জাতীয়
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী
আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জেতিপ্রুর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা অর্পণ করা হল বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন প্রান্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো।
আরও বলা হয়, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ১৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৬, ১৩০, ১৫৩, ১৪২ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্পেনকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য স্পেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে সম্পদ লুটপাট হয়েছে, তাই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।’
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্টিয়াগা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, স্পেন নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগে কীভাবে সহায়তা করতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস স্পেনের এই প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ যেসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার করার চেষ্টা করছে, সেখানে আপনাদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাবো।
সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামোগত বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্পেন আমাদের অনেকভাবে সহায়তা করতে পারে। তারা এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আমাদের পোশাক পণ্যের আমদানি বাড়াতে পারে।’
এছাড়াও উন্নয়ন খাতে স্পেনের কিছু সহায়তা পেলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস জানান, প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি বর্তমানে স্পেনে কর্মরত রয়েছে। তিনি দেশটিকে প্রযুক্তি ও অপ্রযুক্তিগত উভয় খাতে আরও শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসকে স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্টিয়াগা।
২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই স্পেনে অনুষ্ঠেয় উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য স্পেনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে স্পেনের রানি সোফিয়াকে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে বলেন এবং বাংলাদেশে রানির বিভিন্ন সময়ে সফরে তার সঙ্গে যেসব স্মৃতি রয়েছে তা স্মরণ করেন। তিনি রানিকে আবারও বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণার্থে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে। সদস্য করা হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ফাহিম হাসানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে কেন্দ্রীয়ভাবে সহায়তা এবং পরিবীক্ষণ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রবিবার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে রবিবার বঙ্গভবনে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানাকে নিয়ে বঙ্গভবনের দরবার হলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কূটনীতিক, হিন্দু সম্প্রদায়ের সিনিয়র সাংবাদিকসহ প্রায় এক হাজার ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন শহীদ আবু সাঈদের বোন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বোন সুমি খাতুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাকে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট (স্থায়ী) পদের বিপরীতে সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কিছু শর্তের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সাঈদের বোন সুমি খাতুনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. শওকাত আলী। এ সময় আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার মেয়েকে চাকরি দেওয়ায় আজ আমি অনেক খুশি।
চাকরিতে যোগ দিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে সুমি খাতুন বলেন, আমার ভাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বড় চাকরির স্বপ্ন দেখেছিল তার ক্যাম্পাসেই আমি চাকরি হলো। এটা আমাদের পুরো পরিবারকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। চাকরিপ্রাপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্ত হত্যায় বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনে পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডকে ‘শূন্য পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিএসএফের এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এতে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অযাচিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য ১৯৭৫ সালের যৌথ নির্দেশিকার বিধান লঙ্ঘন করে।
এ ছাড়া এ ধরনের জঘণ্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ ও এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এমআই