পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৯০০ কোটি টাকা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ১৩ শতাংশ বা ৮৯৮ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ডিএসইর দুইটি সূচক। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ০৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৩ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ৭৭২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এদিকে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ১৫৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইসিবির লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ এরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালনা বোর্ডের অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দোষ: অর্থ উপদেষ্টা
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। নূন্যতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য যদি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।
ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।
অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা এরইমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে জাহিন স্পিনিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর-১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১৬৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ারদর পতন হয়েছে জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এইচ.আর. টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা নিউলাইন ক্লোথিংসের শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডস্বরের ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং আমরা টেকনোলজিসের ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর-১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১৭২টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৯৭ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বিকন ফার্মার ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ফাইন ফুডসের ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা
বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ অবদান স্কয়ার ফার্মার।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করোপরেশনের ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, রবি আজিয়াটার ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ফাইন ফুডসের ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এক্সপ্রেস ইন্সুন্সের ৬ লাখ ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সাইহাম কটনের ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি