অর্থনীতি
উৎপাদনে ফিরেছে আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানা
আশুলিয়ায় বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন চলছে। তবে কিছু কারখানা অজানা রহস্যে আজও বন্ধ দেখা গেছে। তবে সবগুলো কারখানার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কোথাও শ্রমিকদের জমায়েত নাই।
বেশকিছু দাবি নিযে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেছে। সেই পরিস্থিতি আশুলিয়ায় এখন দেখা না গেলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। এর মধ্যে ৩৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এই হিসেবে ৪৯টির মধ্যেই রয়েছে বলে জানান আশুলিয়া শিল্পপুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্য অধিকাংশ কারখানায়ই পোশাক কারখানা। দুই একটি রয়েছে ওষুধ ও জুতা তৈরি কারখানা। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
তার দাবি, আজ শিল্পাঞ্চলে কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ নেই ও শ্রমিকরা রাস্তায় নামেননি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। শনিবার সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।
নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে।
শিল্প মালিকদের দাবি, দেশের তৈরি পোশাকশিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওৎ পেতে আছে বেশ কিছু দেশ।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, আমার মনে হয় এরা শ্রমিক না। তারা বিভিন্ন কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। এর পেছনে কাদের ইন্ধন সেটি বোঝা কঠিন কোনো কাজ না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রবিবার থেকে টিসিবির পণ্য পাবেন ফ্যামিলি কার্ডধারীরা
ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সেপ্টেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। কোটি ফ্যামেলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য দেয়া হবে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নআয়ের ১ কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের বিক্রির কার্যক্রম রোববার থেকে সারা দেশে শুরু হবে।
সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী এই কার্যক্রম দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী জায়গা থেকে পরিচালনা করবেন ডিলাররা।
উপকারভোগীরা এ দফায় সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করল ভারত, কমবে দাম
বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘ পাঁচ মাস পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছিল ভারত। গত ৪ মে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও রফতানি নিরুৎসাহিত করতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার। এরপর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যায়। দীর্ঘ ৪ মাস ৯ দিন পর সেই শুল্ক প্রত্যাহার করে নোটিস জারি করেছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে দেশে বাড়বে পেঁয়াজ আমদানি সাথে কমে আসবে দাম। এমনটাই দাবি করছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক নোটিসের মাধ্যমে পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সেই নোটিসের একটি অনুলিপি বাংলাদেশি আমদানিকারকদের কাছে প্রেরণ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। এতে করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে তা কেটে যাবে বলেও আশা করছেন বাংলাদেশী আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের বাজারের তুলনায় ভারতে বাড়তি দামের কারণে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ কারণে ভারত থেকে অনিয়মিতভাবে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে দেশের বাজারে দাম কিছুটা বাড়লে ৪০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করে আমদানির কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন দেশের ব্যবসায়ীরা। অনেকে তখন তুলনামূলক কম দামের কারণে মিসর, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি শুরু করেন। এ অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় এক নোটিসের মাধ্যমে পেঁয়াজ রফতানিতে আরোপিত ৪০ ভাগ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। বিষয়টি বাংলাদেশের আমদানিকারকদের নিশ্চিত করেছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা, যা আগামী রোববার থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বন্দর দিয়ে আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাবে। এতে করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে আসবে। সেই সঙ্গে দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলত তা কেটে যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশি ঋণে ঝুঁকে না পড়ে নিজস্ব উৎস থেকে অর্থের সংস্থান করতে জোর দিতে হবে। সরকারের এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন আছে। এজন্য সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অর্থ আইন, ২০২৪- এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে আনীত পরিবর্তনগুলোর ওপর আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
কর কর্মকতাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতাদের মনে যেন ভীতি তৈরি না হয়। তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ খুব একটা পাওয়া যাবে না। অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ওপর নির্ভর করতে হবে। তাই রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে। প্রত্যক্ষ করে ফাঁকি দেওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের পরোক্ষ করে ঝামেলা আছে। কষ্ট দিয়ে কারও কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করবেন না।
এ সময় এনবিআরের আইনগুলোকে ব্যবসাবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের অনুরোধ করছি। জণগণের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপছে, অথচ এনবিআর কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। এখান থেকে বের হতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোবাইল টাওয়ারের জন্য ব্যাটারি তৈরি করবে ওয়ালটন-হুয়াওয়ে
মোবাইল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোর জন্য স্থানীয়ভাবে লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরি করতে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি চীনা প্রযুক্তি-জায়ান্ট হুয়াওয়ের সঙ্গে একটি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের অভ্যন্তরীণ বাজার ধরার পরিকল্পনা রয়েছে ওয়ালটনের।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, কোম্পানিটি ভবিষ্যতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।
বর্তমানে ৯টি মোবাইল টাওয়ার অপারেটর সারাদেশে ৪৫ হাজার মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার বা বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস) পরিচালনা করে। এসব অপারেটর বছরে ৪৮ ভোল্ট ১০০ অ্যাম্পিয়ার-আওয়ারের প্রায় ৫০ হাজার ইউনিটের সমতুল্য লিথিয়াম ব্যাটারি কেনে।
ওয়ালটনের নতুন প্ল্যান্টে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন শুরুর কথা রয়েছে। এটির বার্ষিক সক্ষমতা হবে ৮০ হাজার ইউনিট, যা আগামী পাঁচ বছর টেলিকম শিল্পের চাহিদা মেটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় বিটিএস-এর পরিষেবা বজায় রাখতে পাওয়ার স্টোরেজ প্রয়োজন হয়। তাই সৌর শক্তি এবং এফিশিয়েন্ট লিথিয়াম ব্যাটারির ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কোম্পানিগুলোর। এক্ষেত্রে ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে কম কার্যক্ষম লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি।
তৌহিদুর রহমান জানান, বিটিএস-এর জন্য ব্যবহৃত ব্যাটারির ৩০ শতাংশ ইতোমধ্যেই লিথিয়াম ব্যাটারি দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি ৫০ শতাংশে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, টেলিকম বিটিএসের জন্য ইন্টেলিজেন্ট ব্যাটারিসহ হুয়াওয়ের উন্নত প্রযুক্তি ১৭০টি দেশে ৩৪০টি টেলিকম অপারেটর ব্যবহার করে, যা বৈশ্বিক টেলিকম এনার্জি প্রযুক্তি বাজারের এক-তৃতীয়াংশ।
ওয়ালটন ডিজি-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি বলেন, হুয়াওয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্ব লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যাবে, তেমনি একটি সবুজ দেশ গঠনে অবদান রাখবে।
তিনি এ উদ্যোগকে ব্যবসায়িক সুযোগের চেয়ে বেশি বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ এটি লেড-অ্যাসিড ব্যাটারির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার মাধ্যমে পরিবেশগত টেকসইতার প্রতি ওয়ালটনের অঙ্গীকারকে সমর্থন করে।
তৌহিদুর বলেন, হুয়াওয়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে ওয়ালটন এই সপহিস্টিকেটেড বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। তিনি আরও জানান, সৌর শক্তি সিস্টেমের জন্য লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি থেকে লিথিয়ামে রূপান্তরে বিশেষ অসুবিধা হবে না।
বর্তমানে দেশীয়ভাবে কোষ [সেল] উৎপাদনে সীমাবদ্ধতার কারণে কোষ ছাড়া লিথিয়াম ব্যাটারির বাকি সব উপাদান স্থানীয়ভাবে তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক। একটি সেল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট স্থাপনের সম্ভাব্যতার জন্য কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে এ বিনিয়োগে আরও ১০০ কোটি টাকা যোগ হতে পারে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল আলম বলেন, স্থানীয় নির্মাতাদের সুরক্ষা দিতে আমদানি করা কাঁচামালের জন্য শুল্ক ছাড় প্রয়োজন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বিপ্লবের নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। সৌর ফটোভোলটাইক এবং বায়ু শক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তি-উৎস প্রথাগত জীবাশ্ম জ্বালানির স্থান দখল করছে। লিথিয়াম প্রযুক্তির মতো শক্তি সঞ্চয় প্রযুক্তি ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
একটি বিটিএস-এর জন্য দুটি লেড-অ্যাসিড ব্যাটারির প্রয়োজন হয়। যেগুলোর একসঙ্গে খরচ বেশি। এছাড়া লিথিয়াম ব্যাটারি কমপক্ষে তিনগুণ বেশি টেকসই এবং লেড-অ্যাসিড ব্যাটারির তুলনায় ৫০ শতাংম কম কার্বন নিঃসরণ করে বলে জানান তৌহিদুর রহমান।
স্থানীয় কোম্পানি বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড চট্টগ্রামে একটি বৈদ্যুতিক যান ও লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানা তৈরি করেছে। এ বছরের শেষের দিকে এটির উৎপাদন শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তবে সরকার এখনও পরিবেশবান্ধব যানবাহন বা এনার্জি স্টোরেজ ব্যবস্থার স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো প্রণোদনা দিচ্ছে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছুটির দিনেও গাজীপুরে চালু ৩০ শতাংশ কারখানা
গাজীপুরের প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা শুক্রবার ছুটির দিনেও চালু রাখা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলা শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আজ সকাল থেকেই শুরু হয় কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ। এতে একধরনের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয় শিল্পনগর গাজীপুরে। দাবি আদায়ে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ঝামেলা এড়াতে কোনো কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা, আবার কোনো কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে দাঁড়ায় শূন্যের কোঠায়। দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। সেই সংকট কাটিয়ে নিতে আজ খোলা রাখা হয়েছে অনেক কারখানা।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, মূলত আজ পোশাকশ্রমিকদের ছুটির দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতেই মালিকপক্ষের লোকজন কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ পুরো জেলায় মোট কারখানার প্রায় ৩০ ভাগ চালু রয়েছে। তবে যে আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলো আজও বন্ধই আছে।
এমআই