পুঁজিবাজার
দুই ঘণ্টায় ২৯৬ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় হাতবদল হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। গত কার্যদিবসের একই সময়ে ২৯৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ১৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৫০ ও ২০৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ২৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৭টির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯ কোম্পানির শেয়ারদর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে দুই কোম্পানি
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৬টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর ১০ শতাংশ বেড়েছে। তাদের দরবৃদ্ধির তালিকায় যৌথভাবে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিদ্বয়।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- গোল্ডেন জুবিলি ফান্ড, ইসলামিক ফাইন্যান্স, বিডি থাই ফুড, বে লিজিং, সাইফ পাওয়ার, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু এবং সি পার্ল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে সোনালী আঁশ
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সোনালী আঁশের ২১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা লিন্ডে বিডির আজ ১৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে সি পার্ল।
মঙ্গলবার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- বিএটিবিসি, ওরিয়ন ইনফিউশন, এনআরবি ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, অগ্নি সিস্টেমস, বিচ হ্যাচারি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেড।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
৬৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের দিনেও সূচক কমলো ৩০ পয়েন্ট
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তাতে প্রধান সূচক কমেছে ৩০ পয়েন্ট। একইদিনে লেনদেন হয়েছে ৬৩৪ কোটি টাকা। তবে আগের সপ্তাহের শেষদিনে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও ৬৬৭ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩০ দশমিক ১৭ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে ১২৩৮ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৬ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে ২০৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৬৩৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৬৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৮২ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পদত্যাগ করেছেন বিএসইসির কমিশনার তারিকুজ্জামান
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর তিন মাসের সময় দিয়ে তাকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিএসইসির কমিশনারদের দায়িত্ব পুনর্বন্টন করে ড. তারিকুজ্জামানকে দপ্তরবিহীন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিএসইসির কমিশনার হিসেবে এ বছরের ৮ মে চার বছরের জন্য ড. এ টি এম তারিকুজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এর আগে তিনি গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মতিউরের এসকে ট্রিমসের কারখানা বন্ধ যে কারণে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আলোচিত সদস্য মতিউর রহমানের পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি এসকে ট্রিমসের কারখানা সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত শুক্রবার কারখানা বন্ধের বিষয়টি নোটিশ আকারে জারি করে শ্রমিকদের জানিয়ে দেয় কোম্পানিটি।
পাশাপাশি এসকে ট্রিমস শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গত রোববার বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে তারা। একইসাথে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এসকে ট্রিমস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের নির্দেশে গত ২৫ জুন থেকে কোম্পানিটির সব ব্যাংক হিসাব বন্ধ রয়েছে। এ কারণে রপ্তানিমুখী কারখানাটি বিদেশ থেকে কোনো কাঁচামালও আমদানি করতে পারছে না। ফলে কারখানায় বেশ কিছুদিন ধরে কোনো ধরনের কাজ নেই। কারখানা সচল রাখার মতো অর্থায়নেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় কারখানা বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত জুনে ছেলের ছাগল-কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন মতিউর রহমান। এরপর ২৫ জুন বিএফআইইউ মতিউর রহমান পরিবারের মালিকানাধীন এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয়। রপ্তানির সুবিধার্থে পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১১ জুলাই থেকে আবার সব ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ দেয়। এর পর থেকে অর্থসংকটে পড়ে কোম্পানিটি। শেষমেশ কাঁচামাল সংকটে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, লে–অফকালে কারখানার যেসব শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়েছে, তাঁরা শ্রম আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটিতে মতিউর, তার স্ত্রী ও পুত্র-সন্তান কেউই সরাসরি পরিচালনা পর্ষদের সাথে জড়িত নয়। তবে তাদের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে এসকে ট্রিমসের ৩০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করেছে মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মতিউর রহমানের ভাই এম এ কাউয়ুম হাওলাদারের হাতে, তিনি কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মতিউর রহমানের ছেলেমেয়ের মালিকানাধীন কোম্পানি গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজের হাতে। আর প্রায় ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মতিউর রহমানের ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীর মালিকানাধীন কোম্পানি গ্লোবাল শুজ–এর নামে। আর বাকি প্রায় ৬৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
এমআই