ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন, সেশনজট নিরসন এবং নির্দিষ্ট সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়াসহ ৮ দফা দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিভাগের ২০১৯-২০ সেশন থেকে ২০২২-২৩ সেশন পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিভাগের সভাপতি মো. ইনজামুল হকের কাছে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় দীর্ঘদিন সেশনজটে জর্জরিত থাকলেও জট নিরসনে বিভাগের পক্ষ থেকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হচ্ছে – সেশনজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সেশনের চলতি সেমিস্টারের ল্যাব ও থিওরির ক্লাস ০৫ অক্টোবরের মধ্যে এবং পরীক্ষা ২৮শে অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরবর্তী সেমিস্টার গুলো ৩ মাস করার পাশাপাশি পূর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদান করতে হবে; ক্লাস রুটিনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে; ক্লাসের নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা যাবে না, শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে রুটিন মাফিক অনলাইন-অফলাইন ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষা নিতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষককে সুনির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শেষ ও পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে; অবৈধভাবে স্বাক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, সিংহভাগ শিক্ষার্থীর সম্মতিক্রমে বর্তমানে সময়োপযোগী নাম পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; পরীক্ষা শুরুর ন্যূনতম ১৫ দিন পূর্বে রুটিন প্রকাশ এবং ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ে মানোন্নয়ন এবং রিটেক পরক্ষা শুরু করতে হবে; ফিল্ড ওয়ার্কে বিভাগ হতে সম্পূর্ণ অর্থের অন্তত ৩০% বরাদ্দ রাখতে হবে এবং ক্যারিয়ার ভিত্তিক গবেষণা, থিসিস, উচ্চশিক্ষা, চাকুরী ও বিনিয়োগ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিভাগের কার্যক্রম ১৭/১৮ সেশন থেকে চালু হলেও অবাক করা বিষয় এখনো একটা ব্যাচও মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারল না। অথচ দিনের পর দিন নানা কারণে সেশনজট বাড়লেও তা নিরসনে বিভাগের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষার নামে দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন, সময় নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা করেই যাচ্ছে। শিক্ষকগণ একই টাইমে ৪ সেশনের ক্লাস দিয়ে রাখেন প্রায়শই। পরবর্তীতে দেখা যায় সকাল ১০ টার ক্লাস দুপুর ৩,৪ টায় কোনরকম দায়সারা ভাবে নিচ্ছে। আমরা এক প্রকার তাদের কাছে জিম্মি। এরকম প্রহসনমূলক আচরণ সমূলে নির্মূল প্রয়োজন।
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগের নাম Environmental Science & Geography দেখে ভর্তি হই। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষকদের মদদে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং স্বার্থান্বেষী মহলদের চক্রান্তে পরবর্তীতে বিভাগের নাম ‘Geography & Environment’ করা হয়। ২০২১-২২ এবং ২২-২৩ সেশনের প্রসপেক্টাসে আগের নাম দেখানো হলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে এসে জানতে পারে বিভাগের নাম পরিবর্তিত। শত শত শিক্ষার্থী এই স্ক্যামের শিকার। আমরা চাই, বিভাগের যেসব শিক্ষক এই কাজের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং আমাদের বিভাগের নাম ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
বিভাগের সভাপতি ইনজামুল হক বলেন, বিভাগীয় মিটিং করে তাদের দাবিগুলোর বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেশনজট সর্বোচ্চ ২-৩ মাস রয়েছে যা সমাধান করা যাবে। ক্লাস রুটিনের মাধ্যমে যে ফ্রেমওয়ার্ক তারা দিয়েছে তা করার চেষ্টা করব। ১৫ দিন পূর্বে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ সম্ভব, তবে ১৫ কার্যদিবসে মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব না। একটা খাতা বাহিরে গিয়ে ফিরে আসতে মাঝেমধ্যে ৩ মাস লেগে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে আমাদের হাত ছিল না, শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত একটা দরখাস্ত আসছিল অফিসে। আমরা শিক্ষকরা বসে মিটিং করলাম। পরে ডিন স্যারের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলে ফরওয়ার্ড করা হয়। যেটা একাডেমিক কাউন্সিল ও ভিসি স্যারের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সমস্ত প্রক্রিয়ায় নাম পরিবর্তন হয়। সব ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আছেই। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে ফিল্ডওয়ার্কের হিসাব নিকাশ অডিট করতে পারে। কিন্তু তাদের চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ সম্ভব না।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
যে পদ্ধতিতে জানা যাবে এসএসসি পরীক্ষার ফল

২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই)। ওই দিন দুপুর ২টায় একযোগে অনলাইনে ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানা যাবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেখার পদ্ধতি জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা ওয়েবসাইট ও এসএমএস—এই দুই পদ্ধতিতে সহজেই ফল জানতে পারবে। একইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানের ফলাফল অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারবে। এরমধ্যে, ফল জানার প্রথম পদ্ধতি হলো, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd)। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘রেজাল্ট কর্নার’-এ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের ইআইআইএন (EIIN) নম্বর ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।
আর দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd)-এ প্রবেশ করে নিজেদের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ব্যক্তিগত ফল জানতে পারবে।
তৃতীয়ত, ফল জানার জন্য এসএমএস পদ্ধতিও চালু থাকবে। মোবাইল ফোনে লিখতে হবে: SSC [বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর] [রোল নম্বর] [সাল] এবং তা পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন পরীক্ষার্থী যদি তার রোল নম্বর ১২৩৪৫৬ হয়, তবে এসএমএসটি হবে — SSC Dha 123456 2025 এটি পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র সচিব ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বোর্ডের নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল সংগ্রহ করবেন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ জুলাই ফল প্রকাশ হতে পারে বলে শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দিন নির্ধারিত হয়নি, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে— ওই তারিখে ফল প্রকাশের জোর প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ফল তৈরির কাজ শেষ। আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে সেই দিনেই ফল প্রকাশ করা হবে।
তবে তিনি সরাসরি ১০ জুলাই তারিখ উল্লেখ না করলেও, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে— শিক্ষা বোর্ডগুলো মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে, তাতে ১০ জুলাই এর নামও রয়েছে। ফলে অনুমোদন মিললে সেটিই চূড়ান্ত দিন হিসেবে ঘোষিত হতে পারে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে দিন নির্ধারণ করা হবে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত তারিখ অনুমোদন করার পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, মাদরাসা বোর্ডের দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) এই তিন ধারার ফলই একযোগে প্রকাশ হবে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ ২৮ হাজার।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদ্রাসায় ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।
বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবে। এছাড়া নির্ধারিত ফরম্যাটে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ১৫ মে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দশম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শনিবার অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
পত্রে বলা হয়েছে, রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রায় বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে। অবশিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘দশম গ্রেড বাস্তবায়নে সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ। এতে ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার পথ সুগম হবে।’ তবে তিনি জানান, তাদের দাবি ছিল দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেডে বাস্তবায়ন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়। পরে প্রশিক্ষিতদের জন্য ১১তম এবং অপ্রশিক্ষিতদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। বিষয়টি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন।
২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এই রিটে রায় দেন এবং তাদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে নির্দেশ দেন। রিভিউ আবেদনসহ আপিল বিভাগে শুনানি শেষে রায় বহাল থাকে।
এদিকে, অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়, দশম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আর্থিক লেনদেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘সরকার যেহেতু বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং কোনো অর্থনৈতিক জটিলতা নেই, তাই আমরা আশাবাদী। তবে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজিতে যুক্ত হওয়ায় আমরা শিক্ষক সমাজকে সতর্ক করতে চিঠি জারি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তাবটি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি হবে, তবে কিছু সময় লাগতে পারে।’
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানে এক লাখেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনপ্রক্রিয়া আবারও শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন।
এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত করা হয়। জরুরি কারিগরি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আবেদন স্থগিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
জানা গেছে, সারাদেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ২২ জুন থেকে শুরু হওয়া এ আবেদন ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ জুলাই পর্যন্ত। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে এর আগেই তা স্থগিত করা হয়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই শহীদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ইবি বৈবিছাআ’র মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত, ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল এবং মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা।
বুধবার (২ জুলাই) দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শৈলকূপার চড়ুইবিল গ্রামে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল, জুলাই আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, উপাচার্যের নিজস্ব ফান্ড থেকে জুলাই বিপ্লবে আহত মোট ১১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে, আজকের আয়োজনের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাসব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই হাজার গাছ রোপণ’সহ মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবেন।
কবর জিয়ারত শেষে সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তাই শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছি। শহীদ সাব্বির ১৮ জুলাই ঢাকায় উত্তরাতে কর্মরত ছিল। দুপুর ২ টা নাগদ তার বসের সাথে আন্দোলনে বের হয়েছিল এবং গুলি তার গলা ছেদ করে বের হয়ে যায়। এভাবে শৈলকূপার চড়ইবিল গ্রামের সাব্বির আমাদের ভাই শহীদ হন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন,আজকের এই দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে প্রায় পনেরো বছরের স্বৈরশাসককে সরাতে গিয়ে আন্দোলনে আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। আজ শহীদদের জন্য দোয়া শেষে তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মৃতি রক্ষা করবে। জুলাই বিপ্লব হয়েছিল বৈষম্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য। এই গাছগুলো আমাদের শপথের সাক্ষী হয়ে থাকবে। আমরা অন্যায়কে দূরীভূত করব, সত্য প্রতিষ্ঠা করবো, ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠন করবো, নতুন বাংলাদেশ গড়বো।
জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের অনুদানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে অনুদান দিয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য এবং যারা জুলাই বিপ্লবের অংশগ্রহণ করেছে আগামী দিনে তাদের জন্যও সুবিধার কথা খেয়াল রাখবো এবং তারা সবসময় আমাদের বিবেচনায় থাকবে। জুলাই আগস্ট যেনো আমাদের আদর্শ হয়। পরিবর্তিত বাংলাদেশে জুলাই আগস্টের ত্যাগ ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করি।
দিনব্যাপী কর্মসূচির কবর জিয়ারত অংশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। পরবর্তী কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ওবায়দুল ইসলাম, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়কসহ অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মচারী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, সহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম