গণমাধ্যম
সাংবাদিক ঊর্মি রহমান মারা গেছেন
বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক ঊর্মি রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের কলকাতায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্মি রহমান অসুস্থ ছিলেন। বাংলাদেশে সাংবাদিকতা জগতে তার দীর্ঘদিনের পদচারণ ছিল। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী সাগর চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান রূপক রহমানকে রেখে গেছেন।
শিক্ষার্থী থাকাকালীন দৈনিক সংবাদে ঊর্মি রহমানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। পরবর্তী সময়ে দৈনিক বাংলা ও হলিডেতে কাজ করেন। বিবিসির সাংবাদিক হিসেবে অবসর নেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন। লেখালেখির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তার রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি ও অনুবাদ। ছোটদের জন্যও লিখেছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
মিডিয়া কমিশনে থাকবেন মফস্বল প্রতিনিধি
মিডিয়া কমিশনে মফস্বলের প্রতিনিধি থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এখনো মিডিয়া সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়নি। তবে অচিরেই এটি গঠিত হবে। যেখানে ঢাকা থেকে শুরু করে বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কারণ অনেক কষ্ট করে মফস্বল সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন।
প্রেস সচিব বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকদের সম্মানীসহ নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বক্তব্য তুলে ধরার জন্যে মিডিয়া কমিশনে মফস্বলের সাংবাদিকদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এবারের দূর্গাপূজায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারাদেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দু’একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ব্যবস্থা নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই মুসলিমরা যেভাবে ঈদ উৎসব পালন করে, একইভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের এই উৎসবকে পালন করুক। সেক্ষেত্রে যত ধরনের নিরাপত্তা দরকার সে ব্যবস্থা জেলায় জেলায় নেওয়া হয়েছে।
এ সময় মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদেও সভাপতি বাসুদেব কুণ্ডুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি
তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছেন প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার জন মানুষ। এই বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি এড়াতে এবং প্রাণঘাতী নেশাদ্রব্যের হাত থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার সকাল ১১ টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর আয়োজনে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সাংবাদিকদের নিকট প্রত্যাশা ও করণীয়’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় দাবি জানান সাংবাদিকরা।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক, অনকোলজিস্ট এবং প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লীড পলিসি অ্যাডভাইজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এবং বাংলাদেশ এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বিসিআইসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশেদ রাব্বি, সভাপতি, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। শামীম মেহেদী, চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, গ্লোবাল টিভি, প্রথম আলোর যুগ্ম–সম্পাদক সোহরাব হাসান, শাহনাজ বেগম পলি— ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য, জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং জুলহাস আলম, ঢাকা ব্যুরো প্রধান, নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা—অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সুশান্ত কে সিনহা, স্পেশাল করস্পনডেন্স,৭১ টিভি। মো. আব্দুস সালাম মিয়া, প্রোগ্রাম ম্যানেজারস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ এবং হুমায়রা সুলতানা, কমিউনিকেশনস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ।
তামাক কোম্পানিগুলো নানামুখী অপ-কৌশলে বিভ্রান্ত না হওয়ার কথা জানান সুশান্ত কে সিনহা, তিনি বলেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনী আনার যে উদ্যোগ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে একটি সময়োচিত এবং জনবান্ধব উদ্যোগ। তবে বেশ কিছু ধাপ পার হলেও আইনটিকে চূড়ান্ত রূপ পেতে হলে আরো কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। এখনো এটি পাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এটিকে আইনে রূপান্তরের পথে নানা রকম বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষ করে সংশোধনীর বিপক্ষে তামাক কোম্পানিগুলো নানামুখী অপকৌশল ও অপ-তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে জন বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদেরকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।
রাশেদ রাব্বি বলেন, ‘তামাক থেকে সরকারের যে রাজস্ব আয় আসে তার চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় ৩৪ শতাংশ বেশি। রাজস্ব আয় প্রায় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা এবং চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তামাকের কারণে বার্ষিক ক্ষতি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা (ক্যান্সার সার্ভে-২০১৮)। সুতরাং মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দূর করার পাশাপাশি প্রয়োজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা।’
আর একটি প্রাণও যাতে না হারাতে হয় তামাকের কারণে সে প্রেক্ষাপটে সোহরাব হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন এই ভয়ংকর তামাকের আগ্রাসনে। তামাকের এই সর্বগ্রাসী আগ্রাসন ও তামাক মহামারি আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমাদের তামাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আরও সোচ্চার হতে হবে ।পাশাপাশি তামাক কোম্পানির গুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।’
শামীম মেহেদী বলেন, ‘তরুণরা ই-সিগারেটের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের এই আসক্তি থেকে বের করে আনতে ই-সিগারেট বাজারজাত বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।’
মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তামাক একটি প্রাণঘাতী দ্রব্য। তামাকের পক্ষে বলার মতো একটি শব্দও নেই। তামাক পরিবেশ, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। টোব্যাকো এটলাস ২০১৮- এর তথ্য মতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মানে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান । জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে এখনই। আইন শক্তিশালী করবার এই পদক্ষেপ বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন আমাদের গণমাধ্যমের বন্ধুগণ,যাদের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের লেখনী ও গণমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর কৌশল”
বিশেষজ্ঞ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড: গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী তামাক। তামাকের কারণে ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, মুখগহ্বরের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক অন টোব্যাকো কন্ট্রোল—এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ হলেও ধুমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ এবং শক্তিশালী করা অতি জরুরি। যা তামাকমুক্ত সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
সভাপতির বক্তব্যে শাহীন আকতার ডলি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকের ওপর হামলা, স্টার কাবাবের ১১ স্টাফ গ্রেফতার
রাজধানীর স্টার কাবাবে কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেয়ার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক নামে এক গ্রাহককে মারধর করা হয়েছে। এ অভিযোগে হোটেলটির ম্যানেজারসহ ১১ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বনানী থানা পুলিশ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার।
রাসেল সারোয়ার বলেন, রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানীর স্টার কাবাব থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, স্টার কাবাবে সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক নামে একব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলাও করা হয়েছে। মামলার পর ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আরও কেউ জড়িত থাকলে, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ভুক্তভোগী সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক বলেন, রোববার দুপুরে বন্ধুর সাথে বনানীর স্টার কাবাবে খেতে গিয়েছিলাম। এ সময় কাচ্চির সঙ্গে পচা ও গন্ধযুক্ত টিক্কা দেয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আমার বন্ধুও খাবারে গন্ধ হওয়ার অভিযোগ করলে, স্টার কাবাবের ম্যানেজার তাকে বলেন, জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে আশপাশের আরও তিন গ্রাহক একই অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন ম্যানেজার। এ সময় স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে বেধড়ক মারধর করেন আমাকে। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
উল্লেখ্য, সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক ‘পলিটিক্যাল নিউজ ২৪’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
পচা খাবারের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে মারধর
রাজধানীর কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে পচা ও গন্ধ টিক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক সাংবাদিককে মারধর করেছে স্টার কাবাবের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। রোববার দুপুরে স্টার কাবাবের বনানী শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকের ডান হাত ও ডান পা ভেঙে যায়, কপাল ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিনি। গুরুতর আহত অলোককে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে অলোক ও তাঁর এক বন্ধুর সামনে পরিবেশন করা খাবারে গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার প্রতিত্তরে বলেন, ‘জীবনে টিক্কা খাননি আপনি। এটা এমনই হয়। একথা শুনে গ্রাহক প্রতিবাদ করলে আরও তিনজন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন।’
এতে ম্যানেজার কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন এবং স্টাফরা অলককে ধাক্কা দিতে দিতে দোতলা থেকে নিচতলায় নামান এবং নিচতলায় সিঁড়ির নিচে ফেলে ব্যাপক মারধর করেন। এতে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মী হামলায় অংশ নেন। আহত সাংবাদিক অলক কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বনানীতে স্টার কাবাব রেঁস্তোরায় সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারওয়ার বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মামলা করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কতজনকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংখ্যাটা আমরা এখনই বলতে চাচ্ছি না। আহত সাংবাদিক মামলায় যাদের নাম দেবেন আমরা তাঁদেরকে গ্রেপ্তার দেখবো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়।
চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেনের তথ্য আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে হবে। এছাড়া হিসাব খোলার ফরম, টিপি, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, শুরু থেকে হালনাগাল লেনদেন বিবরণী ও অন্যান্য দলিলাদির তথ্য বিএফআইইউকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের মামলায় আসামিদের একজন মুন্নী সাহা।
এমআই