রাজনীতি
এমন রাজনীতি করলেন দেশ ছেড়েই পালাতে হলো: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ, তিনি কালিমা হিসেবে জাতির কপালে যা লিখে দিতে চেয়েছিলেন জাতি এটা তার দিকেই ফিরিয়ে দিয়েছে। এমন রাজনীতি করলেন, বললেন উন্নয়নের রাজপথে দেশকে উঠিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আর তিনি এমন রাজপথ তৈরি করলেন, গাড়িটা তিনি রাজপথ দিয়ে চালিয়ে যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন দেশ ছেড়েই চলে যেতে হলো।
আজ সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত এবং আহত-শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা হয়েছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো মানুষকে বলা হয়েছে তিনি ধর্ষক, খুনি, লুটপাটকা, অগ্নিসংযোগকারী। সময় বদলায়, পরিবেশ বদলায়। সত্যকে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। সত্য মাটির নিচ থেকে উঠে আসে। এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের, নির্যাতন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর, নির্যাতন করা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের ওপর, নির্যাতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষদের। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক বন্ধুদের। কালো আইনে তাদের টেনেহিঁচড়ে জেলে নেওয়া হয়েছে। তারা কাউকে বাদ দেয়নি। সবাইকে নিষিদ্ধ, সবাই রাজাকার।
জামায়াতের আমির বলেন, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে আমাদের হাজারখানেক কলিজার টুকরা জীবন দিয়েছেন। এখানে কোনো দলমত নেই, কোনো ধর্ম নেই। এখানে সকল ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, নিহত ও আহত হয়েছেন। শহীদদের আমরা কোনো দলের সম্পত্তি বানাতে চাই না। শহীদরা জাতির সম্পদ, আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। এই শহীদরা আজীবন জাতীয় বীর। আমরা তাদের সেই মর্যাদায় দেখতে চাই। যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের নিয়ে কোনো দল যেন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা না করি। এটা আমাদের সকলের ত্যাগের ফসল, সকলের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।
আহতদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আহতদের পাশে যাবেন। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা চেষ্টা করছি, যাদের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় তাদেরকে একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। দু-একটি দেশের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা যদি একটু এগিয়ে আসেন, এই সমস্ত দুঃখী মানুষের বিরাট উপকার হবে। যারা এগিয়ে আসবেন, তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে আমরা কবুল করব।
বিগত সরকারের শাসনামল নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১৭ বছর ৬ মাস এ জাতি বন্দিত্বের নিকট বাঁধা ছিল। মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেড়ি। এ দেশের ১৫ কোটি মানুষ ছিল মজলুম। রাস্তায় যে ভাই বা বোন ভিক্ষা করতেন তিনিও ছিলেন মজলুম। বিগত সরকারের সময় ভিক্ষুকদেরও চাঁদা দিতে হত। প্রত্যেকটি মানুষই ছিল জুলুমের শিকার।
তিনি আরও বলেন, শহীদ নিজামী বলেছিলেন, আমার রক্ত বাংলাদেশে কথা বলবে। আমার রক্ত বাংলাদেশের পরিবর্তনের সূচনা করবে। সাড়ে ১৫ বছর এরা (আওয়ামী লীগ) জাতির ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আঘাত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর। আমাদের মতো মজলুম সংগঠন আর নেই। আর কারো এতোগুলো নেতাকে হত্যা করা হয়নি। আর কারো বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়নি। আর কারও বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাট করা হয়নি। আমাদের পর্দাশীল মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, যে সাংবাদিক ভাই বিদেশে বসে অন্যায়, জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন দেশে তার বোনকে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে। কোনো ভাই ফেসবুকে কিছু লিখলে, আজরাইলরূপী ডিবি তার ঘরে গিয়েছে, হেনস্তা করেছে।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ ও ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মতিউল্লাহ, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
কাফি

রাজনীতি
বাজেটে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়নি: জামায়াত

নতুন অর্থবছর (২০২৫-২৬) বাজেটে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ প্রতিক্রিয়া জানান।
এবারের বাজেটকে আগের বাজেটগুলোর মতো গতানুগতিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার একটি বাজেট পেশ করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটের মোটা দাগে খুব একটা তফাৎ পরিলক্ষিত হয়নি। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কোনো ব্যয় কমেওনি, এতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়াও পরিলক্ষিত হয়নি।’
এবারের বাজেটের রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এটিএম মা’ছুম বলেন, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। বাজেটে বিদেশ নির্ভরতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির উদ্যোগ না থাকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরোক্ষ কর বৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এর ভার বহন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন এটিএম মা’ছুম।
তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা সংকুচিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। পাশাপাশি এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন এবং এলইডির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তার খরচ বাড়বে। অপরদিকে সুতার আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় আরএমজি সেক্টরে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। ফলে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাজেটে শিক্ষা সামগ্রীর দাম কমালেও শিক্ষা খাতে মোট বাজেট কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে উপকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার-কীটনাশকসহ অন্য পণ্যের দাম কমানোকে আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এছাড়াও কোল্ড স্টোরেজ খরচ কমানোর কারণে কৃষকদের জন্য কিছুটা স্বস্তির কারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে তা আরও বরাদ্দের দাবি রাখে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করার কথা বলা হলেও বাজেটে এই লক্ষ্য অর্জনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি করেছে।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও অন্যান্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এই বাজেট জাতিকে হতাশ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বৃদ্ধিকে সমর্থনযোগ্য নয় উল্লেখ করে এই অপচেষ্টা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এটিএম মা’ছুম।
বাজেটকে গণমুখী করতে আয়কর আরও কমিয়ে জনকল্যাণখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
কাফি
রাজনীতি
নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সালাহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিস্তারিত মতামত আমরা দিয়েছি। অনেকগুলো বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোথাও নীতিগত, কোথাও আংশিক এবং কোথাও পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। ’
‘সব রাজনৈতিক দল সব বিষয়ে একমত হবে- এমনটি প্রত্যাশা করি না। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা ঐকমত্যের কাছাকাছি গিয়েছি। সব বিষয়ে হয়তোবা ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যেটি সিদ্ধান্ত নিলে একটি সুন্দর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যেসব প্রস্তাব জাতির বৃহত্তর স্বার্থে উপকারী হবে, শুধু সেগুলোই গ্রহণ করবো। আমরা সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। আমরা আমাদের শহীদদের রক্তের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য সেসব সিদ্ধান্ত নেব যেটিতে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কাঠামো গঠন করা সম্ভব। ’
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব এবং এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারও করা সম্ভব। বিশেষ করে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার সেটিকে চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেটি দ্রুত করা সম্ভব। এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। অর্ডিন্যান্স, নির্বাহী আদেশ ও অফিস আদেশের মধ্যে এক মাসের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ নেই। এই বিষয়টি আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা যেটা প্রস্তাবনা করেছি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেটিকে সমর্থন করেছে। প্রায় সব দলেরই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাবনা আছে। ’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করি, তিনি জাতীয় অভিভাবক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি ব্যক্তিগত রাগ বা অনুরাগ-অনিচ্ছা প্রকাশ করবেন না। ’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আলাপ-আলোচনার এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম হবে। ’
কাফি
রাজনীতি
দ্রুত নিবন্ধন-প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: হামিদুর রহমান

নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়া নিয়ে আজ সোমবার (২ জুন) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আদালতের রায়ের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। বিগতদিনের মতই এখন নিবন্ধিত দল। প্রতীকও দাড়িপাল্লা থাকবে। ইসি বলেছে, যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর হবে, আস্বস্ত করা হয়েছে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। দলে আরো ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসেন ও অ্যাডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির।
এর আগে গতকাল রোববার সকালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে দলটির নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথ সুগম হয়।
কাফি
রাজনীতি
দ্রুত নিবন্ধন-প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: হামিদুর রহমান

দ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পজিটিভ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।
সোমবার (২ জুন) দুটি ইস্যু নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল। আজ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গতকাল আদালত ইসিকে নিবন্ধন পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন। সেই বিষয়ে আমরা ছয়জন ইসির সঙ্গে বৈঠক করেছি। ইসি পজিটিভ। আমরা চাই বিলম্ব না করে দ্রুত যেন কার্যকর হয়। এজন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে আছে।
আদালতের রায়ের পরদিন দলটি আইনজীবীসহ রায়ের কপি নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক বিষয়ে আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে রোববারই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল।
এ বৈঠকে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে ইসির সঙ্গে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি দলের বৈঠক হয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং আইনজীবী শিশির মনির।
রাজনীতি
সিইসির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক সোমবার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল। আগামীকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক হবে। এতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আলোচনা করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (১ জুন) সিইসির একান্ত সচিব মো. আশ্রাফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ফোন দিয়েছিলেন। তাদের একটি প্রতিনিধি দল কাল সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। সিইসি সোমবার দুপুর ১২টায় সময় দিয়েছেন। তারা চার পাঁচজন আসতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়া সংক্রান্ত আপিল শুনানি শুরু হয়। পরে ১৪ মে শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দলটি। তবে আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে অবশ্য গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কাফি