রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বুধবার
জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। আসুন জেনে নিই রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বুধবার বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাঁতারকুল, শাহজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
যমুনা ফিউচার পার্ক, নুরুনবী সুপার মার্কেট, পাবলিক ওয়ার্কস সেন্টার, ইউনিটি প্লাজা, ইউনাইটেড প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, মাসকট প্লাজা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
রাজধানীতে সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি
রাজধানী ঢাকাতে সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছে। বেশিরভাগ সড়কও ফাঁকা রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক রাস্তায় পানি জমেছে, দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এই বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৬টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার (১২ অক্টোবর) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রোববার (১৩ অক্টোবর) দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। একইসঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। খুব শিগগিরই সারা দেশ থেকে দক্ষিণপশ্চিমের মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে। এর আগ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ শনিবার
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটাসহ নানা কারণে রাজধানীবাসীকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মার্কেট-শপিংমলে যেতে হয়? কিন্তু গিয়ে যদি দেখেন, সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ, তখন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়; মনটাও খারাপ হয়। তাই কোথাও যাওয়ার আগে দেখে নিন শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর কোন কোন এলাকার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যে সব এলাকার দোকান
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চাঁনখারপুল, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, ধোলাইখাল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেন্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শাঁখারী বাজার।
বন্ধ থাকবে যে সব মার্কেট
ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট,গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, নয়াবাজার, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন ও আজিমপুর সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ছুটির দিনেও রাজধানীতে তীব্র যানজট
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য চার দিনের ছুটির প্রথম দিন হওয়া সত্ত্বেও সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মহাখালী, বনানী, গুলিস্তান, মতিঝিল এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করা যাত্রীদের এয়ারপোর্ট রোডে ভয়াবহ যানজটের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
যানজট সম্পর্কে জানতে চাইলে গুলশান ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার সায়েম নয়ন জানান, মানুষ দীর্ঘ ছুটির আগে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসও। সড়কে আরও বেশি যানবাহন এবং যাত্রীর উপস্থিতি এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
ছুটির জন্য বের হওয়া মানুষদের রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলো যেমন মতিঝিল, খিলগাঁও, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী এবং সায়েদাবাদে প্রবল যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া সরকারি কর্মকর্তা মামুন বলেন, আজিমপুর থেকে দেড় ঘণ্টা আগে সায়দাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। কিন্তু এখনো গুলিস্তান পার হতে পারিনি। সায়দাবাদ পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে তারও নিশ্চয়তা নেই।
বিকাল ৪টার দিকে সরজিমেনে দেখা যায়, রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকা তীব্র জ্যামে স্থবির হয়ে পড়েছে। তাতে ট্রাফিক পুলিশের সরব উপস্থিতি থাকলেও কোনভাবেই জ্যাম কাটছে না। আবার কিছু মোটর সাইকেল আরোহী জ্যামের তীব্রতায় ফুটপাতের ওপর মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরেকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েকজন পোশাক শ্রমিক দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় বেতন ও মজুরির দাবিতে সড়কে নেমে আসেন। পুলিশ তাদের নাম জানাতে পারেনি, তবে পরবর্তীতে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ সকাল থেকে তীব্র যানজটের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক কর্মকর্তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট
চারদিনের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যার ফলে সকাল থেকে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তির শেষ নেই। পাশাপাশি বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। বাকি অংশে তীব্র যানজট না থাকলেও যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রায়হান রাফী নামে এক যাত্রী বলেন, টানা চারদিনের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু যানজটের কারণে আনন্দটা মাটি হয়ে যাচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, একদিকে টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ। আরেক দিকে মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় খানাখন্দের কারণে যানবাহনগুলো যথাসময়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থান যেতে পারছে না। এর ফলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অক্টোবরেই চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের ট্রায়াল রান আগামী বৃহস্পতিবার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। চলতি অক্টোবরেই এ স্টেশন চালুর চেষ্টা করছে ডিএমটিসিএল।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মানুষের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো চালু করা, তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কাজীপাড়া সীমিত পরিসরে চালু করেছি। তা যাত্রীদের বেশ উপকারে আসছে। মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। আগামী ১০ অক্টোবর আমরা প্রস্তুতিমূলকভাবে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করব। তারপর তা উপদেষ্টার নজরে দেব। চেষ্টা আছে এই অক্টোবরেই এটি চালু করার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপরই দীর্ঘ সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ আগস্ট আবার চালু হয় মেট্রোরেল। তবে বন্ধ থাকে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন। এরও ২৬ দিন পর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়। তবে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জামগুলোর বেশিরভাগ বিকল্প হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহৃত দুই স্টেশন এবং মেট্রোরেল প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের জন্য বিজয় সরণি ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন থেকে কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এবং ডিএমটিসিএলের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকেও কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
এমআই