়েছে হারানো লিডারশিপ ফিরে পাওয়ার। আপনারা শক্ত হোন। পাশের দেশ ভারতের পুঁজিবাজার থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে কেন? আপনারা আওয়াজ তুলুন। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টার কাছে আপনাদের প্রস্তাবনা নিয়ে যান।
আইসিবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইসিবির মতো একটা রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে আমাকে দেয়া হয়েছে। এখানে আমার প্রতিদিন চা খাওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। কারণ আইসিবির কিছুই নেই। আমি এগুলো এখনি বলে রাখছি কারণ পরে আপনারা আমার থেকে জানতে চাইবেন আইসিবির চেয়ারপার্সন হিসেবে আমার অর্জন কী।
আবু আহমেদ বলেন, বিগত বছরে আইসিবির অবস্থান এতই খারাপ, যে শেয়ার তারা ৮০ টাকায় কিনেছে সেই শেয়ার আমি ১০ টাকায়ও কিনতাম না।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সব খাতেই বড় বড় কিছু গ্যাপ রয়েছে। দেশকে, পুঁজিবাজারকে এবং বিনিয়োগকারীদের কিছু দিতে হলে, ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে হবে। বড় এবং ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে নেই। তাদেরকে জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বাজারে আসতে হবে। জনগণের স্বার্থই হলো সবথেকে বড়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজিএম সাত্বিক আহমেদ শাহ, ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ, বিআইবিএমের প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারাল রিজার্ভ ব্যংকিং সুপার্ভিশনের সাবেক সহকারী পরিচালক সাবেথ সিদ্দিক এবং ডিএসইর জিএম ও সিওও মো. সামিউল ইসলাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সঙ্গে বিএসইসির সভা
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিএসইসি ভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে বিএসইসির মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক, পরিচালকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিএসইসির কর্মকর্তাবৃন্দ পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক অবস্থা এবং বাজারের সংস্কারের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাথে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন দাবিসমূহ নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য তাদের সুপারিশ তুলে ধরেন।
সভায় বিনিয়োগকারীরা অন্যান্যের মধ্যে পুঁজিবাজারের জেড ক্যাটাগরি সংশ্লিষ্ট নিয়ম কানুনেরর সংস্কার এবং লভ্যাংশ না দেয়াসহ নন-কমপ্লায়েন্সের ফলে জেডে প্রেরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও তার কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, সশরীরে কোম্পানির এজিএম করার নিয়ম পুনর্বহাল করা, বাজারে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ আনয়ন ও বিনিয়োগকারী বান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করেন। এছাড়াও পুঁজিবাজারে কোম্পানির স্পন্সর বা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের নিয়ম যথাযথ পরিপালন নিশ্চিতকরণ, শেয়ার বাই ব্যাক আইনের বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মত আরো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও আনয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ, বাজারে সিএমএসএফ এর ফান্ড হতে বিনিয়োগ বা পুঁজির আনয়ন করার সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।
পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে পুঁজিবাজারে উন্নয়নে ইতিবাচক প্রচার এবং বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বিএসইসির ইতিবাচক বার্তা প্রদানের কথা বলেন।
পুঁজিবাজারের সার্বিক সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ, সম্পৃক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহসহ অন্যান্য সকল পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার, এজেন্সিসহ সকলের সাথে মত বিনিময় করবে বিএসইসি। সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও অংশগ্রহণ এবং অংশীজনদের সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে বিএসইসি কাজ করছে।
দেশের পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও কল্যাণে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করে বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শের আলোকে পুঁজিবাজারের গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কারের জন্য বিএসইসি কাজ করে যাচ্ছে।
এমআই