বীমা
মেটলাইফের ১৪২৫ কোটি টাকার বিমাদাবি নিষ্পত্তি

বিমা প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ বাংলাদেশ ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার বিমাদাবি নিষ্পত্তি করেছে। গ্রাহকদের বিমা সুবিধা হিসেবে পরিশোধ করা অর্থের পাশাপাশি চিকিৎসা ও মৃত্যুদাবি হিসেবে পরিশোধ করা অর্থ এর অন্তর্ভুক্ত।
শনিবার মেটলাইফ বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গ্রাহকদের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে মাত্র ৩ থেকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বীমাদাবি নিষ্পত্তি সুবিধা দিচ্ছে মেটলাইফ বাংলাদেশ। সময়মতো ও দক্ষতার সঙ্গে বিমাদাবি পরিশোধ বীমার প্রতি জনসাধারণের আগ্রহ ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ বিষয়ে মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, বাংলাদেশে একটি সুগঠিত বিমা অবকাঠামো তৈরিতে মেটলাইফ কাজ করে চলেছে, যাতে গ্রাহকরা দ্রুত ও ঝামেলাহীন বিমা দাবি এবং অন্যান্য সেবা পেতে পারেন। দ্রুত বীমাদাবি নিষ্পত্তি গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বিমা খাতের ওপর গ্রাহকদের আস্থা দৃঢ় করে তোলে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীমা
দুর্নীতি করবো না, করার সুযোগ দেব না: বিআইএ প্রেসিডেন্ট

বীমা খাতে কোনো ধরণের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুর্নীতি করবো না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেবো না বলে অঙ্গিকার জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমদ।
তিনি বলেন, বীমা আহরণের ক্ষেত্রে দেশের বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা অসম প্রতিযোগীতা চলছে। এটাকে আমরা বন্ধের জন্য নীতি-নির্ধারকদের সাথে কথা বলবো। এই অসম প্রতিযোগীতা দেশের বীমা খাতকে আরো সমস্যায় ফেলবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনস্থ ক্যাপিটালে মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক-এ তিনি এ অঙ্গিকার করেন। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বীমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ৮০টি বীমা কোম্পানির সংখ্যা আমার মতে কম। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরো সমন্বয় করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বীমা খাতের এক অসাধারণ পরিবর্তনের স্বাক্ষী আমরা। ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ, ১৯৭৩ সালে বীমা করপোরেশন আইন অনুযায়ী পূনগঠন, ১৯৮৪ সালে বেসরকারী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভূক্তিকরণ। প্রতিটি ধাপ এই খাতকে বর্তমান অবস্থানে পৌছে দিয়েছে। আমাদের দেশে ৮০টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। ৩৫টি জীবন বীমা এবং ৪৫টি সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ১.৮৯ কোটি ব্যক্তিকে বীমার আওতায় এসেছে। কিন্তু এতো অগ্রগতির পরেও বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স’র অবদান জিডিপির ০.৫ শতাংশ। তিনি বলেন, যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১.২ শতাংশ, পাকিস্তানে ০.৮ শতাংশ।
বিআইএ সভাপতি বলেন, আমাদের বীমা খাতে বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে। যেমন কভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি বিশ্বব্যাপী, দেশের অর্থনীতির অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার নেতিবাচক রিজার্ভ ইত্যাদির কারণে বীমা খাতের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
বীমা খাতের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য থেকেও বাংলাদেশের বীমা কোম্পানীগুলো জীবন বীমা খাতে প্রাইভেট বীমা কোম্পানীগুলির উপার্জিত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ছিল ২০২৩ সালে ১১ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বেসরকারী জীবন বীমা খাতের লাইফ ফান্ড ২০২৩ সালে ৩২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। বেসরকারী জীবন বীমা খাতে ২০২৩ সালের বিনিয়োগ ৩৬৮৫৩৬ মিলিয়ন টাকা। বেসরকারী খাতে জীবন বীমা কোম্পানীর মোট সম্পদ ২০২৩ সালে ৪৪ হাজার ২২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমান ২০২৩ সালে ছিল চার হাজার ২৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর ২০২৩ সালে সম্পদ এর পরিমান ১১ হাজার ৬৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা খাতে ২০২৩ সালের বিনিয়োগ ৫ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা।
এই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সাঈদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধির পরেও আমাদের ইন্স্যুরেন্স শিল্প এখনও তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। এর মধ্যে বীমা সচেতনতা ও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এখনও বীমার গুরুত্ব ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা পুরোপুরি বোঝে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নীতিমালার সংস্কার চলমান থাকলেও, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, গ্রাহকদের আরও সহজে বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বাসের অভাব ও দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা এবং উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
বর্তমান বীমা খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, বীমার প্রতি জনগনের আস্থা বৃদ্ধি, সময়মত সকল প্রকার দাবী পরিশোধ, এনজিও কর্তৃক বীমা করার অধিকার রহিত করণ, ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জীবনবীমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব, বীমা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়ন, ভ্যাট/ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যাবলীর সমাধান, মটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামুলককরণ, বেসরকারী খাতে পুনঃবীমা কোম্পানী গঠন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ভ্যাট, দ্বৈতকর ও করহার হ্রাসকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতির বীমা করা বাধ্যতামূলক করণ। তবে, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সম্ভাবনা থাকে। নতুন উদ্ভাবন, নীতিমালা সংস্কার এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারবো।
প্রশ্নের জবাবে সাঈদ আহমদ বলেন, বীমা কোম্পানি সেবামূলক কাজ করছে। সেখানে তারা সেবার নামে কেন টাকা নেবে, এটা হতে দিতে পারি না। সেবার নামে বাণিজ্য করবেন তা হতে দেবো না।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের টাকা তছরুপ করবে ছিনিমিনি খেলবে বিআইএ তা হতে দেবে না। আমরা তা মানবো না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করবো। কয়েকটি সংস্থার জন্য পুরো খাত প্রশ্নের মুখে পড়বে এটা হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, এই খাতের উন্নয়নে সরকারের ভুমিকা বেশি। কারণ এই খাতের উন্নয়নে পলিসি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় তাহলে খাতটির বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে অবদান বাড়বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিআইএফের নির্বাহী কমিটির সভা

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) কাওরান বাজারস্থ ন্যাশনাল লাইফ টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) সভাপতি এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও আবুল কালাম আজাদ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও মো. কাজিম উদ্দিন, সেক্রেটারী জেনারেল ও সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মো: শফিক শামীম, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও এস এম নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী ও বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মুন্সী মো. মনিরুল আলম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও ড. একেএম সারোয়ার জাহান জামীল, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও মো. ইমাম শাহীন, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও হাসান তারেক, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও বায়েজিদ মুজতবা সিদ্দকী, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও মুহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির সিইও চৌধুরী গোলাম ফারুক প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না সিইও পদবী

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) অনুমোদন ছাড়া কেউ বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সিইও পদবী ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ।
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) আইডিআরএ’র আইন বিভাগ থেকে সংস্থাটির পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমাকারী চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদবী ব্যবহারে আইডিআরএ’র নির্দেশনাগুলো-
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হলে কেউ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না; মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে কাউকে নিয়োগ করা যাবে না এবং ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)’ পদবী কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না; মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রস্তাব বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসরণপূর্বক একজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান করা যাবে এবং এইরূপ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)’ পদবী ব্যবহার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এর নিম্নপদে কোন কর্মকর্তা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে প্রেরিত পত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে সকল বীমাকারী ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিআইএ’র নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে পপুলার লাইফের সিইওর অভিনন্দন

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ। নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য বিএম ইউসুফ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সিইও এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম নুরুজ্জামান।
এর আগে, গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের কনফারেন্স রুমে বিআইএ’র নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ বর্তমানে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেকনোলজি লিমিটেড ও পিউরিটি ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ভ্যানটেজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিটি হোমস্ লিমিটেড ও আল-তাইয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি আহমেদ শিপিং লাইন্স, আহমেদ ইনল্যান্ড শিপিং এজেন্সী, এ.কে. ইন্টারন্যাশনাল এবং আহমেদ এয়ারওয়েজ সার্ভিসেস এর স্বত্বাধিকারী। এছাড়া তিনি দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (পদ্মা ব্যাংক লি.) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটি ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রাক্তণ চেয়ারম্যান এবং একজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার। তিনি বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।
সাঈদ আহমেদ লায়ন্স ক্লাব অফ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি-২, বাংলাদেশ এর রিজিওন চেয়ারপারসন। তিনি ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, গুলশান সোসাইটি, উত্তরা ক্লাব লিমিটেড, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড, বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব লিমিটেড এবং অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেডের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশন এবং রাজধানী শ্যুটিং ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সাঈদ আহমেদ শরীয়তপুর জেলা সমিতির পৃষ্ঠপোষক সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ইতিপূর্বে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে (২০১০-২০১২) মেয়াদে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং (২০১৯-২০২৪) মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
আরিফ সিকদারকে এনআরবি ইসলামিক লাইফের ফুলেল শুভেচ্ছা

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক আরিফ সিকদার। নির্বাচিত হওয়ায় আরিফ সিকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ্ জামাল হাওলাদার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির এএমডি(সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং) এইচ. এম মিলন রহমান, এসইভিপি মোহাম্মদ এমরান ও উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের প্রধান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল যুবায়ের।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই নির্বাচনে সংগঠনটির ৫৩ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা শেষে নন-লাইফ খাতের বিজয়ী ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচন বোর্ড। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় লাইফ বীমা খাতে ১০ নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরিফ সিকদার ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক (ইডি)। এছাড়া এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, আম্বালা আইটি, রেডিও বিক্রমপুর ৯৯.২ এফএম, স্বপ্নযাত্রাসহ তিনি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
এসএম