জাতীয়
গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ আজ থেকে শুরু

বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে আজ। বর্তমান সরকারের গঠিত ‘কমিশন অব ইনকোয়ারি’ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো বা জমা দেওয়া যাবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কমিশনের সংযুক্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা জজ মো. বুলবুল হোসেন এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার (পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সিআইডি, বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড) কোনো সদস্য দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে সরকার এ কমিশন গঠন করেছে। কমিশনে গুমের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যেকোনো ব্যক্তি অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, অভিযোগ জানাতে চাইলে যেকেউ সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, ডাকের মাধ্যমে অথবা কমিশনের ই-মেইলে লিখিতভাবে পাঠাতে পারবেন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযোগ করা যাবে। এসময়ে অভিযোগ দাখিলের জন্য হটলাইনের মাধ্যমে আগেই সময় নেওয়ার (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) জন্যও অনুরোধ করেছে তারা।
কমিশনের কার্যালয় ঠিকানা হলো—
৯৬, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা। ই-মেইল:
edcommission.bd@gmail.com। হটলাইন নম্বর: ০১৭০১৬৬২১২০, ০২-৫৮৮১২১২১।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি অভিযোগনামায় অন্যান্য তথ্যসহ গুমের ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ, ঘটনার স্থান, তারিখ ও সময়, অভিযোগকারী ও তার বাবা-মায়ের নাম, ভুক্তভোগীর নাম ও তার বাবা-মায়ের নাম, ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযোগকারীর সম্পর্ক, অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর ডাক-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ও অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সংস্থার নাম-ঠিকানা ইত্যাদি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী, অভিযোগনামায় বর্ণিত গুমের ঘটনার সমর্থনে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি, সাক্ষীদের নাম-ঠিকানার তালিকাসহ অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে) দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কমিশন পরে প্রয়োজনবোধে অভিযোগ দাখিলকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করে এ কমিশন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও সহায়তা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ

জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি সাধারণ আসন এবং নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। যেখানে উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, জুলাইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের স্মরণার্থে এমন কিছু করতে চেয়েছি যা মানুষ ও সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।
শিরীন পারভীন বলেন, সুপারিশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে।
এর আগে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্ব কমিশনের সদস্যরা।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে শিরিন পারভীন হককে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করে ১০ সদস্যের গঠন করে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

ভুয়া নথিপত্র দাখিল করলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভিসা দেবে না। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের পেজেও এ কথা জানিয়েছে দূতাবাস। তারা বলছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ভিসা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যতক্ষণ না সব ধরনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের সমাধান হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ভিসা ইস্যু করা হয় না।
তারা বলেছে, ভুয়া নথিপত্র দাখিলকারী আবেদনকারীদের কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। যারা এরূপ কর্মকাণ্ড করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট দেশেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন, সদস্য মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা ও নিশিতা জামান নিহা।
সরকার ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী পক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন। এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার নির্বাচনভিত্তিক একটি নাগরিক সংগঠন যারা গত দুই দশক ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নাগরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাতে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড তুলে ধরে। বিশেষ করে স্বাধীন ও নাগরিক-চালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। তারা স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরে যা বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হর্ন বন্ধ করা নয়, আমার কাজ আইন প্রয়োগ করা: পরিবেশ উপদেষ্টা

হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এমনটাই জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন কার্যকর করার দায়িত্ব তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিজয় সরণির সামরিক জাদুঘরে ‘সবুজ জ্বালানি অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,
“সবাই আমাকে দেখেই বলেন, ‘আপা, হর্ন তো বন্ধ হল না।’ কিন্তু আপনি নিজে তো ৫৩ বছর ধরে হর্ন বাজিয়েই যাচ্ছেন। আপনার ড্রাইভারও বাজিয়ে যাবে। অথচ দায়টা শুধু আমার কাঁধেই চাপিয়ে দিচ্ছেন!”
তিনি স্পষ্ট করেন, “হর্ন বন্ধ রাখা নয়, আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করা। এখানে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো—মানসিকতা আর আচরণগত পরিবর্তন।”
উল্লেখ্য, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাভেদে শব্দের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারিত আছে। নীরব এলাকায় দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ও রাতে ৪৫ ডেসিবল শব্দমাত্রা অনুমোদিত। মিশ্র, বাণিজ্যিক এবং শিল্প এলাকায় ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ ডেসিবল পর্যন্ত।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ গাড়ির হর্ন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দ তৈরি করছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে বিধিমালার আওতায়। চলতি বছরের শুরু থেকে আরও ১০টি সড়ককে একইভাবে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা।
তিনি সতর্ক করেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা এমন একটি পৃথিবী রেখে যাচ্ছি, যেখানে জলবায়ু সংকট ভয়াবহ রূপ নেবে—বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পুনরাবৃত্তি আরও বেড়ে যাবে।”
তরুণদের নীতিনির্ধারণী কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “এই সরকার তরুণদের সরকার—তা মানে এই নয় যে আমি নিজেকে তরুণ ভাবছি। তবে এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যখন তিনজন তরুণ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হয়েছেন এবং তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।”