ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন, সেশনজট নিরসন এবং নির্দিষ্ট সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়াসহ ৮ দফা দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিভাগের ২০১৯-২০ সেশন থেকে ২০২২-২৩ সেশন পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিভাগের সভাপতি মো. ইনজামুল হকের কাছে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় দীর্ঘদিন সেশনজটে জর্জরিত থাকলেও জট নিরসনে বিভাগের পক্ষ থেকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হচ্ছে – সেশনজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সেশনের চলতি সেমিস্টারের ল্যাব ও থিওরির ক্লাস ০৫ অক্টোবরের মধ্যে এবং পরীক্ষা ২৮শে অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরবর্তী সেমিস্টার গুলো ৩ মাস করার পাশাপাশি পূর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদান করতে হবে; ক্লাস রুটিনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে; ক্লাসের নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা যাবে না, শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে রুটিন মাফিক অনলাইন-অফলাইন ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষা নিতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষককে সুনির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শেষ ও পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে; অবৈধভাবে স্বাক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, সিংহভাগ শিক্ষার্থীর সম্মতিক্রমে বর্তমানে সময়োপযোগী নাম পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; পরীক্ষা শুরুর ন্যূনতম ১৫ দিন পূর্বে রুটিন প্রকাশ এবং ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ে মানোন্নয়ন এবং রিটেক পরক্ষা শুরু করতে হবে; ফিল্ড ওয়ার্কে বিভাগ হতে সম্পূর্ণ অর্থের অন্তত ৩০% বরাদ্দ রাখতে হবে এবং ক্যারিয়ার ভিত্তিক গবেষণা, থিসিস, উচ্চশিক্ষা, চাকুরী ও বিনিয়োগ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিভাগের কার্যক্রম ১৭/১৮ সেশন থেকে চালু হলেও অবাক করা বিষয় এখনো একটা ব্যাচও মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারল না। অথচ দিনের পর দিন নানা কারণে সেশনজট বাড়লেও তা নিরসনে বিভাগের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষার নামে দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন, সময় নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা করেই যাচ্ছে। শিক্ষকগণ একই টাইমে ৪ সেশনের ক্লাস দিয়ে রাখেন প্রায়শই। পরবর্তীতে দেখা যায় সকাল ১০ টার ক্লাস দুপুর ৩,৪ টায় কোনরকম দায়সারা ভাবে নিচ্ছে। আমরা এক প্রকার তাদের কাছে জিম্মি। এরকম প্রহসনমূলক আচরণ সমূলে নির্মূল প্রয়োজন।
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগের নাম Environmental Science & Geography দেখে ভর্তি হই। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষকদের মদদে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং স্বার্থান্বেষী মহলদের চক্রান্তে পরবর্তীতে বিভাগের নাম ‘Geography & Environment’ করা হয়। ২০২১-২২ এবং ২২-২৩ সেশনের প্রসপেক্টাসে আগের নাম দেখানো হলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে এসে জানতে পারে বিভাগের নাম পরিবর্তিত। শত শত শিক্ষার্থী এই স্ক্যামের শিকার। আমরা চাই, বিভাগের যেসব শিক্ষক এই কাজের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং আমাদের বিভাগের নাম ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
বিভাগের সভাপতি ইনজামুল হক বলেন, বিভাগীয় মিটিং করে তাদের দাবিগুলোর বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেশনজট সর্বোচ্চ ২-৩ মাস রয়েছে যা সমাধান করা যাবে। ক্লাস রুটিনের মাধ্যমে যে ফ্রেমওয়ার্ক তারা দিয়েছে তা করার চেষ্টা করব। ১৫ দিন পূর্বে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ সম্ভব, তবে ১৫ কার্যদিবসে মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব না। একটা খাতা বাহিরে গিয়ে ফিরে আসতে মাঝেমধ্যে ৩ মাস লেগে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে আমাদের হাত ছিল না, শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত একটা দরখাস্ত আসছিল অফিসে। আমরা শিক্ষকরা বসে মিটিং করলাম। পরে ডিন স্যারের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলে ফরওয়ার্ড করা হয়। যেটা একাডেমিক কাউন্সিল ও ভিসি স্যারের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সমস্ত প্রক্রিয়ায় নাম পরিবর্তন হয়। সব ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আছেই। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে ফিল্ডওয়ার্কের হিসাব নিকাশ অডিট করতে পারে। কিন্তু তাদের চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ সম্ভব না।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সহপাঠী নিহতের ঘটনায় সরকারের কাছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি
কেরানীগঞ্জে মদ্যপ চালকের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মুহতাসিম মাসুদের নিহতের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঝাঁঝালো স্লোগান-মিছিলে নিজেদের প্রতিবাদ প্রকাশ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘আর নয় প্রাণহানি, সড়ক হতে হবে নিরাপদ’।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন উপায়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তারা বলেন, বিষয়টি স্পষ্ট যে, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে আমাদের একজন সহপাঠীকে হত্যা করেছে এবং দুজনকে গুরুতর আহত করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা কোনো ধরনের হুমকি পাইনি, কিন্তু সেটেলমেন্টের চেষ্টা করেছেন তারা। সেটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্তদের আইনজীবী গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমেও এই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
তারা বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দেশের বিচারব্যবস্থাকে একটি গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করুন; অপরাধী যে পরিবারেরই সদস্য হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, এই ব্যাপারটি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক; হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার অবশ্যই বিবাদীপক্ষকে বহন করতে হবে এবং নিহতের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় দিবাগত রাতে বেপরোয়া প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত হন বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ। আহত হন আরও দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির ডোপ টেস্টে মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সাপের উপদ্রব, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক এলাকাসমূহে সাপের উপদ্রব ক্রমে বাড়ছে। এতে আতঙ্কে ভুগছেন আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের নিচতলায় সাপ দেখা গেছে। এর পূর্বেও ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে আরেকটি দেখা গেছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে ওই ভবনে অবস্থানরত এক শিক্ষক বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর আমার বাসায় একটি সাপ পাওয়া যায়। আজ ১৯ ডিসেম্বরেও আরেকটি সাপ পাওয়া গেছে। গত ৩ দিনে ২ বার সাপ পাওয়া গেছে বিধায় বেশ আতংকিত অবস্থায় আছি। এখনো প্রশাসনকে জানায়নি। প্রশাসনকে জানালে আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পঙ্কজ বলেন, প্রতিবার হল দীর্ঘদিন বন্ধের পর যখন খুলে তখন সকল ছাত্রছাত্রীদের মাঝে যে জিনিসটা সব থেকে বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করে তা হলো সাপ। খোলার পরেই দেখা যায় হলের বিভিন্ন স্থানে এমনকি রুমের মধ্যে ও সাপের উপদ্রব দেখা যায়। এর জন্য হল প্রসাশনকে সর্তক থাকতে হবে। বিশেষ করে হলের আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে।
ইবির এস্টেট অফিসের প্রধান মো. আলাউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর সংলগ্ন জায়গা’সহ মফিজ লেকে ইতিমধ্যে অধিকাংশ জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে। কিছু জায়গা বাকি আছে কিছুদিনের মধ্যে এগুলো পরিষ্কার করা হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি নিয়ে টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশে যৌথ উদ্যোগ
ডিজিটাল আর্থিক খাত নিয়ে আগামী প্রজন্মের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে যৌথভাবে অনলাইন কোর্স চালু করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষ অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল ও বিকাশ। সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পারদর্শী করতেই এই কোর্সটি চালু করা হচ্ছে।
আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী প্রজন্ম দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে সাহায্য করবে। সেলক্ষ্যেই পার্সোনাল ফিন্যান্স, বাজেটের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক প্রতারণা সম্পর্কে সচেতনতা, আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ ও অর্জন ইত্যাদি বিষয়ে কোর্সটিতে মৌলিক
ধারণা দেয়া হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে এবিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় বিকাশ এর চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী এবং টেন মিনিট স্কুল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করতে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্যাশবিহীন ডিজিটাল আর্থিক জীবনযাত্রায় প্রস্তুত করতেই টেন মিনিট স্কুল-এর সাথে যৌথভাবে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিষয়ক এই কোর্সটি চালু করছে বিকাশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পহেলা জানুয়ারি থেকে দেশের সব কোচিং বন্ধ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে শিগগির এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ গুজব প্রতিরোধে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে। এ বছর এখনো আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা হয়নি। তবে মেডিকেল ভর্তি কমিটির সভায় ১ জানুয়ারি থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অফলাইন-অনলাইন দুই ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন জানান, ওই সময়ে অনলাইনে কোনো কোচিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। পরীক্ষাও নেওয়া যাবে না। কারও বিরুদ্ধে অনলাইনে কোচিং করানোর অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী ১৭ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্যে এমবিবিএস ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন ভর্তিচ্ছুরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি আজ
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে এ-সংক্রান্ত লটারি। লটারি-পরবর্তী ফল দেখার প্রক্রিয়া জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)।
মাউশির এক চিঠিতে বলেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির অন্তর্ভুক্ত) ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা অভিভাবক অথবা শিক্ষার্থী লিংক থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফলাফল প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ইমেইলে প্রেরণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।
মাউশির দেওয়া এই লিংকে (https://gsa.teletalk.com.bd/) প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
জানা যায়, ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে।