জাতীয়
এবার মামলার আসামি রোকেয়া প্রাচী-অরুণা বিশ্বাস
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং অরুণা বিশ্বাসকেও। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে এক যুবককে গুলি করে পঙ্গু করার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাসহ ১৭৯ জনকে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সোনারগাঁ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলার নোয়াগাঁ ইউনিয়নের লাদুরচর গ্রামের রুহুল আমিন (৩৯) বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শেখ হাসিনা ছাড়াও আসামিদের মধ্যে অন্যরা হলেন- চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নাট্য অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’
গত ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব (শিক্ষা ও আইন) মুফতি হারুন ইজাহার চৌধুরী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ২৩ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের একজন শাহরিয়ার কবির।
এছাড়া, গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হত্যা মামলার আসামি তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিএমপির ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার ১৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা-
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৮৩৩ নাম্বার রুম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
সাবেক এই মন্ত্রীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারই এক আত্মীয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালের ৮৩৩ নাম্বার রুমে পুলিশি হেফাজতে আছেন।
তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু সেবার তিনি বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেনের কাছে পরাজিত হন।
কিন্তু এর পরের বার ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূরুল ইসলাম সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য চেয়েছে জাতিসংঘের দলের
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রাথমিক তথ্য দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) এই সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তারা।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য দেয়ার জন্য সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল এমন সব তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যাবে না এবং প্রকাশিত বা প্রচার হয়নি। OHCHR-FFTB-Submissions@un.org – এই ই-মেইলে সব তথ্য জমা দিতে অনুরোধ করেছে দলটি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তদন্ত দলের। তবে এই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের তদন্ত কোনো আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত।
এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াতে কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। তদন্ত চলাকালীন দলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। তারা সবাইকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছে।
ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা- নীরিক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর, তদন্তের প্রধান ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যৌথ অভিযানে ১৫৫ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
যৌথ বাহিনীর অভিযানের এখন পর্যন্ত ১৫৫টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার পরও অস্ত্রগুলো নিজেদের হেফাজতে রাখার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রিভলভার রয়েছে আটটি, পিস্তল ৪৬টি, রাইফেল ১১টি, শটগান ১৮টি, পাইপগান পাঁচটি, শুটারগান ১৯টি, এলজি ১৩টি, বন্দুক ২৪টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান একটি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার একটি, এসএমজি তিনটি এবং এসবিবিএল উদ্ধার হয়েছে তিনটি।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধার তালিকার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি লাইসেন্স স্থগিত করা অস্ত্রও রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে এসব অস্ত্র থানায় জমা দিতে বলা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী।