পুঁজিবাজার
স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে তদন্ত করবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের তদন্তের বিষয়ে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আমদাদুল হক, উপ-পরিচালক রফিকুন্নবী, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে এবং কমিশনের নির্দেশে তদন্ত কমিটি মোট ৯টি বিষয় পর্যালোচনা করবেন। চিঠিতে বিষয়গুলো উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিএসইসির তদন্ত কমিটি ‘অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অব বাংলাদেশ’-এ শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল বিনিয়োগ কার্যক্রম পর্যালোচনা করবেন। এসব বিনিয়োগ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে বিধিমালা, ২০১৫ এর বিনিয়োগের প্যারামিটার এবং গঠনমূলক নথিগুলির সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা তদন্ত করবেন তারা। এছাড়া ফান্ডের সব বিনিয়োগের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ এবং পরীক্ষা; ফান্ড ম্যানেজার ও ট্রাস্টির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিনিয়োগের বিপরীতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) খতিয়ে দেখা; ফান্ডের ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ; ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা মেয়াদি আমানত এবং অন্যান্য অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদ বা লাভের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ করবেন তারা।
পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ এবং অ-তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ থেকে ফান্ডের লভ্যাংশ বা মূলধন লাভের বৈধ প্রমাণ সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ; বিএসইসি বার্ষিক ফি, ম্যানেজমেন্ট ফি, ট্রাস্টি ফিসহ ফান্ডের অপারেটিং খরচ বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট তৈরি; ফান্ড ম্যানেজার এবং অন্যান্য পক্ষের সুবিধার জন্য ফান্ডের ব্যাংক হিসাব থেকে অবৈধ লেনদেনের প্রমাণ সংগ্রহ; ফান্ড পরিচালনায় ম্যানেজার ও ট্রাস্টির ভূমিকা বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বিষয় অনুসন্ধান করবেন বিএসইসির তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কর্মকর্তাদের এই আদেশ জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের আলোচিত ব্যক্তি চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী সরকারের আমলে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি বিএসইসির নিবন্ধন পেয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে চারটি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। এই চারটি ফান্ডের প্রাথমিক আকার ৩২৩ কোটি টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সূচক নিম্নমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১০২ কোটি টাকা
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২১৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ দশমিক ১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১৬৮ ও ১৯৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১০২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারদর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের এজিএমের সময় পরিবর্তন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিসিএস) বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোম্পানিটির এজিএম ২২ ডিসেম্বর বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকাল ১১টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে অনিবার্য কারণে কোম্পানিটির এজিএমের সময় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সায়হাম টেক্সটাইলের ক্যাটাগরি অবনতি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ক্যাটাগরির অবনতি হয়েছে। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশের উপর ভিত্তি করে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্যাটাগরিতে এই পরিবর্তন আনা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ফলে কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইসিবির লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ এরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালনা বোর্ডের অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দোষ: অর্থ উপদেষ্টা
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। নূন্যতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য যদি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।
ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।
অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা এরইমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।
কাফি