পুঁজিবাজার
ব্লকে ৩৭ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৭২ টি শেয়ার ৯০ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সিনা ফার্মার। আজ কোম্পানিটির ১০ কোটি ৩৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪ কোটি ৬ লাখ ১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএসইসির তিন কমিশনারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তিন কমিশনারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। কমিশনার তিনজন হলেন- মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলি আকবর এবং ফারজানা লালারুখ।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তিন কমিশনারের মাঝে দাপ্তরিক দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে দেয়া হয়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
দায়িত্ব পুনর্বণ্টনের পর কমিশনারদের মাঝে মো. মহসিন চৌধুরী পেয়েছেন এডমিন অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগ, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস অ্যাফেয়ার্স বিভাগ এবং বার্ষিক কর্মক্ষমতা চুক্তি বিভাগের দ্বায়িত্ব।
কমিশনার মো. আলি আকবর পেয়েছেন ল’ বিভাগ, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি স্ট্রাটেজি বিভাগের দ্বায়িত্ব। আর কমিশনার ফারজানা লালারুখ পেয়েছেন কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগ, ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আর অ্যান্ড ডি বিভাগ, চিফ একাউন্ট বিভাগ, ডেরিভেটিভস বিভাগ এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস বিভাগের দ্বায়িত্ব।
এছাড়া, কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ কমিশন সেক্রেটারিয়েট বিভাগ, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগ এবং ইন্টারনাল অডিট অ্যান্ড কমপ্লেইন বিভাগের সরাসরি দায়িত্বে থাকবেন।
আর ড. এটিএম তারিকুজ্জামানকে বিএসইসি কমিশনার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় তাকে কোনো বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খান ব্রাদার্সের অস্বাভাবিক শেয়ারদর তদন্তের নির্দেশ বিএসইসির
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এবং অধিক পরিমাণ শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। ডিএসইকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে খান ব্রাদার্সের শেয়ারের দাম ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১৭৬ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে বা ১২৫ দশমিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অস্বাভাবিক এবং কারসাজি বলে মনে হয়েছে কমিশনের।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এস.এম. শামসুল আলম কোম্পানির মোট ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৩টি শেয়ার হস্তান্তর করবেন। এর মধ্যে তিনি তার মেয়ে তাহমিনা আফরোজ তান্নাকে (কোম্পানির একজন পরিচালক) ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ৭০১টি শেয়ার, তার আরেক মেয়ে সাবিহা জারিন ওরোনাকে (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) ১ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার ৭০১টি শেয়ার এবং তার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার জলিকে (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি শেয়ার উপহার হিসাবে প্রদান করবেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচ্য শেয়ার ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে হস্তান্তর করা হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক লোকিয়াত উল্লাহর নিকট থাকা এনআরবিসি ব্যাংকের ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৯ হাজার ৩০০টি শেয়ার তার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে (কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) উপহার হিসাবে প্রদান করবেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচ্য শেয়ার ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে হস্তান্তর করা হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠনে ডিবিএ’র সুপারিশ
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে টাস্কফোর্স গঠনসহ বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ করে অর্থ উপদেষ্টার নিকট আবেদন করেছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পাঠানো হয়।
ডিবিএর পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রায় সত্তর বছর ধরে পুঁজিবাজারের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৯৯২-১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রায় ত্রিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে একই খাতে প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই দুটি সংস্থার সৃষ্টি, লক্ষ্য, কার্যকাল, ঐতিহ্য ও ভুমিকা বিবেচনা করলে “বাংলাদেশ পুঁজিবাজার” পুঁজি গঠনের উৎস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি খাত থেকে অনেক দুরে। দু:খজনক বিষয় হলো, এই সুদীর্ঘ সময়ে এসেও আমাদের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত একটি শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের খাত হিসেবে এবং একটি সর্ব সাধারণের টেকসই আয়ের খাত হিসাবে তৈরি হয়ে উঠেনি।
আবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকিং, অর্থনীতি, সংবিধান প্রভৃতি খাতের সংস্কারের জন্য কয়েকটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও নীতি অনুসরণ করে, পুঁজিবাজারের ন্যায় একটি বৃহৎ খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে আপনি শীঘ্রই পুঁজিবাজার খাতের সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের কথা বিবেচনা করবেন।
ডিবিএ পুঁজিবাজার খাতের সংস্কারের জন্য বেশকিছু সুপারিশ করে তা সদয় বিবেচনার জন্য অর্থ উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করে। সুপারিশগুলো হলো- বিএসইসি পুঁজিবাজার খাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে সুবিধা দিতে সফল হয়নি। আমাদের বাজার সম্পূর্ণ ইক্যুইটি নির্ভর। ইক্যুইটি ব্যতিত আমাদের বাজারে আর কোন পণ্য নেই। গত বিশ বছর ধরে বন্ড মার্কেট আলোচনায় থাকলেও এর বিকাশে কার্যকর কিছুই করা হয়নি। পুঁজিবাজার থেকে সুফল পেতে আমাদের বিএসইসিকে পণ্যের উন্নয়ন বিকাশকরণ, নিয়ম-নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে বিচ্যুতি, অপরাধমূলক কার্যক্রম, ইনসাইডার ট্রেডিং-এর তদন্তকাজে এবং এনফোর্সমেন্ট-এর দায়িত্বে নিযুক্ত থাকাটা আন্তর্জাতিক মানদন্ডে একটি স্বীকৃত পন্থা।
উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মডেল থেকে দেখা যায় যে, তারা নিয়ম-নীতি প্রণয়নে উদার কিন্তু ব্যবহার ও বাস্তবায়নে কঠোর। উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত এই মডেলটি আমাদের পুঁজিবাজার খাতের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। এই মডেল অনুসরণ করে তারা, এসইসি’র নীচে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এসআরও) প্রতিষ্ঠা করেছে, যে সংস্থাটি সকল বাজার মধ্যস্থতাকারীর সমন্বয়ে কাজ করে এবং স্ব-নিয়ন্ত্রক ও সহায়কের প্রথম সারিতে থেকে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং উচ্চ পর্যায়ের অন্যায় ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি-তে প্রেরণ করে।
এই মডেল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী ৫-১০ বছরের জন্য পুঁজিবাজারের কৌশল নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী পণ্য বিকাশের জন্য মনোনিবেশ করে।
কিছু দীর্ঘস্থায়ী পুরনো সমস্যা আমাদের বাজার বৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে আছে। যেমন, সময় অনুপযোগী এবং পুরনো মার্জিন অ্যাকাউন্ট নীতি, বিনিয়োগকারীর জন্য প্রতিকূল মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা, আইপিও’র যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ডেরিভেটিভস, বিকল্প, ভবিষ্যৎ, বন্ড ট্রেডিং, মর্টগেজ-ব্যাকড সিকিউরিটাইজেশন, ইত্যাদি পণ্যের ব্যাপারে কোন ধরনের দিক নির্দেশনার অনুপস্থিতি।
সরকারের বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে পণ্যের বিকাশ অত্যাবশ্যক এবং অপরিহার্য। পরিশেষে, স্থানীয় এবং এনআরবি-এর জন্য “সঞ্চয়কে বিনিয়োগে” রুপান্তরিত করার জন্য আমাদের কাজ করা উচিত।
এছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ে আলোচনার জন্য ডিবিএর প্রেসিডেন্ট অর্থ উপদেষ্টার কাছে একটি সভা চেয়েছেন।
কাফি